Showing posts with label শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি. Show all posts
Showing posts with label শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি. Show all posts

Monday, June 28, 2021

বারান্দা ও চিন্তার জগৎ

বারান্দা ও চিন্তার জগৎ

বারান্দায় সকালে দৈনিক পত্রিকা পড়া হোক, কিংবা বিকালে চা পান করাই হোক – বারান্দাটা হলো একটা গুরুত্বপূর্ণ স্হান ।
কারণ বারান্দায় অনেক কিছুই চোখে পরে যায় যেগুলো মনের জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করে । মন চট করে নিজের শূন্যতায় একটা নতুন ছবি একে নেয় ।

Friday, June 25, 2021

বখতিয়ার খিলজির আমলে মুসলিমদের প্রাথমিক শিক্ষার ধরণ

বখতিয়ার খিলজির আমলে মুসলিমদের প্রাথমিক শিক্ষার ধরণ

মুসলিম সমাজের প্রতিটি শিশু চার বছর চার মাস চার দিন বয়সে উপনীত হলে তাকে সুন্দর পোশাকে সাজিয়ে পরিবারের সব সদস্য ও অন্য স্বজনদের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাথমিক জ্ঞান প্রদানের সূচনা করা হতো। শিশুটিকে পবিত্র কোরআনের কিছু অংশ পাঠ করানোর চেষ্টা করা হতো—শিশুটি পড়তে না চাইলে তাকে অন্তত ‘বিসমিল্লাহ’ উচ্চারণ করানোর প্রথা ছিল।
প্রাথমিক অবস্থায় জোর দেওয়া হতো বিশুদ্ধ উচ্চারণের দিকে। পরবর্তীকালে ধারাবাহিকভাবে মসনবি, পান্দনামাহ, আন্দনামাহ, গুলিস্তান, বোস্তান ইত্যাদি ফারসি শিক্ষার গ্রন্থ পাঠ শিক্ষার্থীর জন্য আবশ্যক ছিল। তা ছাড়া দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ব্যাপার ফারসি ভাষায় প্রকাশ করতে শেখানো হতো। পাশাপাশি ছাত্রদের ইউসুফ-জোলেখা, লাইলি-মজনুর কাহিনি, সিকান্দারনামাহ, আলেকজান্ডারের বিজয়ের ইতিহাস ইত্যাদি অধ্যয়ন করানো হতো। প্রাথমিক পর্যায়ে একজন শিক্ষার্থী প্রথমে ফারসি নাম, পরে আরবি এবং তারপর অন্যান্য ভাষায় নাম লেখার অভ্যাস করত। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রদের ফারসি-আরবির পাশাপাশি বাংলা ভাষা শিক্ষার প্রচলন ছিল। বাংলা বহু মুসলমানের মাতৃভাষা ছিল বলে বাঙালি মুসলমানরা মাতৃভাষাকে অবহেলা করতে পারেনি। বহিরাগত মুসলমানরাও বাংলা ভাষা এবং এ দেশকে নিজের দেশ হিসেবে গ্রহণ করেছিল।
বই লিখে আয়

বই লিখে আয়

একটি তথ্যভিত্তিক বই এর প্রকাশনায় যা খরচ হয় সাধারণত তার সমপরিমাণ লভ্যাংশ যোগ করে বিক্রয় করা হয়। ঢাকায় বই এর অনেক কাটতি রয়েছে এমন ৫০ এর অধিক দোকান খোঁজে পাওয়া যাবে (নিউ মার্কেট, নীলক্ষেত, শাহবাগ, পল্টন, গ্রিন রোড, ফার্মগেট, মৌচাক, মালিবাগ, উত্তরা, মিরপুর ১০, কমলাপুর, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন, টঙ্গী, যাত্রাবাড়িসহ আরোও অনেক স্থানে একাধিক ভালো পরিমাণ বই বিক্রয়কারি ফুটপাতের বই বিক্রেতাদের প্রত্যেকে এককভাবে মাসে আপনার ১০টি বই বিক্রয় করে দিতে পারলে আপনার মাসিক আসবে ১০ টাকা করে হলেও ১০x১০x৫০=৫০,০০০ টাকা। দেশের সকল জেলা শহরের লাইব্রেরিসমূহ, রেলওয়ে স্টেশনের বই এর দোকানসমূহের কথা বাদই রাখলাম।
এবার আসুন প্রথম কথায়- বই লেখার সময় পাবেন কই??? ১ ঘন্টা সময় আপনার আগ্রহের বিষয়ের তথ্যানুসন্ধানে # গুগল # পাবলিক লাইব্রেরি # পুরনো পত্রিকা # সে বিষয়ের কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সাথে সাক্ষাৎ # লেখা গোছানো- এ কাজগুলো করলে প্রতি তিন মাসে ৯০ ঘন্টা সময়ে কি একটি পছন্দের বিষয়ের অনেক তথ্যপূর্ণ একটি বই লেখা হয়ে উঠবে না? আরেকটা সহজ হিসেব : ৮০ পৃষ্ঠার বই লিখবেন যাতে প্রতি পৃষ্ঠায় ৩২০ শব্দ থাকলে মোট শব্দ হবে বইটাতে ২৫ হাজার ৬ শত । ২৫০ শব্দ প্রতি দিন লিখে বইটা ১০০ দিনে লিখে শেষ করতে পারবেন । ৫ বছরে আপনার ১০টি বই প্রকাশিত হলে আর তা থেকে মাসিক ৫ হাজার করে টাকা এলে আপনি কিন্তু মাসিক আয় করবেন ৫০ হাজার টাকা। আর লেখক হিসেবে সুনাম বলে কিছু তো রেখে গেলেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে । যা অন্য অনেক পূর্ণ সময় পেশাতেও সম্ভব না। ভাল একটা অনুপ্রেরণামূলক বই আপনাকে বাঁচিয়ে রাখতে কয়েক শতক । যত দিন আপনার বইয়ের আবেদন থাকবে । বিষয়ের আবেদন থাকবে ।
বই প্রকাশের খরচ

