Showing posts with label রোজনামচা. Show all posts
Showing posts with label রোজনামচা. Show all posts

Monday, December 11, 2023

পলি জমিয়ে বঙ্গোপসাগর উপকূলে চর সৃষ্টির পরিকল্পনা

পলি জমিয়ে বঙ্গোপসাগর উপকূলে চর সৃষ্টির পরিকল্পনা

 

নদী ভাঙনের ফলে ভাটিতে চলে যাওয়া পলি মাটি জমানোর উচ্চাকাঙ্খী একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ মাটি জমিয়ে নতুন করে চর সৃষ্টি করা হবে। আর নদী ভাঙনে গৃহহীনদের এ চরে পুর্নবাসন করা হবে। এ লক্ষ্যে গত জুনে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। গত সপ্তাহে বার্তা সংস্থা রয়টার্স একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।



জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে ঘুর্ণিঝড়, বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে প্রতিবছর অসংখ্য লোকককে গৃহহীন হতে হচ্ছে।

পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, `কেবল নদীভাঙনের ফলে বাংলাদেশ প্রতিবছর ২০ হাজার হেক্টর (২০০ বর্গকিলোমিটার । ১০০ হেক্টর সমান ১ বর্গকিলোমিটার ) জমি হারাচ্ছে।

২০১৩ সালে শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক গবেষণা সংস্থা রামরু ও ব্রিটেনের সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সাসেক্স সেন্টার ফর মাইগ্রেশন রিসার্চ এক গবেষণায় জানিয়েছিল, প্রতিবছর নদী ভাঙনের ফলে ২ লাখ লোক গৃহহীন হয়।

 

পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা- বাংলাদেশের এই তিনটি প্রধান নদী প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে পলিমাটি ভাটিতে বয়ে নিয়ে যায়। ঢাকার সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিবছর দেশের নদীগুলো একশ কোটি টন পলিমাটি বয়ে নিয়ে যায়। এর অধিকাংশই বঙ্গোপসাগর উপকূলীয় এলাকায় গিয়ে জমা হয়।

 

সিইজিআইএসের উপ-নির্বাহী পরিচালক মালিক খান জানিয়েছেন, আঁড়াআঁড়ি বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে এই পলিমাটি যদি নোয়াখালীর নিচু এলাকার দিকে নিয়ে যাওয়া যায় তাহলে সাগরে নতুন ভূমি জেগে উঠবে।

 

তিনি বলেন, ‘নদীতে বয়ে যাওয়া পলিমাটির মাধ্যমে নতুন জমি সৃষ্টি করা জরুরী।’

 

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভাটিতে বয়ে যাওয়া পলিমাটি আঁড়াআঁড়ি বাঁধের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে চলে যাওয়ার আগেই আটকানো সম্ভব। যেহেতু এ মাটি বাঁধের পেছনে জমা হয়, সেহেতু এটি বিশাল চর সৃষ্টি করতে পারে, যা মানুষের বসবাসের জন্য যথেষ্ঠ।

 

ঢাকাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইনিস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের (আইডব্লিউএম) উপকূল, বন্দর ও নদী মোহনা বিভাগের পরিচালক জহিরুল হক খান জানান, নিঝুম দ্বীপ ও মনপুরা দ্বীপ এলাকায় ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ছোট ছোট চর জেগেছে। আঁড়াআঁড়ি বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে নোয়াখালির উরির চর ও চট্টগ্রামে সন্দ্বীপ এলাকায় নদীতে বয়ে আসা প্রচুর পলিমাটির সাহায্যে কয়েকশ বর্গকিলোমিটার আয়তনের নতুন স্থলভাগ সৃষ্টি করা সম্ভব।

 

পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ জানিয়েছেন, আশা করা হচ্ছে আগামী ২০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ মোট ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার নতুন ভূমি সৃষ্টি করতে পারবে ( প্রতি বছর ৫০০ বর্গকিলোমিটার ) ।

