Showing posts with label বিজ্ঞান-প্রযুক্তি. Show all posts
Showing posts with label বিজ্ঞান-প্রযুক্তি. Show all posts

Thursday, April 20, 2023

১০০ বছর পর ২০এপ্রিল ২০২৩ তারিখ বৃহস্পতিবার বিরলতম সূর্য গ্রহণ

১০০ বছর পর ২০এপ্রিল ২০২৩ তারিখ বৃহস্পতিবার বিরলতম সূর্য গ্রহণ

 



১০০ বছর পর ২০এপ্রিল বিরলতম সূর্য গ্রহণ ২০ শে এপ্রিল বৃহস্পতিবার সংঘটিত হতে যাচ্ছে এই বিরল সূর্যগ্রহণ । এই সূর্যগ্রহণ টি হবে পুর্নগ্রাস সূর্যগ্রহণ,অর্থ্যাৎ সূর্যগ্রহণ চলাকালীন সময়ে চাঁদ সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে নিবে। একই সময়ে তিন ধরনের গ্রহণ দেখা যাবে বলে একে শংকর সূর্যগ্রহণ বলা হয়। ১০০ বছর পর বিরলতম সূর্যগ্রহণটি আবার ঘটতে চলেছে।

এই সূর্যগ্রহণ কে হাইব্রিড বা শংকর সূর্যগ্রহণ বলে অ্যাখ্যায়িত করেছেন। কারণ এদিন একই সঙ্গে তিন ধরনের গ্রহণ দেখা যাবে। এই সূর্যগ্রহণকে Ningalu Solar Eclipse-ও বলা হয়ে থাকে।আসুন জেনে নিই, শংকর সূর্যগ্রহণ কী?

যখন তিন ধরনের সূর্যগ্রহণ- আংশিক গ্রহন,পূর্ণগ্রাস এবং বলয়গ্রাস গ্রহণ দেখা যায়, তখন তাকে শঙ্কর গ্রহণ বলে। এই ধরনের গ্রহণ অত্যন্ত বিরল। শঙ্কর সূর্যগ্রহণ ১০০ বছরে একবার দেখা যাবে। এই তিন ধরনের গ্রহণ হলো…

আংশিক সূর্যগ্রহণ

আংশিক সূর্যগ্রহণ, যখন চাঁদ এমনভাবে সূর্যের সামনে দিয়ে যায় যাতে সূর্যের কিছু অংশ চাঁদের ছায়ায় ঢেকে যায় তখন তাকে আংশিক সূর্যগ্রহণ বলে।

বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ

যবলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ, খন চাঁদ এমন দূরত্বে চলে যায় যে এটি সূর্যের ঠিক মাঝখানে থাকে, তখন চাঁদের ছায়া সূর্যের উপর এমনভাবে পড়ে যে সূর্যকে পৃথিবী থেকে আগুনের বলয়ের মতো দেখায়, একে বৃত্তাকার গ্রহণ বলে।

পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ

পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ, সূর্য এবং চাঁদ যখন সম্পূর্ণ সরলরেখায় থাকে, তখন সূর্য পৃথিবীর কিছু অংশে সম্পূর্ণরূপে আবৃত থাকে। পৃথিবীর এই সমস্ত অঞ্চলে দিনের বেলায় রাতের মতো অন্ধকার হয় । একে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ বলা হয়।

সূর্যগ্রহণের সময়

সূর্যগ্রহণের সময়, আগামী ২০ এপ্রিল ২০২৩ বৃহস্পতিবার হবে এই বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ। সূর্যগ্রহণ ২০২৩। ১০০ বছর পর ২০এপ্রিল বিরলতম সূর্য গ্রহণ, বাংলাদেশ সময় অনুসারে সকাল ৭টা ৩৪ মিনিটে গ্রহণ লাগবে এবং গ্রহণ ছেড়ে যাবে বেলা ১২টা ৫৯ মিনিটে। মোট ৫ ঘণ্টা ২৪ মিনিট ধরে চলবে সূর্যগ্রহণ।