বই প্রকাশের খরচ

মুদ্রণ ও প্রকাশনা জগত্ সম্পর্কে যাদের ধারণা নেই তাদেরকে এ সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা দেওয়াই এই লেখার উদ্দেশ্য।
একটি বই প্রকাশ করতে হলে যথাক্রমে এই কাজগুলো করতে হয় : 
১.কম্পোজ 
২.প্রুফ রিডিং এবং সম্পাদনা 
৩.অলঙ্করণ ও প্রচ্ছদ ডিজাইন মেকআপ 
৪.পেস্টিং অথবা কম্পিউটারে ফর্মা সেটিং 
৫.ট্রেসিং ও পজেটিভ 
৬.প্রচ্ছদের পজেটিভ
৭.প্লেট তৈরি 
৮.ইনার ও প্রচ্ছদের জন্য কাগজ 
৯.ছাপা 
১০.লেমিনেশন 
১১.বাঁধাই। 
১২. অন্যান্য 

ফর্মা কাকে বলে :

বাজারের প্রচলিত বইয়ের সাইজ হয় সাড়ে আট বাই সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি (প্রায়) ।  এই বই প্রকাশের জন্য প্রয়োজন হয় ডিমাই কাগজ । একটি 
ডিমাই কাগজের সাইজ হয় ২৩ ইঞ্চি–১৮ ইঞ্চি । 


এর চেয়ে বড় সাইজের বইয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ক্রাউন কাগজ । ক্রাউন কাগজের সাইজ হয় ২০ ইঞ্চি–১৫ ইঞ্চি । 

একটি ডিমাই (২৩ ইঞ্চি–১৮ ইঞ্চি) বা ক্রাউন (২০ ইঞ্চি–১৫ ইঞ্চি) কাগজ মানেই এক ফর্মা। 

সাড়ে আট বাই সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি (প্রায়) সাইজের বইয়ে ১৬ পৃষ্ঠায় এক ফর্মা হয় ।

আর বড় সাইজের বইয়ে ৮ পৃষ্ঠায় এক ফর্মা। 

১৬ পৃষ্ঠায় ফর্মার বই করতে হলে ডাবল ডিমাই কাগজ এবং ৮ পৃষ্ঠার বইয়ে ডাবল ক্রাউন কাগজ ব্যবহার করা ভালো। 

এই সাইজ দুটো হল কমন সাইজ। 

আমাদের দেশের এবং বিদেশের প্রকাশকরা অবশ্য এর বাইরেও বিভিন্ন সাইজের বই বের করে। আমাদের দেশের মার্কেটে সাধারণত ডাবল ডিমাই এবং ডাবল ক্রাউন সাইজের কাগজ বেশি পাওয়া যায়। সেদিক দিয়ে একটা ডাবল কাগজের দুই দিক ছাপা মানে দুই ফর্মা। তার মানে একটা দশ ফর্মার বই ছাপতে আপনার দরকার হবে পাঁচটি ডাবল ডিমাই বা ডাবল ক্রাউন কাগজ। 

এভাবে ৫০০ বই করতে কতটি কাগজ দরকার তা আপনি সহজেই বের করতে পারবেন। 
এখন চটজলদি বের করে ফেলুন আপনার বইটি কয় ফর্মার হবে এবং কত শিট কাগজ আপনার দরকার। যত শিট কাগজ দরকার তাকে ৫০০ দিয়ে ভাগ করলেই আপনার রিমের হিসাবটি বের হয়ে আসবে। অর্থাত্ ৫০০ শিট=১ রিম। 

মনে রাখবেন, প্রিন্টিং ও বাইন্ডিংয়ের কয়েকটি পর্যায়ে যেহেতু অনেক কাগজ নষ্ট হয় তাই ৫০০ বই পেতে হলে আপনার কমপক্ষে আরও ৪০-৫০টি বইয়ের ম্যাটেরিয়াল বেশি দিতে হবে। 

বর্তমানে (২০২০ সালের হিসেব অনুযায়ী) বাজারে ৮০ গ্রাম ডাবল ডিমাই বসুন্ধরা কাগজের মূল্য ২০০০ টাকা/রিম (প্রায়)। ডাবল ক্রাউন ১৪০০ টাকা/রিম (প্রায়)। 