 

তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক কারণে মেঘনার মোহনায় ভাঙন অব্যাহত থাকায়, আঁড়াআঁড়ি বাঁধের মাধ্যমে সাগরে নতুন ভূমি সৃষ্টি করা গেলে নদীভাঙ্গন কবলিত মানুষ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদেরকে সেখানে সহজেই পুর্নবাসন করা যাবে।

 

বাঁধ দিয়ে সংগৃহীত পলিমাটির মাধ্যমে নতুন ভূমি সৃষ্টির জন্য গত জুনে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। নিচু অঞ্চলের দেশ হওয়ায় এ বিষয়ে নেদারল্যান্ডসের অভিজ্ঞতাও অনেক বেশি। এ চুক্তির ফলে নেদারল্যান্ডস এই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই, উন্নয়ন ও এর বাস্তবায়ন করবে।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫/শাহেদ/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪৩, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০

শাহেদ || রাইজিংবিডি.কম


Sunday, December 18, 2022

বার কাউন্সিলের এম সি কিউ পরীক্ষার প্রস্তুতি

বার কাউন্সিলের এম সি কিউ পরীক্ষার প্রস্তুতি

 




বার MCQ সকল পরীক্ষার্থীর উদ্দেশ্য আমার খোলা চিঠিঃ-

আগে নিজেকে স্থির করুন এ লাইনে আপনি ক্যারিয়ার করতে চান কিনা? যদি চান তাহলে যত ব্যস্তই থাকুন নিয়ম করে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় নিজে একা বাসায় পড়ালেখা করুন।

বার কাউন্সিল এর বিগত MCQ প্রশ্নের ধরন বুঝার চেষ্টা করুন।

যে বিষয়গুলো বুঝবেন না পৃথক খাতায় সেগুলো নোট রাখুন। এখানে একটু বলে রাখি কোন অভিজ্ঞ বলে থাকেন বেয়ার এ্যাক্ট (মূল আইন বই) না পড়লে আপনি ফেল আবার কোন অভিজ্ঞ বলে থাকেন মুল বই না পড়ে গাইডের উপর জোর দিন। আমার দৃষ্টিতে দুটাই ভূল ধারনা। এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হলো আপনি বাজার হতে ভালো মানের একটি গাইড কিনে পড়বেন এবং পাশাপাশি মূল বই কাছে রাখবেন। অথার্ৎ আমি গাইড বই এর পাশাপাশি মূল বই রাখার পরামর্শ দিচ্ছি। কারন পড়ায় সময় যেটা গাইড বইতে আপনার অস্পষ্ট মনে হবে কিংবা আরো অধিক তথ্য জানতে চান তখন সাথে সাথে আপনি মূল বইটি একটু চোখ বুলিয়ে নিলেন।

আপনার সুবিধা অনুযায়ি নোটকৃত বিষয় বুঝতে কোন বড় ভাই, বন্ধু বা ভালো কোচিং সেন্টারের সহযোগীতা নিন। তবে শর্ত হলো আগে নিজে বাসায় পুরো ৭টা বিষয় পড়ে শেষ করুন তারপর যে বিষয়টি বুজতে পারছেন না সেটার বিষয়ে কোচিং এর সহযোগিতা নিন।

এরপর আপনি নিজে যখন মনে করবেন সকল বিষয়ে আপনার একটি ভালো ধারনা তৈরী হয়েছে তারপর আপনি বিগত সনের সকল বার MCQ পরীক্ষার সমাধান করুন। এবং বাজারে বিভিন্ন মডেল টেষ্টের বই সংগ্রহ করে প্রতিদিন অনতত একটি মডেল টেষ্ট দিন। এই মডেল টেষ্ট দিতে গিয়ে আপনি আবার নতুন নতুন সমস্যায় পড়বেন তখন সে বিষয়গুলো আবার সমাধান করার চেষ্টা করুন এভাবে পরীক্ষা না দেওয়া পর্যন্ত চালাতে থাকুন কারন আইনের এ বিষয়গুলো হচ্ছে এমন যে আপনি গ্যাপ দিলে জানা বিষয়ও ভুলে যাবেন সুতরাং আপনাকে নিয়মিত পড়ে যেতে হবে। শুধু তাই নয় আপনার আশে পাশে যারা বার পরীক্ষার্থী রয়েছে সম্ভব হলে প্রতিদিন তাদের সাথে ৩০ মিনিট পড়ার বিষয়ে আলোচনা করুন দেখবেন নতুন নতুন বিষয় আপনি জানতে পারছেন।