সূর্যগ্রহণের সময় সূর্যগ্রহণ টি বাংলাদেশ সময় সকাল ৭ টা বেজে ৩৪ মিনিটে শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময় সকাল ৮ টা বেজে ৩৭ মিনিটে পূর্ণগ্রাস গ্রহন শুরু হবে।
পূর্ণগ্রাস গ্রহণ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ১০ টা বেজে ১৬ মিনিটে এবং শেষ হবে দুপুর ১১ টা বেজে ৫৬ মিনিটে।
পুরোপুরি শেষ হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২ টা বেজে ৫৯ মিনিটে।

২০২৩ সালে মহাকাশ নিয়ে কৌতূহল

২০২৩ সালে মহাকাশ নিয়ে কৌতূহল লোকদের জন্য দুর্দান্ত চমক রয়েছে। মহাজাগতিক ঘটনা যেমন উল্কাপাত, চন্দ্রগ্রহণ এবং সুপার মুন সারা বছর জুড়ে ঘটবে। প্রায় প্রতি বছর ১২টি পূর্ণিমা হয়। তবে এবার দেখা যাবে ১৩টি। এর মধ্যে দুটি হবে আগস্টে। দ্বিতীয় পূর্ণিমা একটি নীল চাঁদ হবে।

গড়ে প্রতি আড়াই বছরে একটি নীল চাঁদ দেখা যায়। ২০২৩ সালে মহাকাশ নিয়ে কৌতূহল, স্পেস অবজারভেটরি আর্থস্কাই আগস্টের পূর্ণিমাকে সুপারমুন বলে অভিহিত করেছে। তবে সুপারমুনের সংজ্ঞা ভিন্ন। পূর্ণিমায়, চাঁদ যখন উজ্জ্বল এবং পৃথিবীর কাছাকাছি থাকে, তখন এটি একটি সুপারমুন। সেই হিসাবে, জুলাইয়ের চাঁদকে সুপারমুন হিসাবেও বিবেচনা করা যেতে পারে।

ইতিমধ্যে, পৃথিবী ২০২৩ সালে দুটি সূর্যগ্রহণ এবং দুটি চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী হবে৷ ২০২৩ সালে মহাকাশ নিয়ে কৌতূহল, ২০এপ্রিল একটি সূর্যগ্রহণ ঘটবে এবং অপরটি পশ্চিম গোলার্ধে সূর্যগ্রহণ ১৪ অক্টোবর হবে। এই ঘটনাটি উত্তর, মধ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকা থেকে দেখা যাবে। অন্যদিকে চন্দ্রগ্রহণ হবে ৫ মে এবং ২৮ অক্টোবর। প্রথমটি আফ্রিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া থেকে দেখা যাবে। দ্বিতীয়টি ইউরোপ, এশিয়া এবং আমেরিকার কিছু অংশে দেখা যায়।

২০২৩ সালে মোট বারোটি উল্কাবৃষ্টি হবে। প্রথম পর্বটি ৩ এবং ৪ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দ্বিতীয়টি এপ্রিল মাসে। এরপর পরপর জুলাইয়ে দুটি, আগস্টে একটি, অক্টোবরে একটি এবং নভেম্বরে দুটি উল্কাপাত হবে। কিন্তু এসব অপরূপ দৃশ্য দেখতে হলে আপনাকে শহুরে আলোক দূষণমুক্ত জায়গায় দাঁড়াতে হবে। সূর্যগ্রহণ ২০২৩। ১০০ বছর পর ২০এপ্রিল বিরলতম সূর্য গ্রহণ, একটি প্রশস্ত মাঠ বা খোলা জায়গায় যান এবং সোজা উপরে দেখুন। চোখের অন্ধকারের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য ২০-৩০ মিনিট। কোন ফোন ছাড়া থাকতে হবে,তারপর আছে চমক।

বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ ২০ এপ্রিল

বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ ২০ এপ্রিল ১৫০ বছরের মধ্যে দীর্ঘতম সূর্যগ্রহণ, যার অর্থ হল সূর্যগ্রহণ যে স্থানে ঘটবে সেখানে কিছু সময়ের জন্য সূর্য এবং চাঁদের ছায়া থাকবে। তবে বাংলাদেশ ও ভারত থেকে এই গ্রহন দেখা যাবে না। সূর্যগ্রহণ ২০২৩। ১০০ বছর পর ২০এপ্রিল বিরলতম সূর্য গ্রহণ, এই সূর্যগ্রহণ কম্বোডিয়া, চীন, আমেরিকা, মাইক্রোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিজি, জাপান, সামোয়া, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, ব্রুনাই, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, অ্যান্টার্কটিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, পাপুয়া নিউ গিনি, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, দক্ষিণ ভারত মহাসাগর অন্তর্ভুক্ত করে অঞ্চল, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের বিস্তৃত এলাকা থেকে দেখা যাবে।

বাংলাদেশে সূর্যগ্রহণ

বাংলাদেশ সূর্যগ্রহণ, বাংলাদেশ থেকে যেহেতু গ্রহণ টি দেখা যাবে না, তাই বাংলাদেশের মানুষের এ নিয়ে ভাবার কোনো কারণ নেই । সূর্যগ্রহণ ২০২৩। ১০০ বছর পর ২০এপ্রিল বিরলতম সূর্য গ্রহণ। ২০৩০ সালে বাংলাদেশ থেকে একটি আংশিক সূর্যগ্রহণ দৃশ্যমান হবে। তবে,এই শতাব্দীতে বাংলাদেশ থেকে কোনো পুরোপুরি সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না,শুধুমাত্র আংশিক দেখা যাবে।

 

আর ধর্মীয় বিষয়গুলো মাথায় রাখলে এ সময় বেশি বেশি নফল নামাজ পড়বেন। কোনো কুসংস্কারে কান দেবেন না।

 

 

Sunday, December 18, 2022

ইংরেজী বর্ণক্রম অনুযায়ী আকাশের ৮৮ টি তারকামন্ডল-এর নাম

ইংরেজী বর্ণক্রম অনুযায়ী আকাশের ৮৮ টি তারকামন্ডল-এর নাম

 


আকাশটাকে পর্যবেক্ষণে সুবিধার জন্য ৮৮ টি তারকামন্ডল বা Constellation – এ ভাগ করা হয়েছে  