এর চেয়ে বেশি এবং কম দামের কাগজ বাজারে আছে। 

ডিসেম্বরের দিকে কাগজের দাম সাধারণত বৃদ্ধি পায়। কারণ বই মেলার জন্য বই ছাপানোর চাহিদা বেড়ে যায় । এজন্য এপ্রিল-মে-জুন মাসের দিকে প্রথম বইটা ছাপানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিত । কারণ তখন কাগজ ও অন্যান্য জিনিসের দাম কম থাকে । 

সাধারণ মানের বইয়ে ৬০ থেকে ৮০ গ্রাম কাগজ ব্যবহার হয়। গ্রাম হচ্ছে কাগজের পুরুত্বের হিসাব। 

প্লেট কী : 
প্লেট হচ্ছে অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি একটি মুদ্রণ অনুষঙ্গ। আপনার বইটি যদি ডাবল ডিমাই মেশিনে ছাপতে চান তবে বইটি যত ফর্মার হবে ততটি প্লেটের দরকার হবে। 

প্রতিটি প্লেটের মেকিং চার্জসহ দাম পড়বে ৩০০ টাকার মতো। তবে সময়ভেদে গত বছর ৬০০ টাকা পর্যনন্ত দাম ওঠে। প্লেট করার আগে আপনার লেখাগুলোকে ট্রেসিং বা পজেটিভ আকারে বের করতে হবে। 

বইয়ের মেকআপ করা থাকলে প্রতিটি ট্রেসিং নিতে খরচ পড়বে ১৫ টাকা। এক ফর্মায় ৮টি ট্রেসিং লাগে। আউটপুট নিতে হলে প্রতি বর্গইঞ্চি/প্রতি কালারের জন্য দরকার হবে ৫০ থেকে ৬০ পয়সা।

পজিটিভ করতে হলে ফর্মা সেটিং আগে করে নিতে হবে। তবে বাংলা পজেটিভ করতে ফন্টের সমস্যার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

কভার সাধারণত ছাপা হয় ডিমাই মেশিনে। প্রতিটি ডিমাই প্লেটের জন্য খরচ পড়বে ১৫০ টাকার মতো। 

উভয় ক্ষেত্রেই প্রতি কালারের জন্য একটি প্লেট ব্যবহার করতে হবে। তার মানে আপনার বইটির ভেতরের অংশ যদি এক কালারে ছাপা হয়,তবে তার জন্য প্রতি ফর্মায় একটি প্লেট ।

যদি দুই কালারে ছাপা হয় তাহলে প্রতি ফর্মার জন্য দুটি প্লেট । 

আর যদি চার কালারে ছাপা হয়, তবে প্রতি ফর্মার জন্য চারটি প্লেট দরকার হবে। 

বইয়ের প্রচ্ছদ সাধারণত চার কালারে ছাপা হয়, তাই এর জন্য চারটি ডিমাই সাইজের প্লেট দরকার হবে। 

প্রচ্ছদ : 
বই বের করতে হলে প্রচ্ছদের দিকে বিশেষ খেয়াল দেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে প্রচ্ছদশিল্পী থেকে শুরু করে সব কাজেই প্রফেশনালদের ব্যবহার করতে হবে।
 
মনে রাখা উচিত, প্রিন্টিং টেকনোলজি বেশ জটিল। তাই এ কাজে যে-ই জড়িত হবে সে যেন প্রিন্টিংয়ের এ টু জেড অবগত থাকে। আর বইয়ের মূল আকর্ষণই হচ্ছে প্রচ্ছদ । বড় বড় আর্টিস্টরা একটি প্রচ্ছদের জন্য বিভিন্ন রকম পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। 

তবে প্রচলিত মানের একজন প্রচ্ছদশিল্পীর একটি কাজের পারিশ্রমিক আড়াই হাজার টাকার মতো। ইলাস্ট্রেশনের খরচ নির্ভর করে ভেতরে কী পরিমাণ কাজ থাকবে তার ওপর। 

প্রুফ রিডিং এবং সম্পাদনা : 
বই প্রকাশের ক্ষেত্রে সম্পাদনা একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কিন্তু আমাদের দেশে এই পেশায় যোগ্য লোক নেই বললেই চলে। তবু আপনার প্রকাশনাটি মানসম্পন্ন করতে চাইলে একজন যোগ্য সম্পাদক খুঁজে বের করা উচিত। 

সাধারণ মানের লেখকরা ধারণাই করতে পারেন না তার লেখাটিতে কত ধরনের খুঁত থেকে যায়। একজন ভালো সম্পাদক সেগুলো দূর করতে পারেন। তবে হতাশার কথা এই যে, আমাদের দেশে বই প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রায় কারওই সম্পাদনার ওপর কোনো বাজেট থাকে না। 

তবে প্রুফ রিডাররা আছেন। তারা টুকটাক ভুলভাল যে ধরেন তাতেও বইয়ের মান কিছুটা বজায় থাকে। মনে রাখা দরকার, আপনি যা জানেন তার মধ্যে কতটুকু ত্রুটি আছে সে ব্যাপারে আপনার মোটেই ধারণা নেই। 