প্রতিদিন যে বিষয়ে পড়লেন সে বিষয় হাটতে - চলতে- কাজ করতে মনে মনে রিভিশন দিন। প্রয়োজনে মোবাইলে স্কৃনশর্ট রাখুন।

নিয়মিত নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য চান।

শর্টকাট পাশ করার বিভিন্ন চিন্তা পরিহার করুন।

চটকদার বিজ্ঞাপন সম্বলিত কোচিং সেন্টার / ব্যক্তিকে পরিহার করুন। কারন এ গ্রুপে এমন অনেক পাবেন যে আপনাকে পাশ করার নিশ্চয়তা দিয়ে পড়াবে। মনে রাখতে হবে পড়া কিন্তু আপনাকে শেষ করতে হবে এরা কেউই গিয়ে আপনার পরীক্ষা দিবে না। সুতরাং আপনি ফেল করলে তখন আপনাকে শুনতে হবে "আপনি আমাদের পরামর্শ অনুযায়ি পড়েন নি আমার অন্য সকল ছাত্র তো পাশ করেছে"।

বার কাউন্সিল কর্তৃপক্ষকে নিয়ে অহেতুক মন্তব্য না করে সে সময়টা পড়াতে কাজে লাগান। কারন এ বিষয়ে মন্তব্য করা বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়।

সকল পরীক্ষার্থীর জন্য দোয়া ও শুভকামনা

-------------------------------------------

মোঃ সাইফুল ইসলাম (ফয়সাল)

ইনকাম টেক্স প্রেকটিশনার ও

বার ভাইভা পরীক্ষার্থী।

Tuesday, June 29, 2021

রাতের আকাশে গ্রীষ্মের ত্রিভুজ

রাতের আকাশে গ্রীষ্মের ত্রিভুজ

২৭ মে ২০২১ তারিখ রাত ২ টার পর মাথার উপর আকাশে সামার ট্রায়াঙ্গেল দেখলাম গ্রামের বাড়িতে । রাতটি ছিল পূর্নিমার পরের রাত । পূর্ণিমার পরের রাত হওয়ায় আকাশে আলোকোজ্জ্বল ছিল । উপরন্তু আকাশে মেঘের ভেলা থাকলেও আমাদের গ্রামের আকাশ বায়ুদূষণ ও আলোক দূষণমুক্ত হওয়ায় স্পষ্টভাবে সামার ট্রায়াঙ্গেল স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছিলো ।
সামার ট্রায়াঙ্গেলকে গ্রীষ্মের ত্রিভুজ বলা হয় । সামার ট্রায়াঙ্গেল হলো তিনটি নক্ষত্রের নকশা । নক্ষত্রগুলোর নাম হলো Vega, Altair এবং Deneb । এগুলোর বাংলা নাম হলো অভিজিৎ, শ্রবণা এবং পুচ্ছ । মে-জুন মাসে এসব নক্ষত্র থাকে মধ্য রাতে মাথার উপর । ফেব্রুয়ারী-মার্চ-এপ্রিল বা বসন্ত কালের দিকে থাকে ভোরের আকাশে । নভেম্বর মাসের দিকে এগুলো থাকে সন্ধ্যার পশ্চিম আকাশে । এসব নক্ষত্র চিনলে অনেকগুলো তারামন্ডল চেনা হয়ে যায় । কারণ এসব নক্ষত্র তিনটা তারামন্ডলের অংশ । আকাশের নক্ষত্রগুলো ৮৮ টা তারামন্ডলে বিভক্ত । তিনটা তারামন্ডল বীনা, ঈগল ও বক তারামন্ডলের অংশ । এসব তারামন্ডল চিনতে পারলে এসবের আশে পাশের তারামন্ডলগুলোও চেনা যায় । আমার নিবন্ধের এসব ছবি হতে সামার ট্রায়াঙ্গেল ও কিছু তারামন্ডল বা constellations চেনা সহায়ক হতে পারে ।