ইংরেজী বর্ণক্রম অনুযায়ী তাদের নাম দেওয়া হলো ।

A তে আছে ৮ টা তারামন্ডল =

Auriga, Andromeda, Aries, Argonavis,

Antila, Aquila, Ara, Aquarius

B তে আছে ১ টা তারামন্ডল =  Bootes

C তে আছে ২২ টা তারামন্ডল =

Caelum, Camelopardalis, Cancer, Canes Venatici,

Canis Major, Canis Minor, Capricornus, Carina,

Cassiopeia, Centaurus, Cepheus, Cetus

Chamaeleon, Circinus, Columba, Coma Berenices,

Corona Australis, Corona Borealis, Corvus, Crater,

Crux, Cygnus

D তে আছে  ৩ টা তারামন্ডল = Dorado, Draco, Delphinus

E তে আছে  ২ টা তারামন্ডল = Eridanus, Equuleus

F তে আছে  ১ টা তারামন্ডল = Fornax

G  তে আছে  ২ টা তারামন্ডল = Gemini, Grus

H  তে আছে  ৪ টা তারামন্ডল = Hercules, Hydra, Horologium, Hydrus

I  তে আছে  ১ টা তারামন্ডল = Indus

L  তে আছে ৮ টা তারামন্ডল =

Lacerta, Leo, Leo minor, Lepus,

Libra, Lupus, Lynx, Lyra

M  তে আছে টা তারামন্ডল =

Mensa, Mircoscopium, Monoceros, Musca

N  তে আছে  ১ টা তারামন্ডল = Norma

O তে আছে   টা তারামন্ডল = Octans, Ophiuchus, Orion

P  তে আছে ১০ টা তারামন্ডল =

Pegasus, Perseus, Phoenix, Pictor,

Pisces, Piscis Austrinus, Pleiades, Praesepe,

Puppis, Pyxis

R  তে আছে ১  টা তারামন্ডল = Reticulum

S  তে আছে ৬ টা তারামন্ডল =

Sculptor, Sextans, Scorpius, Scutum,

Sagitta, Sagittarius

T  তে আছে ৫ টা তারামন্ডল =

Taurus, Telescopium, Triangulum, Triangulum Australis, Tucana

U  তে আছে ২ টা তারামন্ডল = Ursa major, Ursa minor

V  তে আছে  ৪ টা তারামন্ডল = Volans Piscis, Vulpeculla, Vela, Virgo

 

Friday, November 19, 2021

৫৮০ বছরের দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ আজ ? কীভাবে দেখবেন ?

৫৮০ বছরের দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ আজ ? কীভাবে দেখবেন ?

 

 

বর্তমান শতাব্দীর সবচেয়ে দীর্ঘতম আংশিক চন্দ্রগ্রহণ হতে যাচ্ছে আজ। গত ৫৮০ বছরের মধ্যে এতো দীর্ঘ সময়ের জন্য চন্দ্রগ্রহণ আর হয়নি।

সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ যখন একই সরলরেখায় চলে আসে তখনই চন্দ্রগ্রহণ হয়। সূর্য এবং চাঁদের মাঝখানে পৃথিবী চলে আসে। তখন সূর্যের আলো পৃথিবীতে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে চাঁদের উপরে পড়তে পারে না।



চাঁদ যেহেতু সূর্যের আলোয় আলোকিত, সেজন্য সূর্যের আলো পৃথিবীর দ্বারা আটকে গেলে চন্দ্রগ্রহণ হয়।

চন্দ্রগ্রহণের সময় আমরা চাঁদের পিঠে পৃথিবীর ছায়া দেখি।

 

তবে চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ পুরোপুরি অন্ধকার হয়ে যায় না । পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভেদ করে কিছুটা আলো চাঁদের উপর পড়ে। তখন অনেকটা লালচে আকার ধারণ করে।

এবারের চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের প্রায় ৯৭ শতাংশ পৃথিবীর ছায়া দ্বারা ঢেকে যাবে বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।

 

আংশিক চন্দ্রগ্রহণের হবে ছয় ঘণ্টার বেশি, যেটি গত ৫৮০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘতম সময়।

আশিংক চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ অনেকটা লাল আকার ধারণ করবে।

তবে প্রায় পূর্ণ-চন্দ্রগ্রহণ চলবে তিনঘণ্টা আটাশ মিনিট তেইশ সেকেন্ড পর্যন্ত।

বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দুপুর ১টা ১৯ মিনিটে মূল চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে।

এবারের চন্দ্রগ্রহণ সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান হবে উত্তর আমেরিকা থেকে। এছাড়া দক্ষিণ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং এশিয়া থেকেও কিছুটা দেখা যাবে এ চন্দ্রগ্রহণ।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আকাশ পরিষ্কার থাকলে বাংলাদেশে চন্দ্রোদয়ের পর থেকে গ্রহণ শেষ হওয়া পর্যন্ত আংশিক দেখা যাবে।

সেক্ষেত্রে ঢাকা থেকে দেখা যাবে বিকেল ৫টা ১৩মিনিট ৪২ সেকেন্ড থেকে ছয়টা পাঁচ মিনিট ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত।

 

 

https://www.bbc.com/bengali/news-59342337

 

চাঁদ এবং পৃথিবী নিজ নিজ কক্ষপথে চলার সময় সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ যখন একই সরলরেখায় আসে এবং সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে পৃথিবীর অবস্থান হয় তখন পৃথিবীর ছায়া গিয়ে পড়ে চাঁদের ওপর। পৃথিবী থেকে দেখলে কিছু সময়ের জন্য আংশিক অদৃশ্য হয়ে যায় চাঁদ। এই ঘটনাকেই চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়।