যদি থাকত তবে আপনি ভুল লিখতেন না। বই প্রকাশের পরে তাতে যে কোনো ধরনের ভুল থাকাটা কতটা হাস্যকর তারা মোটেই জানেন না যারা ব্যাপারটাকে উপেক্ষা করেন। 

কয়েকদিন আগে এক বইমেলায় একটি বইয়ের নাম দেখলাম, ‘লেলিন….’। বুঝতেই পারছেন যারা লেনিনের নামটি ঠিকমতো জানেন না, তারা লেনিন সম্পর্কে কী বই বের করবেন। 

আর একজন বিজ্ঞ পাঠক যখন বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এ ধরনের ভুল দেখবেন তখন ওই বই হাতে নিয়েও দেখবেন না। তাই এই ব্যাপারটিতেও আপনাকে নজর দিতে হবে। 

এবারে আমরা একটা বই প্রকাশের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য হিসাব করব। এই হিসাব চূড়ান্ত কোনো হিসাব নয়। 

এর চেয়ে কম অথবা বেশি বাজেটেও এ ধরনের একটা বই প্রকাশ সম্ভব হতে পারে। এটা নির্ভর করে আপনি কতটা কোয়ালিটি মেইনটেইন করবেন তার ওপর। 


একটা বই বের করার জন্য মোট কত টাকা লাগবে তার নমুনা  হিসাব: 

বইয়ের সাইজ : সাড়ে আট বাই সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি (প্রায়) । 
বইয়ের পৃষ্ঠা : ৫ ফর্মা (৮০ পৃষ্ঠা) 
কাগজ : ৮০ গ্রাম বসুন্ধরা ভেতরের ছাপা এক কালার, 
কভার চার কালার, 
লেমিনেশন ও বোর্ড বাঁধাই 
সংখ্যা : ৫০০ কপি 

 ১. কম্পোজ ও ইলাস্ট্রেশন
( লেখক নিজে কম্পিউটারে কম্পোজ করবে বলে খরচ কম হলো )                                       .............................. ১০০০ 

২.প্রুফ রিডিং ………………….......     ২০০০ 

৩.প্রচ্ছদ ডিজাইন …...............................২৫০০ 

৪.পেস্টিং …………………….................  ৫০০ 

৫.মেকআপ ও ট্রেসিং ………….............. ২০০০ 

৬.প্রচ্ছদের পজেটিভ ………………........  ৫০০ 

৭.ডাবল ডিমাই প্লেট ৫টি …....................   ১৫০০ 
ডিমাই প্লেট ৪টা ………………..............     ৬০০ 

৮.কাগজ ২ রিম ১৫ দিস্তা ….................... ৫৫০০

(২০২০ সালের হিসেব অনুযায়ী) বাজারে 
৮০ গ্রাম ডাবল ডিমাই বসুন্ধরা কাগজের 
মূল্য ২০০০ টাকা/রিম (প্রায়)।

আর্টপেপার ১২০ গ্রাম ৮ দিস্তা ..................১৫০০ 
৭০ গ্রাম জ্যাকেট পেপার ৪ দিস্তা.................৪০০ 

পোস্তানির কাগজ ………………............... ৯০০ 


 ৯.ছাপা ৫ প্লেট ………………….........     ২০০০ 

 প্রচ্ছদ ছাপা ………………….............      ১৬০০ 

 পোস্তানি প্রিন্ট …………………...............  ৫০০ 

 ১০.লেমিনেশন …………………….......     ৭০০ 

 ১১.বাঁধাই ……………….......................... ৭৫০০ 

 ১২.অন্যান্য - (যাতায়াত ও বিপনন) …… ৫০০০ 

সর্বমোট (২০২০ সালের হিসেবে অনুযায়ী) - প্রায় ৩৫ হাজার টাকা । 

বিষয়টির প্রতি অনেকের আগ্রহের কারণে এই পোস্টটি দেওয়া হল। এই নমুনা হিসাবের সাথে আপনার বইয়ের সাইজ হিসাব করে বের করে নিন আপনার বইটি ছাপাতে কত টাকা খরচ হতে পারে। 

এ ব্যাপারে যে কোনো প্রশ্ন থাকলে এই পোস্টে আলাপ করতে পারেন। সবাইকে শুভেচ্ছা।

Monday, November 30, 2020

লেখক হওয়ার একুশ উপায়

লেখক হওয়ার একুশ উপায়

১. টিভি বন্ধ করে বই নিয়ে বসো। সৃজনশীলতার জন্য টিভি হলো বিষস্বরূপ। টিভি দেখা সময়ের অপচয়। বই পড়ায় ব্যয় করতে হবে বেশি সময়। ব্যাপকভাবে বিস্তৃত বিষয়ে পড়তে হবে, সময় পেলেই পড়তে হবে। বই হবে সর্ব সময়ের সঙ্গী। 