Monday, June 28, 2021

বারান্দা ও চিন্তার জগৎ

বারান্দা ও চিন্তার জগৎ

বারান্দায় সকালে দৈনিক পত্রিকা পড়া হোক, কিংবা বিকালে চা পান করাই হোক – বারান্দাটা হলো একটা গুরুত্বপূর্ণ স্হান ।
কারণ বারান্দায় অনেক কিছুই চোখে পরে যায় যেগুলো মনের জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করে । মন চট করে নিজের শূন্যতায় একটা নতুন ছবি একে নেয় ।

Thursday, June 24, 2021

লড়াই করো - মাঠ ছেড়ে পালিয়ে যেয়ো না

লড়াই করো - মাঠ ছেড়ে পালিয়ে যেয়ো না

 শক্তি রেখে চলে তারা কখনো হারে না । 
ব্যর্থতা একটা পরীক্ষা মাত্র – স্বীকার করো । 
কী ঘাটতি রয়েছে – দেখো, 
পূরণ করো যতক্ষণ না সফল হও । 
 শান্তির ঘুম ত্যাগ করো । 
 লড়াই করো – মাঠ ছেড়ে পালিয়ে যেয়ো না । 
 কিছু না করলে জয়ধ্বনি শোনা যায় না । 
 যে শক্তি রেখে চলে সে হারে না কখনো ।

Saturday, November 14, 2020

সাহিত্যের জন্য নিসর্গ

সাহিত্যের জন্য নিসর্গ

নীরবতা,একাকীত্ব, প্রকৃতি ও নিসর্গ মানুষের মনের দরোজা খুলে দেয় । 
 শহর থেকে দূরে এমন এক নিভৃত নিসর্গের মাঝে, নীল জলরাশি, ঝর্ণা, পাহাড় আর সামুদ্রিক মুক্ত হাওয়ায় নরওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে পাহাড় চূড়ায় একা নির্জন এক কুটিরে বসে বিংশ শতকের সেরা অস্ট্রিয়ার দার্শনিক লুডভিগ ভিটগেনস্টাইন তাঁর দার্শনিক রচনা "ট্র্যাকট্যাটাস লজিকো ফিলোসফিকাস" (1922) শেষ করেন।
এটি লেখা শুরু করেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সেনাছাউনিতে, পরে যুদ্ধবন্দী অবস্থায়। এ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, ক্যামব্রিজে বার্ট্রান্ড রাসেলের ছাত্র এবং বন্ধু ভিটগেনস্টাইন (১৮৮৯--১৯৫১) প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অস্ট্রিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। 

ভ্যাকেশনে ক্যামব্রিজ থেকে নরওয়েতে তিনি প্রথম আসেন ১৯১৩ সালে।বেড়ানোর জন্য বেছে নেন একটি দুর্গম জনবিরল পার্বত্য গ্রাম জোলডেন।এখানে তিনি একটি ছোট ঘর তৈরি করেন।এখান থেকে তিনি রাসেলকে এক চিঠিতে জানান যে, এখানে থেকেই তিনি লজিক্যল ম্যাথম্যাটিকসের সমাধান পাবেন। 

দ্বিতীয়বার এখানে আসেন ১৯৩৬-৩৭ সালে। এবার এখানে লিখলেন,"ফিলোসপিক্যাল ইনভেস্টিগেশন"। যা তার মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয়। ৬২ বছরের জীবনে তাঁর একটি মাত্র বই ট্র্যাকট্যাটাস প্রকাশিত হয়।