আরো তথ্য:

জেনে রাখা ভাল :

চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ এর মধ্যে পার্থক্য:

১. পৃথিবী ও চন্দ্রের মাঝে যখন সূর্য আসে তখন চন্দ্রগ্রহণ হয়।

একইভাবে পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে চন্দ্র আসলে সূর্যগ্রহণ হয়।

২. যখন সূর্যগ্রহণ হয় তখন যেটি ঘটে তা হলো, সূর্যকে যা আড়াল করে দেয় সেটি হল চাঁদ। চন্দ্রগ্রহণ হল ঠিক এর বিপরীত অবস্থা।

৩. সূর্যগ্রহণ হয় অমাবত্সায় বা চান্দ্রমাসের শেষ দিন । চন্দ্রগ্রহণ হয় পূর্ণিমায় বা চান্দ্রমাসের ১৪ বা ১৫ তারিখে ।

৪. সূর্যগ্রহণ দিনের বেলায় টেলিস্কোপে সানফিল্টার লাগিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হয় ।

অপর দিকে চন্দ্রগ্রহণ রাতের বেলা খালি চোখে দেখা যায় ।

কিভাবে চন্দ্রগ্রহণ দেখবেন?

সূর্যগ্রহণের মতো চন্দ্রগ্রহণ দেখতে কোনও আলাদা সতর্কতার প্রয়োজন নেই। খালি চোখেই এই গ্রহণ দেখা যেতে পারে। তাতে চোখের ক্ষতির কোনও আশঙ্কা নেই। তবে টেলিস্কোপের সাহায্যে এই গ্রহণ দেখলে নিঃসন্দেহে গ্রহণের সৌন্দর্য আরও তীব্র ভাবে ধরা পড়বে।

https://www.bau.ac/2020/07/blog-post.html

 

Tuesday, June 29, 2021

রাতের আকাশে গ্রীষ্মের ত্রিভুজ

রাতের আকাশে গ্রীষ্মের ত্রিভুজ

২৭ মে ২০২১ তারিখ রাত ২ টার পর মাথার উপর আকাশে সামার ট্রায়াঙ্গেল দেখলাম গ্রামের বাড়িতে । রাতটি ছিল পূর্নিমার পরের রাত । পূর্ণিমার পরের রাত হওয়ায় আকাশে আলোকোজ্জ্বল ছিল । উপরন্তু আকাশে মেঘের ভেলা থাকলেও আমাদের গ্রামের আকাশ বায়ুদূষণ ও আলোক দূষণমুক্ত হওয়ায় স্পষ্টভাবে সামার ট্রায়াঙ্গেল স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছিলো ।
সামার ট্রায়াঙ্গেলকে গ্রীষ্মের ত্রিভুজ বলা হয় । সামার ট্রায়াঙ্গেল হলো তিনটি নক্ষত্রের নকশা । নক্ষত্রগুলোর নাম হলো Vega, Altair এবং Deneb । এগুলোর বাংলা নাম হলো অভিজিৎ, শ্রবণা এবং পুচ্ছ । মে-জুন মাসে এসব নক্ষত্র থাকে মধ্য রাতে মাথার উপর । ফেব্রুয়ারী-মার্চ-এপ্রিল বা বসন্ত কালের দিকে থাকে ভোরের আকাশে । নভেম্বর মাসের দিকে এগুলো থাকে সন্ধ্যার পশ্চিম আকাশে । এসব নক্ষত্র চিনলে অনেকগুলো তারামন্ডল চেনা হয়ে যায় । কারণ এসব নক্ষত্র তিনটা তারামন্ডলের অংশ । আকাশের নক্ষত্রগুলো ৮৮ টা তারামন্ডলে বিভক্ত । তিনটা তারামন্ডল বীনা, ঈগল ও বক তারামন্ডলের অংশ । এসব তারামন্ডল চিনতে পারলে এসবের আশে পাশের তারামন্ডলগুলোও চেনা যায় । আমার নিবন্ধের এসব ছবি হতে সামার ট্রায়াঙ্গেল ও কিছু তারামন্ডল বা constellations চেনা সহায়ক হতে পারে ।

