Showing posts with label টিপস্ এন্ড ট্রিকস্. Show all posts
Showing posts with label টিপস্ এন্ড ট্রিকস্. Show all posts

Sunday, December 18, 2022

বার কাউন্সিলের এম সি কিউ পরীক্ষার প্রস্তুতি

বার কাউন্সিলের এম সি কিউ পরীক্ষার প্রস্তুতি

 




বার MCQ সকল পরীক্ষার্থীর উদ্দেশ্য আমার খোলা চিঠিঃ-

আগে নিজেকে স্থির করুন এ লাইনে আপনি ক্যারিয়ার করতে চান কিনা? যদি চান তাহলে যত ব্যস্তই থাকুন নিয়ম করে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় নিজে একা বাসায় পড়ালেখা করুন।

বার কাউন্সিল এর বিগত MCQ প্রশ্নের ধরন বুঝার চেষ্টা করুন।

যে বিষয়গুলো বুঝবেন না পৃথক খাতায় সেগুলো নোট রাখুন। এখানে একটু বলে রাখি কোন অভিজ্ঞ বলে থাকেন বেয়ার এ্যাক্ট (মূল আইন বই) না পড়লে আপনি ফেল আবার কোন অভিজ্ঞ বলে থাকেন মুল বই না পড়ে গাইডের উপর জোর দিন। আমার দৃষ্টিতে দুটাই ভূল ধারনা। এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হলো আপনি বাজার হতে ভালো মানের একটি গাইড কিনে পড়বেন এবং পাশাপাশি মূল বই কাছে রাখবেন। অথার্ৎ আমি গাইড বই এর পাশাপাশি মূল বই রাখার পরামর্শ দিচ্ছি। কারন পড়ায় সময় যেটা গাইড বইতে আপনার অস্পষ্ট মনে হবে কিংবা আরো অধিক তথ্য জানতে চান তখন সাথে সাথে আপনি মূল বইটি একটু চোখ বুলিয়ে নিলেন।

আপনার সুবিধা অনুযায়ি নোটকৃত বিষয় বুঝতে কোন বড় ভাই, বন্ধু বা ভালো কোচিং সেন্টারের সহযোগীতা নিন। তবে শর্ত হলো আগে নিজে বাসায় পুরো ৭টা বিষয় পড়ে শেষ করুন তারপর যে বিষয়টি বুজতে পারছেন না সেটার বিষয়ে কোচিং এর সহযোগিতা নিন।

এরপর আপনি নিজে যখন মনে করবেন সকল বিষয়ে আপনার একটি ভালো ধারনা তৈরী হয়েছে তারপর আপনি বিগত সনের সকল বার MCQ পরীক্ষার সমাধান করুন। এবং বাজারে বিভিন্ন মডেল টেষ্টের বই সংগ্রহ করে প্রতিদিন অনতত একটি মডেল টেষ্ট দিন। এই মডেল টেষ্ট দিতে গিয়ে আপনি আবার নতুন নতুন সমস্যায় পড়বেন তখন সে বিষয়গুলো আবার সমাধান করার চেষ্টা করুন এভাবে পরীক্ষা না দেওয়া পর্যন্ত চালাতে থাকুন কারন আইনের এ বিষয়গুলো হচ্ছে এমন যে আপনি গ্যাপ দিলে জানা বিষয়ও ভুলে যাবেন সুতরাং আপনাকে নিয়মিত পড়ে যেতে হবে। শুধু তাই নয় আপনার আশে পাশে যারা বার পরীক্ষার্থী রয়েছে সম্ভব হলে প্রতিদিন তাদের সাথে ৩০ মিনিট পড়ার বিষয়ে আলোচনা করুন দেখবেন নতুন নতুন বিষয় আপনি জানতে পারছেন।

প্রতিদিন যে বিষয়ে পড়লেন সে বিষয় হাটতে - চলতে- কাজ করতে মনে মনে রিভিশন দিন। প্রয়োজনে মোবাইলে স্কৃনশর্ট রাখুন।