এক বই এখনো দার্শনিকদের ঘোরের মধ্যে রেখেছে।এই বইয়ে ভাষা ও বাস্তবতা এবং বিজ্ঞানের সীমা সম্পর্কে লজিক্যাল ভিত্তি তুলে ধরেন। 

জোলডেনের স্থানীয় লোকেরা পাহাড় চূড়ায় ভিটগেনস্টাইন কুড়ে ঘরটির নাম দিয়েছিল অস্ট্রিয়া হাউস।এই ঘরটি সংস্কার করে ২০১৮ সালে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।এটি এখন দার্শনিকের তীর্থভূমিতে পরিণত হয়েছে। 

ট্র্যাকট্যাটাস লেখার পরে দার্শনিক শোপেনহাওয়ারের ভাবশিষ্য ভিটগেনস্টাইন ভাবলেন তাঁর অনুসন্ধান শেষ হয়নি,তিনি ভাবাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন, জোলডেনের স্হানীয় লোকেরা বলেছেন, ভিটগেনস্টাইন কখনো কখনো ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টায় ওই ঘর থেকে বের হতেন না।

তার লেখার টেবিল থেকে বহুদূর পর্যন্ত নীল জলের লেক, ঝর্ণা, আকাশ দেখা যেত।রাত্রিতে তারকা দেখতেন আর অন্ধকার নিস্তব্ধতায় ডুবে থাকতেন। 

জোলডেনে ভিটগেনস্টাইনের অবস্থান আমাকে তিউনিশিয়ার পলিম্যাথ, সুফি ও কবি আবু সাইদ ইবনে খালিফ ইবনে ইয়াহিয়া আল তামিম আল বাজির কথা স্মরণ করে দেয়, যিনি থাকতেন ভূমধ্যসাগর উপকূলে নির্জন পার্বত্য এলাকায়,সেখানে তার শিষ্যরা আসতেন তার কাছে জ্ঞান আহরণে।তিনি পাহাড়ের নির্জন আশ্রয় থেকে সমুদ্রে মিশে যাওয়া আকাশের দিগন্ত দেখতে পেতেন। তিনি স্থানীয়দের কাছে সিদি বোয়া সাইদ নামে পরিচিত ছিলেন।এই নামেই আজো ওই এলাকাটির নাম চালু আছে এবং এই নামেই এটি এখন তিউনিসিয়ার আকর্ষণীয় পর্যটন নগরী। 


ফরাসী লেখক গুস্তাভ ফ্লেভার এই এলাকার নিসর্গের বর্ণনা দিয়েছেন।ফরাসী কবি লরনাড গ্যাসপার (ডি এইচ লরেন্স, রিলকে এবং জর্জ সেফেরিস অনুবাদক) দীর্ঘ সময় সিটি বোয়া সাইদে কাটিয়েছেন। গ্যাসপার এ নিয়ে "লিভিং বোয়া সাইদ" নামে বই লিখেছেন। 

 ছবিঃ নরওয়ের জোলডেন গ্রামে পাহাড় চূড়ায় ভিটগেনস্টাইনের লেখার টেবিল। 

 লেখক : মুহম্মদ আবদুল বাতেন
শিলগুরি করিডোর

শিলগুরি করিডোর


ভা রত ১৪ মাইল ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ শিলিগুরি করিডোর দিয়ে তার উত্তর-পূর্বের ৮ টি রাজ্যের সাথে যোগাযোগ রাখে। ঘটনাক্রমে চীন এই করিডোর দখল করলে এই ৮ টি রাজ্য হারাবে। 

এই শিলিগুরি করিডোর ১৯৪৭ সালে পূর্ব পাকিস্তানের ভাগে পরেছিলো। কিন্তু ভারতের যোগাযোগের স্বার্থে এই এলাকাসহ দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ জেলা ভা রতকে দেওয়া হয়। এটা খুবই সংকীর্ণ স্হান বলে চিকেন নেক বা মুরগীর গলা হিসেবে অভিহিত করা হয় । 