২. সমালোচনা ও ব্যর্থতার জন্য প্রস্তুত থাকো। লিখলে লোকজন তা পাঠ করবে এবং কেউ কেউ সমালোচনা করবে। আবার কখনো কখনো লেখা ছাপা হবে না বা কেউ পড়বে না। কিন্তু এসবের জন্য দমে গেলে চলবে না। 

৩. অন্যকে সন্তুষ্ট করার জন্য নয়; বরং নিজের দায়িত্ববোধ থেকে লেখো। সত্য বলতে হবে, তা যত তিক্তই হোক। নিজের বিবেক ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগাও।
৪. প্রাথমিকভাবে নিজের জন্য লেখো। লেখাটাকে আনন্দের বিষয় করে নিতে হবে। যা ভালো লাগে, তা-ই নিয়ে লেখো। নিজের ওপর কোনো জিনিস জোর করে চাপিয়ে দেবে না যা থেকে বিরক্তি উৎপন্ন হয়। 


৫. কঠিন সমস্যা নিয়ে চিন্তা করো, আড়ালে থাকা বিষয়কে তুলে আনো। জীবন ও সমাজের কোনো জটিল সমস্যার ওপর আলোকপাত করে, যা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। 

৬. লেখার সময় সমস্ত জগৎ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করো। যখন লিখতে বসবে, তখন লেখা ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ের প্রতি মনোযোগ দেবে না। জাগতিক ঝুটঝামেলা থেকে মুক্ত হয়ে একাগ্রচিত্তে লিখতে হবে।
 
৭. পাণ্ডিত্যের ভান করবে না। অযথা গুরুগম্ভীর শব্দ ও জটিল বাক্য ব্যবহার করে অন্যকে চমকিত করার চেষ্টা কোনো কাজের বিষয় নয়। অকারণে ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে বলার অভ্যাস পরিহার করো। 

৮. ক্রিয়াবিশেষণ (যেমন অত্যন্ত অসাধারণভাবে ) কম ব্যবহার করবে এবং অনুচ্ছেদ ছোট রাখবে। অধিক ক্রিয়াবিশেষণ ভ্রান্তি এবং লম্বা অনুচ্ছেদ চোখের জন্য ক্লান্তিকর। 

৯. গল্প লেখার সময় কাহিনির দিকে নজর দেবে, ব্যাকরণের দিকে নয়। কাহিনিকে মনোগ্রাহী ও রসমণ্ডিত করার জন্য যে রকম শব্দ যেভাবে ব্যবহার করা প্রয়োজন ঠিক তা-ই করতে হবে। 

১০. শৈল্পিক বর্ণনার কৌশল রপ্ত করো। সঠিক শব্দ ও বাক্যে স্পষ্ট ও উজ্জ্বলভাবে বিষয় ও ঘটনার বিবরণ দিতে হবে যাতে তা পাঠকের মনে রেখাপাত করে। প্রয়োজনে ভাষিক অলংকারের আশ্রয় নাও। 

১১. গল্পকে বেশি তথ্যবহুল করবে না। গল্পকে তথ্যে ভারী করে ফেললে তা গল্পের মজাকে হরণ করে, পাঠকের মনোরঞ্জনে ব্যর্থ হয়। চরিত্রায়ণ ও ঘটনাবিন্যাস বেশি প্রাধান্য পাবে। 

১২. মানুষজন বাস্তবে কী করে তা নিয়েই গল্প ফাঁদো। বাস্তব থেকে গল্পের উপাদান গ্রহণ করো, তাতে কল্পনার রং লাগাও, আখ্যানকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলো। 

১৩. নতুন বিষয় নিয়ে লেখো। পুরোনো বিষয় নিয়ে চর্বিত চর্বণের কোনো অর্থ হয় না। যা মানুষ কখনো ভাবেনি তা নিয়ে লেখো। ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখো ও লিখো। ঝুঁকি নিতে পিছপা হবে না। 

১৪. লেখক হওয়ার জন্য মাদকের আশ্রয় নেবে না। মাদকে মাথা খোলে—এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। বরং মাদক গ্রহণে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়, চিন্তায় পঙ্গুত্ব আসে। 


১৫. অন্য কোনো লেখককে হুবহু অনুকরণ করে লিখবে না। নিজের স্টাইল তৈরি করো। নিজের ধ্যানধারণা থেকে নিজের মতো করে লিখো, স্বকীয়তা নিয়ে। 


১৬. শব্দ ও বাক্যের মাধ্যমে তোমার ধারণাগুলো পাঠকের মনে সঞ্চারিত করো। লেখার সময় কোন ধরনের পাঠকের জন্য লিখছ, তা মাথায় রাখো, আর তোমার ধারণাগুলো তাদের উপযোগী করে প্রকাশ করো। 

১৭. লেখালেখিকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করো। লেখাকে করতে হবে ধ্যানজ্ঞান। একমাত্র সাধনা। দায়সারা কাজ অকাম্য। লেখালেখির বিষয়ে যে যত সিরিয়াস, সে তত সফল। 

১৮. প্রতিদিন কিছু না কিছু লেখো। বই পড়াকে যেমন, তেমনি লেখালেখিকেও নিত্যকার অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। লিখতে লিখতে লেখায় হাত আসে। 