নিয়মিত নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য চান।

শর্টকাট পাশ করার বিভিন্ন চিন্তা পরিহার করুন।

চটকদার বিজ্ঞাপন সম্বলিত কোচিং সেন্টার / ব্যক্তিকে পরিহার করুন। কারন এ গ্রুপে এমন অনেক পাবেন যে আপনাকে পাশ করার নিশ্চয়তা দিয়ে পড়াবে। মনে রাখতে হবে পড়া কিন্তু আপনাকে শেষ করতে হবে এরা কেউই গিয়ে আপনার পরীক্ষা দিবে না। সুতরাং আপনি ফেল করলে তখন আপনাকে শুনতে হবে "আপনি আমাদের পরামর্শ অনুযায়ি পড়েন নি আমার অন্য সকল ছাত্র তো পাশ করেছে"।

বার কাউন্সিল কর্তৃপক্ষকে নিয়ে অহেতুক মন্তব্য না করে সে সময়টা পড়াতে কাজে লাগান। কারন এ বিষয়ে মন্তব্য করা বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়।

সকল পরীক্ষার্থীর জন্য দোয়া ও শুভকামনা

-------------------------------------------

মোঃ সাইফুল ইসলাম (ফয়সাল)

ইনকাম টেক্স প্রেকটিশনার ও

বার ভাইভা পরীক্ষার্থী।

Saturday, June 26, 2021

পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার উপায় -১

পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার উপায় -১

“একটি বেস্ট প্র্যাকটিস, পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার উপায়” লিখেছেন : কাজি জহিরুল ইসলাম 

শনিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে যখন মর্নিং ওয়াকে বেরুলাম, তখন আমার রিভিয়েরার বাড়িকে প্রদক্ষিণ করে ছুটে যাওয়া দুই কিলোমিটারের সার্কেলটি একেবারে অচেনা লাগছে । রাস্তায় একটাও ঝরাপাতা নেই, ফুটপাথের ভাঙা কংক্রিটের ফাক গলে গজিয়ে ওঠা ঘাসের ডগা নেই । পাইনের কিরিকিরি পাতার যে আস্তরণ রোজ সকালে মাড়িয়ে পা ফেলি সেখানে এখন ঝকঝকে পিচঢালা পথের কালো চিতানো বুক । পথের ওপর একটাও সিগেরেটের বাট নেই, আবর্জনায় নাক ডুবিয়ে পড়ে থাকা ছেঁড়া পলিথিনের ব্যাগ নেই, এমন কি পথের কোথাও সাত সকালে কে এসে অমন সাফ করে দিয়ে গেল? 

আমাদের সকল উদ্বেগ, উৎকন্ঠার অবসান ঘটলো আধ কিলোমিটার পথ পার হওয়ার পরেই । যেন একটা উৎসবে মেতে উঠেছে সার্কেলের দুই পাশে বসাবসারত বাসা-বাড়ির ছয় বছরের শিশু থেকে শুরু করে ২৩/২৪ বছর বয়েসী তরুণী/তরুণ । প্রত্যের হাতে ঝাঁটা, মোশেইদ (রামদা জাতীয় ধারালো অস্ত্র, মাথার দিকটা প্রায় তিন ইঞ্চি চ্যাপ্টা), ময়লা তোলার কোদাল, খুন্তি, দুই/তিন মিটার পর পর নীল রঙ্গের বালতির সারি । আর অপেক্ষাকৃকত বড়রা, ময়লাভর্তি ভ্যানগুলো ঠেলতে ঠেলতে নিয়ে যাচ্ছে একটা নির্দিষ্ট স্হানে ।

এক্তেদার সাহেব অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থেকে বল্লেন, ও তাহলে এই হলো ঘটনা ! হাঁ, এই হলো ঘটনা । ঘটনাটি আমি এজন্য লিখছি, এটিকে একটি বেস্ট প্র্যাকটিস হিসাবে চিহ্নিত করে আমি বাংলাদেশের মানুষকে জানাতে চাই ।
আজ আবিদজানের যে সব ছেলে-মেয়েরা নীল বালতি নিয়ে ভোর পাঁচটায় রাস্তায় নেমে এসেছে নিজের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য, তারা সবাই আমাদের মতোই তৃতীয় বিশ্বে বসবাসকারী স্কুল কলেজে পড়ুয়া ছেলে-মেয়ে । এটা ওদের দীর্ঘ দিনের প্র্যাকটিস । ফরাসীরা দীর্ঘ ঔপনিবেশকালে অন্য অনেক জিনিজের মতো পরিচ্ছন্নতাও যে একটি শৈল্পিক সৌন্দর্য এই বোধ ওদের মগজের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে, যা ইংরেজ আমাদের শেখাতে পারেনি । 

এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানটি ওরা চালায় মাসে একদিন, একটি নির্দিষ্ট শনিবারে । করো চোখে মুখে ক্লান্তির ছাপ নেই, অবসন্নতা নেই । সকলেই যেন একটি উৎসব আনন্দে উদ্দেপিত, উদ্বেলিত । যেন এক মহৎ কর্মযজ্ঞে শামিল হতে পেরে ধন্য সবাই । মুখে হাসি নিয়ে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা ভোরের ফুরফুরে হাওয়ার মতো উডে বেড়াচ্ছে । একটু যারা বড় তারা নিজেরা কাজ করার পাশাপাশি অন্যদের কাজ মনিটরও করছে । যদি কোন শিশু কাজ রেখে ধুলা বালি দিয়ে খেলতে নেমে গেল, তখন হাসি দিয়ে ওকে কাজে ফিরিয়ে আনছে । ফরাসী ভাষায় এমন কিছু বলছে, অনুমাণ করছি, আজকের এই কাজ করাটাই খেলা, এমন কিছু বুঝতে পেরে শিশুটি দৌড়ে এসে কাগজ কুড়াতে শুরু করে দিলো । পিচঢালা পথটি দুই কিলোমিটারের একটি বৃত্ত রচনা করে যেখান থেকে শুরু হয়েছিলো আবার ঠিক সেখানে এসেই শেষ হয়েছে । অথবা বলা যায় পথটি কেবল অনন্তকাল ধরে বৃত্তাকারে ঘুরছেই, শেষ খুঁজে পাচ্ছে না । 


পথের ডানদিকে অর্থাৎ বৃত্তের বাইরের অংশে প্রায় পঞ্চাশ মিটার ফাঁকা জায়গা, পিচঢালা পথটির সমান্তরাল ছুটে গেছে, যা ঘাসের ঘন অবণ্য আর মাঝে মাঝে আপন মনে বেড়ে ওঠা বনবট,বিশাল মোটা মোটা নিম, পান্হনিবাস, ভোগেনভেলিয়া, মাধবলতাসহ নানান প্রজাতির বৃক্ষলতায় শোভিত । তার পেছনেই সারি সারি হলুদ রঙের তিন তলা বাড়ি । এরই একটি বাড়িতে আমার বাসা । আর বাঁ দিকে, অর্থাৎ সার্কেলের ভেতরে একই দুরত্বে গড়ে উঠেছে বিশাল জায়গা জুড়ে একেকটি নয়নাভিরাম ভিলা । এক দল তরুণ অন্তহীন উৎসাহে মেশিন চালিয়ে দু’পাশের এই ফাঁকা জায়গায় গজানো ঘাসবন ট্রিম করছে । এক দল ফুটপাথের পাথরের ফাঁকে গজানো ঘাসের ডগা কেটে সাফ করছে, এক দল রাস্তা ঝাড়ু দিচ্ছে, এক দল কোদাল নিয়ে নীল বালতিতে পাথরের ধুলি কাদা, ছেড়া কাগজ, কয়লা আবর্জনা ঝরাপাতার স্তুল তুলে নিচ্ছে । ভ্যানগাড়িগুলো কাছে এগিয়ে আসতেই ময়লাভর্তি সারি সারি নীল বালতি তাতে উপুড় হয়ে যাচ্ছে । যেন একটা প্রশিক্ষিত চেইন ওয়ার্ক । পরিস্কার করতে করতে পুরো দলটি সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, পেছনে রেখে যাচ্ছে একটি ঝকঝরে পরিচ্ছন্ন পথ ও তার পরিবেশ । 