আজারবাইজানের নতুন মানচিত্র

আজারবাইজানের নতুন মানচিত্র

তুরস্ক এখন ভূমধ্য সাগর, কৃষ্ণসাগর এবং কাস্পিয়ান সাগর পর্যন্ত আধিপত্য বিস্তার করবে এবং মধ্য এশিয়ার সব তুর্কি ভাষী দেশগুলো নিয়ে একটা জোট তৈরী করার দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে। কারণঃ
১. রাশিয়ার উদ্যোগে করা চুক্তি অনুযায়ী,

আর্মনিয়া আজারবাইজানের কাছে পরাজয় স্বীকার করেছে ।  

আজারবাইজানের ২ টা এলাকা রাশিয়ার কাছে হস্তান্তর করে বাকী সব এলাকা আজারবাইজানকে হস্তান্তর করবে ।

আর্মেনিয়া দ্বারা বিচ্ছিন্ন আজারবাইজানের দুই অংশকে এক করার জন্য ইরান সীমান্ত সংলগ্ন ২৪ মাইল লম্বা এলাকায় রাস্তা করার জন্য কিছু এলাকা ছেড়ে দিবে। এর ফলে তুরস্ক সরাসরি আজারবাইজান হয়ে কাস্পিয়ান সাগরে যেতে পারবে। 


২. এই চুক্তির ফলে ইরান হতে আর্মেনিয়া কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে ও আর্মেনিয়া চরম বৈরী দেশগুলোর মধ্যে অবস্হান করবে। 

৩. রাশিয়া আজারবাইজানের দুইটা অংশ আজারবাইজান হতে অদুর ভবিষ্যতে আর্মনিয়াকে সান্তনা হিসেবে প্রদান করতে পারে। কারণ এই দুই এলাকা পার্বত্য কারাবাখের খৃস্টান এলাকা। 

এব্যাপারে তুরস্ক ও আজারবাইজানও আপত্তি করবে না। কারণ এর বিনিময়ে আজারবাইজানের দুই অংশকে এক করার জন্য রাস্তার করতে আর্মেনিয়া ইরান সংলগ্ন তার স্হান ছেড়ে দিবে চুক্তির ৯ নং দফা অনুযায়ী অদুর ভবিষ্যতে। 


 উপসংহারঃ 
যুগে যুগে যুদ্ধের মাধ্যমে দেশের মানচিত্র বদল হয় এবং দেশ প্রভাবশালী হয়। এর প্রমাণ তুরস্ক ও আজারবাইজান। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বিসমার্কের মতে, যে দেশের শত্রু বেশি তার সম্মানও বেশি। যেমনঃ তুরস্ক। 

বর্তমানে তুরস্কের শত্রু সৌদি আরবসহ বড় বড় মুসলিম দেশ, তেমনি ফ্রান্স ও গ্রীসের মতে অমুসলিম দেশও তুরস্কের শত্রু। 

কিন্তু তারপরও তুরস্ক ও তুরস্কের বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধান এরদুগানের সুনাম, সুখ্যাতি ও সম্মান বিশ্বজোড়া। শত্রুদের অনেকেই তাদের শ্রদ্ধার সাথে সমীহ করে। বীরভোগ্য বসুন্ধরা।
আজারবাইজানের যুদ্ধ জয়