Saturday, June 26, 2021

১ কেজি সয়াবিন তেল সমান ১.০৯ লিটার

১ কেজি সয়াবিন তেল সমান ১.০৯ লিটার

সয়াবিন তেলের আপেক্ষিক গুরুত্ব হচ্ছে ০.৯১৭ । তার মানে ১ কেজি সয়াবিন তেল সমান ১/০.৯১৭ = ১.০৯০৫ লিটার । 
সহজ কথায়, ১ কেজি সয়াবিন তেল সমান ১.০৯ লিটার ।
এক লিটার সমান এক কেজি হবে এটা পুরোপুরি ভুল ধারণা। পৃথিবীর প্রতিটি পদার্থের ঘনত্ব বিভিন্ন। 

আবার একই পদার্থ ভিন্ন ভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করলেও ঘনত্বের পার্থক্য থাকবে। যার ফলে ওজনে ভিন্নতা আসতেই পারে।

উদাহরণস্বরূপ হাইব্রিড জাতের গরুর এক লিটার দুধের ওজন আর দেশী গরুর এক লিটার দুধের ওজন একটু হলেও ভিন্নতা আসবে।

নিচে কিছু পদার্থের এক লিটারে ওজন (আসলে ভর) কত আসে তা লিখে দিলাম। সবগুলোই সম্ভাব্য ওজন। 

1 L চিনির সিরাপ = 320 গ্রাম = 0.3 Kg 

1 L কোকাকোলা = 610 গ্রাম = 0.6 Kg 

1 L পেট্রোল = 748 গ্রাম = 0.74 Kg 

1 L অ্যালকোহল = 789 গ্রাম = 0.78 Kg 

1 L কেরোসিন = 800 গ্রাম = 0.8 Kg 

1 L সয়াবিন তেল = 917 গ্রাম = 0.9 Kg 

1 L পাম/ভেজিটেবল তেল = 920 গ্রাম = 0.92 Kg 

1 L পানি = 1004 গ্রাম = 1 Kg 

1 L দুধ = 1030 গ্রাম = 1.03 Kg 

1 L মধু = 1440 গ্রাম = 1.4 Kg 

1 L অলিভ অয়েল = 2200 গ্রাম = 2.2 Kg 

1 L পারদ = 135300 গ্রাম = 13.5 Kg 

সেকারণেই এক লিটার আইসক্রিম কিছুতেই এক কেজি হবে না।অনেক অনেক কম আসবে। আইসক্রিমের আসলে সুনির্দিষ্ট ওজন নেই। উপকরণ, ফ্লেভার, প্যাকেজিং ভেদে এক লিটার আইসক্রিম একেকটার ওজন একেক রকম। 

কোনটা এক লিটারে ৩০০ গ্রামের মতো আবার কোনটা এক লিটারে ৮০০ গ্রামের মতো আসবে। আইসক্রিমে চকোলেট, বিস্কুট, বাদামের আধিক্য বেশি থাকলে ওজনে কম আসতে পারে। এটা অস্বাভাবিক কিছুই না। এটাই পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র। 


কারণ চকোলেট, বিস্কুট, বাদাম পানির তুলনায় হালকা। পাঠ্যপুস্তকে এটা পাবেন চার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এক লিটার বিশুদ্ধ পাতিত পানির ওজন এক কেজি। 

(সংগৃহীত)