গত জুলাই মাসে যখন ঢাকায় যাই, তখন দেখলাম গুলশান এক নম্বরেরে সেই অতি পরিচিত সার্কেলটি আর নেই । ওখানে এখন লাইট ফাইট লাগিয়ে একটা জবরদস্ত চৌরাস্তা বানানো হয়েছে, যদিও এতে জানজট আরও বেড়েছে । সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য তারই দুপাশে ছোট দুইটি আইল্যান্ডে বাগান করা হয়েছে । খবররের কাগজ কিনতে যখন ডিসিসি মার্কেটে গেলাম তখন দেখি একটি ২৪ ২৪ বছরের যুবক সেই বাগান সাফ করছে । ওর সাফ করার ধরণ দেখে আমার খুব হাসি পেল । বাগান থেকে কুড়িয়ে এসে সে ছেড়া কাগজের টুকরাগুলি পথের ওপর ছড়িয়ে দিচ্ছে । ভাবলাম, ওকে দুটো কথা বলা আমার নাগরিক দায়িত্ব । এগিয়ে গিয়ে বললাম, তুমি যে কাগজের টুকরাগুলো পথের ওপর ফেলছো, এগুলোতো বাতাসে উড়ে আবার বাগানেই ফিরে যাবে । ও খুব বিরক্ত ভঙ্গিতে আমাকে বললো, তাইলে কি করুম, আমি বললাম, একটা ব্যাগ নাও । ময়লা, আবর্জনা, কাগজের টুকরা, সিগারেট বাট এইসব কুড়িয়ে ব্যাগে ভরো । তারপর নিকটস্হ কোনো ডাস্টবিনে নিয়ে ফেল । ও বললো, ব্যাগ পামু কই ? এ প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে নেই । তবে আমি আশা করছি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের কাছে এর একটা সদুত্তর আছে ।

আবিদজানের এই ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের এতো গোছানো কাজ দেখে আমার কেবল গুলশানের সেই ছেলেটির কথাই মনে পড়ছে আর চোখের সামনে ভেসে উঠেছে ঢাকা শহরের, আমাদের বাড়ি ঘরের চারপাশের, আবর্জনাময় নোংরা পরিবেশের অসহায় চিত্রটি । 

আবিদজান, আইভরিকোস্ট ৩১ মার্চ ২০০৬

Tuesday, December 1, 2020

৮.৫ ইঞ্চি ও প্রস্থ প্রায় ৫.৫ ইঞ্চি আকারের বই কম্পিউটারে কম্পোজ করার নিয়ম

৮.৫ ইঞ্চি ও প্রস্থ প্রায় ৫.৫ ইঞ্চি আকারের বই কম্পিউটারে কম্পোজ করার নিয়ম

 


বাজারে উচ্চতা ৮.৫ ইঞ্চি ও প্রস্থ প্রায় ৫.৫ ইঞ্চি আকারের বই বেশি পাওয়া যায় । এই আকারের বই কম্পিউটারে কম্পোজ করার নিয়ম যদি লেখক জানেন তাহলে তাঁর কিছু খরচ কমে যায় । 


আপনার পুরো পাণ্ডুলিপি প্রকাশকের কাছে দেয়ার পর মনোনীত হলে তিনি ওটা কম্পোজে দিয়ে দিবেন। ১৬ পৃষ্ঠা বা প্রচলিত কথায় ৮ পাতায় এক ফর্মা। প্রতি ফর্মা টাইপিং সহ ট্রেসিং বের করতে বর্তমান বাজার দর গড়ে  পাঁচ শত টাকা, দু বার প্রুফ চেকিং।

 

আপনি নিজে কম্পিউটারে কম্পোজ বা টাইপ করতে পারলে এ খরচটি বাদ যাবে। সেক্ষেত্রে বই ছাপবার জন্য আপনাকে পেইজ সেট-আপ করে নিতে হবে।

পেইজ সেট-আপ:

এমএস ওয়ার্ডের ফাইল মেনুতে যান> পেইজ সেট-আপ> পেপার সাইজ> ১১ বাই ৮.৫ সিলেক্ট করুন। ওরিয়েন্টেশন দিন ল্যান্ডস্কেপ। মার্জিনে যান। টপ .৮ এবং বটম .৮। লেফট ও রাইট উভয়ই .৭। গাটার ০, ফ্রম এজ .৫ করে। ব্যস, পেইজ সেট-আপ হয়ে গেল।