আজারবাইজানের যুদ্ধ জয়

তুরস্ক ও আজারবাইজান খৃস্টান দেশ আর্মেনিয়ার সাথে চলমান যুদ্ধে জয়লাভ করেছে। আর্মেনিয়ার খৃস্টানরা সবচেয়ে প্রাচীণ খৃস্টান । আর্মেনিয়ান ভাষায় সবচেয়ে পুরাতন বাইবেল সংরক্ষিত আছে।
আর্মেনিয়া আজারবাইজানের পাঁচ ভাগের এক ভাগ ১৯৯৩ সাল হতে দখল করে রেখেছিলো। তুরস্কের ও আজারবাইজান - এই দুই দেশের জনগণের বেশির ভাগ জনগণ একই জাতিভুক্ত । এই দুই দেশ বন্ধুত্বপূর্ণ  সম্পর্ক  গড়ে তোলে ।  দুই  দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী ২৭ বছর ধরে  প্রশিক্ষণ নেয়। তারা এমন সব যুদ্ধাস্ত্র ও কৌশল ব্যবহার করে যা আগে কখনো ব্যবহার হয়নি। মাত্র ৩ সপ্তাহে জয় এসেছে। 

 রাশিয়া স্বপ্রনোদিত হয়ে ১০ নভেম্বর ২০২০ তারিখ আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার সাথে চুক্তি করেছে। 

চুক্তির উল্লেখযোগ্য দিকঃ 

১. ডিসেম্বর ২০২০ এর মধ্যে আর্মেনিয়ার দখলদার সৈন্যরা নিরস্ত্র হয়ে আজারবাইজান হতে সরে যাবে।
 
২. আজারবাইজানের নাকিচেভান প্রদেশের সাথে তুরস্কের ১১ মাইল সীমান্ত আছে। কিন্তু নাকিচেভান প্রদেশের পাশে আর্মেনিয়ার সুনিয়াক প্রদেশ। 

সুনিয়াক প্রদেশের ২৭ মাইল বা ৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকার কারণে আজারবাইজান দুই ভাগ হয়ে আছে। 

এই চুক্তিতে আর্মেনিয়ার ভিতর ২৭ মাইল দীর্ঘ রাস্তা করে সরাসরি আজারবাইজানের দুই অংশে যাতায়াতের সুবিধা পাবার কথা আছে।

যদি এমন অবস্হা হয়, তাহলে তুরস্ক সড়ক পথে ইস্তাম্বুল হতে পাকিস্তান ও কাজাখস্তান পর্যন্ত ৫ টা তুর্কিভাষী ও ১০ টা মুসলিম দেশের মধ্যে ইরানকে বাইপাস করেই যোগাযোগ করার সুযোগ লাভ করবে।

Friday, October 2, 2020

Saturday, January 25, 2020

করোনা প্রসঙ্গ

করোনা প্রসঙ্গ

 
আজ দেখলাম বিশ্বের ১৫ শীর্ষ করোনা ভাইরাস আক্রান্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৫ তম, পাকিস্তান ১৪ তম, সৌদি আরব ১৩ তম, ইরান ১১ তম ও ভারত ৩য় স্হান অধিকার করেছে। আলহামদুলিল্লাহ শীর্ষ ২০ দেশের মধ্যে মুসলিম প্রধান দেশ হাতে গোনা। 

 
 
৫৭ টা মুসলিম দেশ এক কমই করোনা দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। কারণ আল্লাহ মুসলিমদের রহমতের গিলাফে আবদ্ধ রেখেছেন এবং আল্লাহ তায়ালা রাসুল ( সা.) - কে বলেছেন যে তাঁর অনুসারীদের রোগ-ব্যাধি-মহামারি দিয়ে একেবারেই নিশ্বেষ করে দিবেন না। 
 
 
আমার আত্মীয়-স্বজন-বন্ধু-শুভাকাঙ্খী-পরিচিতদের অনেকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের বেশির ভাগই সুস্হ হয়েছেন। খুবই ক্ষুদ্র অংশ ইন্তেকাল করেছেন।
আমাদের সবার উচিত স্বাস্হ্য বিধি কঠোরভাবে মেনে চলা ও একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে বের না হওয়া। আর সবাইকে পরিত্রাণের জন্য আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করা।
 
১১ অগাস্ট ২০২০ - এ লেখা । ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০  তারিখেও বাংলাদেশের অবস্হান ১৫ তম ।