১৯. কোনো কিছু লেখার পর সেটি পুনরায় দেখো। নিজের লেখার প্রথম পাঠক হবে নিজেই। সমালোচকের দৃষ্টি দিয়ে নিজের লেখা ব্যবচ্ছেদ করো। আর এটা করতে হবে নির্দয়ভাবে। 


২০. নিজের শরীর ও মনের যত্ন নাও। শরীর সুস্থ থাকলে এবং মনে সুখ থাকলে লেখালেখি সহজ হয়। পারিবারিক জীবনে শান্তি এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সহায়ক। 


২১. চেষ্টা করো তিন মাসে একটি বইয়ের খসড়া সম্পন্ন করতে। প্রতিদিন ১০ পৃষ্ঠা করে লিখলে, তিন মাসে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার শব্দ হয়ে যায়। তারপর সেটিকে পরিমার্জন করে প্রকাশের উপযোগী করতে আরও কয়েক মাস লেগে যাবে। বুঝতেই পারছ, লেখক হওয়ার জন্য নিষ্ঠা ও অধ্যবসায় কতটা জরুরি! মূল: স্টিফেন কিং

Saturday, November 14, 2020

সাহিত্যের জন্য নিসর্গ

সাহিত্যের জন্য নিসর্গ

নীরবতা,একাকীত্ব, প্রকৃতি ও নিসর্গ মানুষের মনের দরোজা খুলে দেয় । 
 শহর থেকে দূরে এমন এক নিভৃত নিসর্গের মাঝে, নীল জলরাশি, ঝর্ণা, পাহাড় আর সামুদ্রিক মুক্ত হাওয়ায় নরওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে পাহাড় চূড়ায় একা নির্জন এক কুটিরে বসে বিংশ শতকের সেরা অস্ট্রিয়ার দার্শনিক লুডভিগ ভিটগেনস্টাইন তাঁর দার্শনিক রচনা "ট্র্যাকট্যাটাস লজিকো ফিলোসফিকাস" (1922) শেষ করেন।
এটি লেখা শুরু করেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সেনাছাউনিতে, পরে যুদ্ধবন্দী অবস্থায়। এ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, ক্যামব্রিজে বার্ট্রান্ড রাসেলের ছাত্র এবং বন্ধু ভিটগেনস্টাইন (১৮৮৯--১৯৫১) প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অস্ট্রিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। 

ভ্যাকেশনে ক্যামব্রিজ থেকে নরওয়েতে তিনি প্রথম আসেন ১৯১৩ সালে।বেড়ানোর জন্য বেছে নেন একটি দুর্গম জনবিরল পার্বত্য গ্রাম জোলডেন।এখানে তিনি একটি ছোট ঘর তৈরি করেন।এখান থেকে তিনি রাসেলকে এক চিঠিতে জানান যে, এখানে থেকেই তিনি লজিক্যল ম্যাথম্যাটিকসের সমাধান পাবেন। 

দ্বিতীয়বার এখানে আসেন ১৯৩৬-৩৭ সালে। এবার এখানে লিখলেন,"ফিলোসপিক্যাল ইনভেস্টিগেশন"। যা তার মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয়। ৬২ বছরের জীবনে তাঁর একটি মাত্র বই ট্র্যাকট্যাটাস প্রকাশিত হয়।

এক বই এখনো দার্শনিকদের ঘোরের মধ্যে রেখেছে।এই বইয়ে ভাষা ও বাস্তবতা এবং বিজ্ঞানের সীমা সম্পর্কে লজিক্যাল ভিত্তি তুলে ধরেন। 

জোলডেনের স্থানীয় লোকেরা পাহাড় চূড়ায় ভিটগেনস্টাইন কুড়ে ঘরটির নাম দিয়েছিল অস্ট্রিয়া হাউস।এই ঘরটি সংস্কার করে ২০১৮ সালে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।এটি এখন দার্শনিকের তীর্থভূমিতে পরিণত হয়েছে। 

ট্র্যাকট্যাটাস লেখার পরে দার্শনিক শোপেনহাওয়ারের ভাবশিষ্য ভিটগেনস্টাইন ভাবলেন তাঁর অনুসন্ধান শেষ হয়নি,তিনি ভাবাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন, জোলডেনের স্হানীয় লোকেরা বলেছেন, ভিটগেনস্টাইন কখনো কখনো ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টায় ওই ঘর থেকে বের হতেন না।

তার লেখার টেবিল থেকে বহুদূর পর্যন্ত নীল জলের লেক, ঝর্ণা, আকাশ দেখা যেত।রাত্রিতে তারকা দেখতেন আর অন্ধকার নিস্তব্ধতায় ডুবে থাকতেন। 