এবার টেক্সটে আসুন। তারপর চলুন ফরম্যাট মেনুতে। যান কলামে। নাম্বার অফ কলাম সিলেক্ট করুন ২ (দুই)। উইডথ এন্ড স্পেসিং-এ যান। উইডথ হবে ৪.০০ এবং স্পেসিং হবে ১.৬। এরপর যান ট্যাব সেটিং-এ। ডিফল্ট ট্যাব স্টপস দিন .২।

এভাবে সেটিং সম্পন্ন করার পর যা হলো তাতে বইয়ের পাতার মাপ হবে উচ্চতা ৮.৫ ইঞ্চি এবং প্রস্থ প্রায় ৫.৫ ইঞ্চি।

কিন্তু যে-অংশটুকুতে লেখা উঠবে (একে ম্যাটারিয়াল বা ম্যাটার বলে) তার মাপ হবে ৭ ইঞ্চি বাই ৪.০০ ইঞ্চি।

এরপর টাইপের জন্য ফন্ট নির্বাচন। সব ফন্টেই সুন্দর ছাপা ওঠে না। আদর্শলিপি এক্সপ্যান্ডেড (স্কেল ৭৫ পার্সেন্ট) এবং সুটুনি এমজে-তে ভালো ছাপা হয়।

প্রকাশকের কাছে ট্রেসিং বের করা:

আপনি নিজে টাইপ করে ট্রেসিং বের করার জন্য প্রকাশকের কাছে আসুন ।আপনার প্রকাশকের মাধ্যমে ট্রেসিং বের করুন। নিজেও করতে পারেন। ভালো ট্রেসিং পেপারে এক ফর্মা প্রিন্ট করতে ৮০ থেকে ১০০ টাকা লাগবে। মনে রাখবেন, এটি হতে হবে মিরর প্রিন্ট।

 

Thursday, November 12, 2020

মনোযোগ বাড়াতে সাজান পড়ার টেবিল

মনোযোগ বাড়াতে সাজান পড়ার টেবিল

পড়ার প্রতি মনোযোগ আনতে পারেন কয়েকটি উপায়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মধ্যে পড়ার পরিবেশ তৈরি করতে হবে সবার আগে।
আর তাই পড়ার ঘরকে গুছিয়ে রাখুন সব সময়। ছোটদের জন্যই হোক বা বড়দের, পরীক্ষা হোক বা মনের খিদে মেটানো,পড়ার ঘর যেন হয় আকর্ষণীয়। তবে চলুন জেনে নিই পড়ার ঘরকে যেভাবে আকর্ষণীয় করে তুলবেন- 

 > পড়ার ঘর যেন অবশ্যই খোলামেলা হয়। যাতে পর্যাপ্ত আলো বাতাস ঢুকতে পারে। রাতের বেলার জন্য পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখুন। যাতে আপনার পড়তে কোনো অসুবিধা না হয়। 

 > পড়ার টেবিল এবং বুক শেলফ গুছিয়ে রাখুন। পড়ার পর বইটি রেখে দিন শেলফের নির্দিষ্ট তাকে। বইপত্র ছড়ানো ছিটানো থাকলে, ঘরে ঢুকতে মোটেই ইচ্ছে করবে না। এমনকি পড়ায়ও মন বসবে না। 

> ঘর, পড়ার টেবিলসহ আসবাবপত্র সবসময় মুছে পরিষ্কার রাখুন। ঘর বা ব্যবহারের জিনিসপত্র অপরিস্কার রাখবেন না। এতে করে পড়তে বসার ইচ্ছাই আর থাকে না। 

> টেবিলের পাশে বা জানলায় ছোট ছোট ফুলের গাছ রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে অর্কিড, মানিপ্ল্যান্ট, বনসাই রাখতে পারেন। এটি একদিকে যেমন ঘরের শোভা বাড়াবে অন্যদিকে মনও ভালো রাখবে। 

> পড়ার ঘর যতোটা সম্ভব কোলাহল মুক্ত রাখুন। তাতে মনসংযোগ ভালো হবে। বাড়ি ছোট হলেও, সবচেয়ে নিরিবিলি জায়গা বেছে নিন পড়ার ঘর তৈরির জন্য। 