Tuesday, November 10, 2020

   আমি আকাশ দেখি : পর্ব-১

আমি আকাশ দেখি : পর্ব-১

অনেক দিন আগে একটা দূরবীন বা টেলিস্কোপ সংগ্রহ করেছিলাম। সেটা দিয় আমি আকাশ দেখি। দুরবীনের প্রসঙ্গ আসলে জ্যোতির্বিজ্ঞান জ্যোতিষশাস্ত্র এর প্রসঙ্গ আসে। এদুটার মধ্যে পার্থক্য আছে। জ্যোতির্বিজ্ঞান হলো আকাশের গ্রহ-নক্ষত্র সম্পর্কে জানার বিজ্ঞান। গ্রহ নক্ষত্রে রকেটে করে যাওয়াই হলো জ্যোতির্বিজ্ঞানের চুড়ান্ত ধাপ। জ্যোতির্বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞদের বলা হয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী। আর জ্যোতিষশাস্ত্রবিশারদকে বলে জ্যোতিষী। তারা গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্হান দেখে মানুষের ভাগ্য সম্পর্কে ধারণা দেন। জ্যোতিষশাস্ত্র বিজ্ঞান নয়

 


 



অনেকেরই প্রশ্ন জাগে, আকাশে খালি চোখে আমরা কি পরিমান তারা দেখি ?
আকাশে জ্বল জ্বল করা বস্তুগুলোকে আমরা তারা বলে থাকি। সন্ধ্যায় আকাশে ফুটে উঠতে থাকে অসংখ্য তারা। ধীরে ধীরে তারাগুলো আরও বেশি স্পষ্ট হতে থাকে। খালি চোখে বড়জোড় পাঁচ হাজার তারা দেখা যায়। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দুরবীন দিয়ে দেখেন লক্ষ লক্ষ তারা। যারা তারাভরা আকাশের আলোকচিত্র নিয়ে কাজ করেন তারা বলেন তারার সংখ্যা কোটি কোটি।

তারা আছে অনেক রকমের। কোনটির আলো আছে। কোনটির নেই। যাদের আলো আছে তাদের আমরা নক্ষত্র বলি। আমাদের সূর্য হলো নক্ষত্র। তার আলো আছে। তার আলোর হতে আমরা আলো পাই।
বিজ্ঞানীরা বলেন এক লিখে বারটা শূণ্য লিখলে যে সংখ্যা হয় তার সমপরিমান নক্ষত্র নিয়ে একটা গ্যালাক্সি হয়।

নক্ষত্রগুলোকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু তারা ঘুরে, তাদের বলা হয় গ্রহ। আমাদের পৃথিবী সূর্যেরই একটি গ্রহ। কারণ পৃথিবী সূর্যের চার দিকে ঘুরে। আমরা যে গ্যালাক্সিতে বাস করি তার নাম মিল্কিওয়ে। কারণ সূর্য মিল্কিওয়ের অংশ।

মিল্কিওয়ে নাম করণের পেছনে একটা কারণ আছে। বলা হয়- মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি যা গ্রীক দেবী হেরা-র বুকের দুধ হতে সৃষ্টি হয়েছে। তার শিশু ছেলে দেবতা হারকিউলিস-কে দুধ খাওয়ানোর সময় তার দুধ আকাশে পড়ে যেয়ে এই গ্যালাক্সি সৃষ্টি হয়েছে। প্রাচীন গ্রীক পুরাণে এই কথাই লেখা আছে। মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি ২০০ হতে ৪০০ বিলিয়ন নক্ষত্রের সমাবেশ। আমাদের সূর্য হলো এই মিল্কিওয়ে গ্রালাক্সির একটি নক্ষত্র। ১০০ কোটি-তে ১ বিলিয়ন হয়। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে এই গ্যালাক্সিতে কত নক্ষত্র আছে। সাধারণত ১ লিখে ১২ টা শূণ্য লিখলে যত সংখ্যা হয় ঠিক সেই পরিমান নক্ষত্র থাকে একটা গ্যালাক্সিতে। আর নক্ষত্রের সাথে ঘুরে গ্রহ। আর গ্রহের সাথে ঘুরে উপগ্রহ। সুতরাং এই বিষয়টা নিয়ে ভাবতে গেলে আর পড়াশোনা করতে গেলে একটা সময় জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনাটা একটা নেশার মতো মনে হবে।

 

ডিসেম্বর , ২০১৯