জোলডেনে ভিটগেনস্টাইনের অবস্থান আমাকে তিউনিশিয়ার পলিম্যাথ, সুফি ও কবি আবু সাইদ ইবনে খালিফ ইবনে ইয়াহিয়া আল তামিম আল বাজির কথা স্মরণ করে দেয়, যিনি থাকতেন ভূমধ্যসাগর উপকূলে নির্জন পার্বত্য এলাকায়,সেখানে তার শিষ্যরা আসতেন তার কাছে জ্ঞান আহরণে।তিনি পাহাড়ের নির্জন আশ্রয় থেকে সমুদ্রে মিশে যাওয়া আকাশের দিগন্ত দেখতে পেতেন। তিনি স্থানীয়দের কাছে সিদি বোয়া সাইদ নামে পরিচিত ছিলেন।এই নামেই আজো ওই এলাকাটির নাম চালু আছে এবং এই নামেই এটি এখন তিউনিসিয়ার আকর্ষণীয় পর্যটন নগরী। 


ফরাসী লেখক গুস্তাভ ফ্লেভার এই এলাকার নিসর্গের বর্ণনা দিয়েছেন।ফরাসী কবি লরনাড গ্যাসপার (ডি এইচ লরেন্স, রিলকে এবং জর্জ সেফেরিস অনুবাদক) দীর্ঘ সময় সিটি বোয়া সাইদে কাটিয়েছেন। গ্যাসপার এ নিয়ে "লিভিং বোয়া সাইদ" নামে বই লিখেছেন। 

 ছবিঃ নরওয়ের জোলডেন গ্রামে পাহাড় চূড়ায় ভিটগেনস্টাইনের লেখার টেবিল। 

 লেখক : মুহম্মদ আবদুল বাতেন

Monday, September 28, 2020

Monday, January 27, 2020

খাওয়ারিজামী নাঁচ

খাওয়ারিজামী নাঁচ

১২০৪ সালের পর মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হলেও মুসলিম রাজা-বাদশাহরা নাঁচ-গান চর্চা ও উপভোগ করাকে নিষিদ্ধ করেননি । বরং তারা কথক নৃত্য, ভরতনট্টম ও উদিসা নাঁচ বাদ দিয়ে তারা ইরানি,তুর্কি,তুরানি, আফগানি মুসলিমদের নাঁচ চালু করেন যাতে খুব একটা অশ্লীলতা ছিল না ।

 
 
তারিখ--ফিরুয শাহী  বাংলাদেশের মুসলিম শাসন আমলে প্রকাশ্যে লোকদের নাঁচ-গান উপভোগ করার  নাচের ধরণ জানা যায়, সেটি ছিলো খাওয়ারিজামী নাঁচ। যেই নাচের ভিডিওটি আপনারা দেখছেন এটাই খাওয়ারিজামী নাঁচ।  

উল্লেখ্য খাওয়ারিজাম মূলত পারস্যের ১টি প্রদেশ ছিলো। তবে অনেক সময়েই এটি স্বাধীন রাজ্য, এমন কি সাম্রাজ্য ছিলো। উন্নত সংস্কৃতির অধিকারী খাওয়ারিঝামী সংস্কৃত ছিলো পারসিক সংস্কৃতির অংশ।


সাহিত্য কাকে বলে ?

সাহিত্য কাকে বলে ?

মোটকথা ইন্দ্রিয় দ্বারা জাগতিক বা মহাজাগতিক চিন্তা চেতনা, অনুভূতি, সৌন্দর্য্য ও শিল্পের লিখিত প্রকাশ হচ্ছে সাহিত্য। 

 
 
গদ্য, পদ্য ও নাটক - এই তিন ধারায় প্রাথমিকভাবে সাহিত্যকে ভাগ করা যায়। 
 
গদ্যের মধ্যে প্রবন্ধ, নিবন্ধ, গল্প ইত্যাদি এবং পদ্যের মধ্যে ছড়া, কবিতা ইত্যাদিকে শাখা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
শিল্প আসলে কি ?

শিল্প আসলে কি ?

কাঁচামাল ব্যবহার করে মধ্যবর্তী কোন  চূড়ান্ত দ্রব্য বা পণ্য উৎপাদন করার প্রক্রিয়াকে শিল্প বলে। 

 
 
কোন একজন উদ্যোক্তা কৃষকের কাছ থেকে তুলা কিনে তা থেকে সুতা তৈরি করলে আমরা তাকে শিল্প বলতে পারি। 
 
যেহেতু এ সুতা এখনও চূড়ান্ত পণ্য পোষাকে পরিণত হয়নি তাই এই উৎপাদিত সুতাকে মধ্যবর্তী দ্রব্য বলতে পারি।
 
আবার কোন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির মালিক সুতা দিয়ে বা তিনি সরাসরি কৃষকের কাছে থেকে তুলা নিয়ে সুতা বানিয়ে তা থেকে পোষাক তৈরি করলেও তাকে শিল্প বলে।

Saturday, January 25, 2020

বই ভাল রাখার উপায়

বই ভাল রাখার উপায়

দৈনন্দিক জীবনের সব কিছুর ট্রিপস্ - ১
বই ভাল রাখার উপায় :
 