> পড়ার ঘরে টেলিভিশন একেবারেই রাখবেন না। কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকলে, স্পিকারের ভলিউম কম করে রাখুন। 

> পড়ার টেবিলে বেশি জিনিসপত্র না রাখাই ভালো। যতটুকু না রাখলেই নয়, ততটুকুই রাখুন। 

অর্থাৎ বই, খাতা, কলমদানির পাশাপাশি রাখতে পারেন ছোট্ট ফুলদানি, প্রিয় কারো পোস্টার। যা আপনাকে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
সেলফোনের ব্যাটারির যত্ন নিন

সেলফোনের ব্যাটারির যত্ন নিন

মোবাইল ফোনের ব্যাটারির যত্ন নিলে ভালো থাকে। সম্প্রতি স্যামসাংয়ের নোট ৭ স্মার্টফোনের ব্যাটারি বিস্ফোরণের ঘটনার পর লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি নিয়ে অনেকেই উদ্বেগে রয়েছেন। আধুনিক অনেক স্মার্টফোন ও প্রযুক্তিপণ্যে এই ব্যাটারির ব্যবহার দেখা গেছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। এ ব্যাটারিতে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা কম। নিয়ম মেনে চার্জ দিলে ফোনের ব্যাটারি ভালো রাখতে পারবেন এবং দুর্ঘটনার আশঙ্কাও কমবে।
চার্জ ধরে রাখুন : 
আপনার মোবাইল ফোনে বেশি করে চার্জ রাখুন। লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিতে অধিকাংশ সময় ৫০ শতাংশ বা তার বেশি চার্জ রাখবেন। বেশি চার্জ ধরে রাখলে ব্যাটারি ভালো থাকবে বেশি দিন। 


চার্জশূন্য করবেন না : 
ব্যাটারির চার্জ একেবারে নিঃশেষ করে আবার শতভাগ পূর্ণ করার অভ্যাস বদলে ফেলুন এখুনই। এতে ব্যাটারির আয়ু কমে যায়। বিশেষজ্ঞরা জানান, শূন্য থেকে ১০০ রিচার্জ করাকে ‘চার্জ সাইকেল’ বলে। মাসে একবার চার্জ সাইকেল পূর্ণ করতে পারেন। এতে ব্যাটারির কার্যকারিতা বাড়বে। 

চার্জার ব্যবহারে সতর্ক থাকুন : 
যে ফোনের জন্য যে চার্জার নির্ধারিত, সেটিই ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। চার্জার সঙ্গে না থাকলে অন্য চার্জার ওই ফোনের জন্য অনুমোদিত কি না, তা দেখে নিন। নকল চার্জার ব্যবহারে সতর্ক থাকুন। 

ফোন ঠান্ডা রাখুন : 
ফোন যতটা সম্ভব ঠান্ডা রাখুন। লি-আয়ন ব্যাটারি বেশি চার্জ হলেও কোনো সমস্যা হয় না। তবে ফোনটি যেখানে চার্জ দিচ্ছেন বা রাখছেন, সে জায়গা যেন অতিরিক্ত গরম না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। এতে ফোন অতিরিক্ত গরম হতে পারে। ফোন আবার অতিরিক্ত ঠান্ডা জায়গায় রাখাও ঠিক নয়। খুব বেশি ঠান্ডা বা অতিরিক্ত গরম ব্যাটারির কার্যক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলে। 

ব্যাটারি খুলে রাখলেও চার্জ রাখুন : 
ব্যাটারি যদি খুলে রাখতে চান, তবে তাতে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ রেখে দিন। কোনো ফোন শূন্য চার্জে বেশি দিন রাখবেন না। লি-আয়ন ব্যাটারি অব্যবহৃত অবস্থাতেও প্রতি মাসে ৫ থেকে ১০ শতাংশ চার্জ শেষ করে। এটি অবশ্য তৈরির ওপর নির্ভর করে কিছুটা। বেশি দিন চার্জশূন্য রাখলে ব্যাটারি আর চার্জ ধরে রাখার অবস্থায় না-ও থাকতে পারে। 

সারা রাত চার্জে সতর্কতা : 
সারা রাত চার্জার মোবাইল ফোনে লাগিয়ে রাখলেও তেমন ক্ষতি নেই। তবে সতর্ক থাকা ভালো। এখনকার অধিকাংশ ফোনে এমন প্রযুক্তি থাকে, যাতে চার্জ পূর্ণ হলে আবার কিছুটা চার্জ শেষ করে ফেলে ব্যাটারি। আবার চার্জ নিতে শুরু করে। এভাবে চলতে থাকে। তাই সারা রাত চার্জ দিলেও সমস্যা হয় না। কিন্তু কিছু ফোন এতে অতিরিক্ত গরম হতে পারে।
কিবোর্ড দীর্ঘ দিন সচল রাখুন

কিবোর্ড দীর্ঘ দিন সচল রাখুন

ল্যাপটপের কিবোর্ড ও টাচপ্যাডের যত্ন নিতে হবে এই টিউটোরিয়ালে সেটাই তুলে ধরা হলো।
ল্যাপটপের কিবোর্ডকে ধুলো-বালির হাত থেকে রক্ষা করতে বিশেষ কি-বোর্ড স্ক্রিন পেপার ব্যবহার উচিত। ল্যাপটপের কিবোর্ডের ধরন অনুযায়ী বাজারে তা পাওয়া যায়। 

ময়লা হাতে কখনো ল্যাপটপ ব্যবহার করা উচিত না। এতে করে টাচপ্যাড এবং কিবোর্ডে ময়লা জমে। তাই ডিভাইসটি ব্যবহারের আগে হাতের ধুলোবালি ঝেড়ে-মুছে নিতে হবে। ল্যাপটপে গেইম খেলার সময় অনেকে কিবোর্ডে জোরে চাপ দেন। এতে কি ভেঙে যেতে পারে। তাই কিবোর্ডে সব সময় যতটা সম্ভব আস্তে চাপ দেয়া উচিত। 

ল্যাপটপে বেশি গেইম খেলা হলে ইউএসবি কিংবা ওয়্যারলেস কিবোর্ড ব্যবহার করা উচিত। ল্যাপটপ ব্যবহারের সময় পানি, চা, কফির গ্লাস,মগ খুব সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। হঠাৎ করে তরল পদার্থ পড়ে গিয়ে টাচপ্যাড কিংবা কিবোর্ডের ক্ষতি হতে পারে। 

টাচপ্যাড ব্যবহারের পাশাপাশি এক্সটারনাল বা ইউএসবি মাউস ব্যবহার করতে চেষ্টা করা উচিত। এতে করে টাচপ্যাডের উপর চাপ কম পড়বে। কিবোর্ডর ফাঁকে ফাঁকে ময়লা জমলে নরম কাপড় বা ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। শক্ত কোন ধাতব বস্তু দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত নয় । 
কলমের কালির দাগ দূর করার উপায়

কলমের কালির দাগ দূর করার উপায়

কাপড়ে একবার কলমের দাগ লাগলে সেটা পুরোপুরিভাবে দূর করা বেশ কষ্টের ব্যাপার। সঠিকভাবে এই দাগ তোলার ব্যবস্থা করতে না পারলে কালির দাগ স্থায়ী হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে কাপড় ফেলে দেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। আজ জেনে নেই কিভাবে কার্যকরীভাবে কালির দাগ তুলবেন।
* কালির দাগ লাগলে সেটা কখনও ঘষবেন না। এতে দাগ আরও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। যেস্থানে কালির দাগ লেগেছে, সেখানে কিছু পরিমাণ সাদা টুথপেষ্ট লাগিয়ে রাখুন। ১৫/২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। ধোয়ার সময় ব্রাশ দিয়ে আলতভাবে ঘষুণ। দেখবেন দাগ বেশ হালকা হয়ে গেছে। 

* আরেকটি পদ্ধতি হলো কালি লাগা অংশটুকু কাঁচা দুধে কিছু সময় ভিজিয়ে রাখতে পারেন। কিছুক্ষণ পর সাধারণ কাপড় কাচা ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে দেখবেন আস্তে আস্তে কালির দাগ হালকা হয়ে আসবে। 