১. বুক শেলফ ব্যবহার করুন ।
২. প্লাস্টিকের ঝুড়িতে বা প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে রাখুন ।
৩. কম ভেজা স্হানে বই রাখুন ।
৪. উহ পোঁকা যাতে না আসে সেজন্য নিম পাতার ডাল ব্যবহার করুন ।
৫.  বই খাঁড়া করে শেলফে রাখুন।
৬. বই বিষয় অনুযায়ী ক্যাটালগ করে রাখুন ।
৭. অত্যাধিক আলো ও তাপ হতে বইকে দূরে রাখুন ।
বই লিখুন, আয় করুন

বই লিখুন, আয় করুন



লিখেছেনঃ S M A K-HASSAN·

আপনি কোন বিষয়ে বেশ আগ্রহী। সময় নেই বলে তেমন কিছু করা হয়ে উঠে না এ বিষয় নিয়ে। খেয়াল করুন- আপনার মতো আরোও অনেকেই এ বিষয় নিয়ে আগ্রহী।
ধরুন-
বিশ্বের সকল রাজনৈতিক গুপ্তহত্যা কিভাবে হয়েছিল (অনেকেই এ বিষয়গুলোকে অ্যাাডভেঞ্চার হিসেবে লুফে নেন) বা
কোন দেশ কিভাবে স্বাধীনতা পেয়েছিল (বিশ্বের স্বাধীনতাকামী, স্বাধীনতা-ইতিহাস গবেষক ও অন্যান্যদের কাছে এ তথ্যগুলো মূল্যবান) বা
বাংলাদেশের সকল ভাস্কর্যগুলোর তথ্যাদি- এরূপ যে কোন একটি বিষয় নিয়ে আপনার আগ্রহ রয়েছে।
একটি তথ্যভিত্তিক বই এর প্রকাশনায় যা খরচ হয় সাধারণত তার সমপরিমাণ লভ্যাংশ যোগ করে বিক্রয় করা হয়। কোন প্রকাশনার সাথে চুক্তি করে আপনি নিজে বিপণনের দায়িত্ন নিয়ে তা বিভিন্ন বই এর দোকানে সরবরাহ করতে পারেন সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অথবা সবটুকু দায়িত্ন প্রকাশনাকে দিয়ে বিক্রয়ের উপর সম্মানিও নিতে পারেন।
ধরুন ১০০০টি বই এর জন্য খরচ হল ৫০,০০০ টাকা তাহলে গায়ে লিখিত মূলয ১২০ টাকা, বিক্রয়মূল্য ১০০-১২০ টাকা।
প্রকাশনা থেকে বিক্রয়ভিত্তিতে লাভ নিতে চাইলে তারা বিক্রয়ের পর ঐ বই এর প্রতিটির জন্য আপনাকে দেবে ১০-১২ টাকা।
ঢাকায় বই এর অনেক কাটতি রয়েছে এমন ৫০ এর অধিক দোকান খোঁজে পাওয়া যাবে (নিউ মার্কেট, নীলক্ষেত, শাহবাগ, পল্টন, গ্রিন রোড, ফার্মগেইট, মৌচাক, মালিবাগ, উত্তরা, মিরপুর ১০, কমলাপুর, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন, টঙ্গী, যাত্রাবাড়িসহ আরোও অনেক স্থানে একাধিক ভালো পরিমাণ বই বিক্রয়কারি ফুটপাতের বই বিক্রেতাদের প্রত্যেকে এককভাবে মাসে আপনার ২০টি বই বিক্রয় করে দিতে পারলে আপনার মাসিক আসবে ১০ টাকা করে হলেও ১০x২০x৫০=১০,০০০ টাকা।
দেশের সকল জেলা শহরের লাইব্রেরিসমূহ, রেলওয়ে স্টেশনের বই এর দোকানসমূহের কথা বাদই রাখলাম।
 
এবার আসুন প্রথম কথায়- বই লেখার সময় পাবেন কই???
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক সনদ নিচ্ছেন যারা তারা জেনে থাকবেন- ৬০ ঘন্টা শ্রেণিকক্ষে পড়িয়েই একজন শিক্ষার্থীকে ১০০ নম্বরের একটি বিষয়ে পরীক্ষা দেওয়ার উপযোগি করে করে গড়ে তোলার প্রয়াস নেওয়া হয়।
এখন হিসেব করুন- প্রতিদিন (২৪ ঘন্টায়) আপনার সুবিধে মতো ১ ঘন্টা সময় আপনার আগ্রহের বিষয়ের তথ্যানুসন্ধানে # গুগল # পাবলিক লাইব্রেরি # পুরনো পত্রিকা # সে বিষয়ের কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সাথে সাক্ষাৎ # লেখা গোছানো- এ কাজগুলো করলে প্রতি তিন মাসে ৯০ ঘন্টা সময়ে কি একটি পছন্দের বিষয়ের অনেক তথ্যপূর্ণ একটি বই লেখা হয়ে উঠবে না?
তিন-চার বছরে আপনার ১০টি বই প্রকাশিত হলে আর তা থেকে মাসিক ৫ হাজার করে টাকা এলে আপনি কিন্তু মাসিক আয় করবেন ৫০ হাজার টাকা।। আর নাম বলে কিছুতো রেখে গেলেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে যা অন্য অনেক পূর্ণসময় পেশাতেও সম্ভব না।

Saturday, January 18, 2020