* কিছু পরিমাণ গ্লিসারিন নিয়ে সামান্য গরম করে কালির দাগের ওপর কয়েক বার ঘষুণ। এরপর ভালো করে সাধারণ কাপড় কাচা ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যদি সম্ভব হয় কয়েক ফোঁটা অ্যামোনিয়া যোগ করতে পারেন এই গ্লিসারিনের সঙ্গে। 

* আরেকটি মজার বিষয় রয়েছে। সেটি হলো চুল সুন্দর করার কাজে ব্যবহৃত হেয়ার স্প্রেও কালির দাগ দূর করে থাকে। কালির দাগের ওপর হেয়ার স্প্রে দিয়ে কয়েকবার স্প্রে করতে হবে। তারপর কিছুক্ষণ রেখে শুকানোর পর ধুয়ে ফেলতে হবে। 

* আমরা সচরাচর নেলপলিশ উঠানোর জন্য যে রিমোভার ব্যবহার করে থাকি। রিমোভার দিয়ে অনেক সময় কালির দাগ দূর করা যায়। 

* আরেকটি জিনিস রয়েছে যেটি দাগ তোলার জন্য উপকার করে থাকে। আর তা হলো এলকোহল। এটি অনেক সময় ভালো দাগ দূরীকরণ উপাদান হিসেবে কাজ করে থাকে। কালির দাগ লাগা স্থানটি কিছু সময় এলকোহল দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর স্বাভাবিক নিয়মে সাধারণ ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। 

* আমরা অনেকেই জানি লেবুর রস কালির দাগ উঠাতে কাজে আসে। কালির দাগ লাগা স্থানটিতে লেবুর রস দিয়ে ভালো করে বেশ কিছক্ষণ ঘষুণ। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এতেও উপকার পাবেন। 

* গরম পানির মধ্যে ১ বা ২ চা চামচ ডিটারজেন্ট, ১ টেবিল চামচ হোয়াইট ভিনেগার দিয়ে কালির দাগ লাগা কাপড়টি ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন।
বই বুক শেলফে রাখার টিপস্

বই বুক শেলফে রাখার টিপস্

বই রাখতে আলমারি বা বুকশেলফ তো লাগবেই। বড় তাকে ছোট বই রাখলে জায়গার অনেক অপচয় হয়। তাই বইয়ের ধরন বুঝে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বুকশেলফের ব্যবস্থা করতে হবে। 

বই গুছিয়ে রাখুন বিষয় অনুযায়ী।
 
সহজে খুঁজে পেতে হলে বইয়ে লেবেলিং ও ট্যাগ লাগিয়ে নিন।
 
বিষয় অনুযায়ী আলমারিতে সাবজেক্টের লেবেল লাগিয়ে নিন।

শেলফ থেকে বই নিলে পড়া শেষে শেলফের ঠিক জায়গায় রাখুন।

বুকশেলফের মাপ অনুযায়ী বই রাখুন। গাদাগাদি করে বই রাখবেন না। 

বই রাখার সর্বোত্তম পন্থা হলো খাড়া করে রাখা। একটার ওপর আরেকটা রাখলে বাঁধাইয়ের ক্ষতি হতে পারে। 

সাজানোর ক্ষেত্রে বই বিষয়ভিত্তিকভাবে সাজানো যেতে পারে। আবার সংগ্রহের সময় বা লেখকের নামানুসারেও সাজানো যেতে পারে। 

বইয়ের সংগ্রহটা বড় হয়ে গেলে ক্যাটালগিং পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে। ক্যাটালগিংয়ের সফটওয়্যার ছাড়াও কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে, যেখানে এ ধরনের সেবা বিনা পয়সায় পাওয়া যায়।
দিন যত যায় বইগুলোর বয়সও বাড়ে। অনেক সময় ছিঁড়েও যায়। প্রয়োজনের সময় যদি বইয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাতাটি খুঁজে না পান, তবে কেমন লাগবে আপনার কাছে! নিশ্চয়ই প্রিয় বইয়ের জন্য মনটা খারাপ হয়ে যাবে। তাই সময়মতো বইগুলো বাঁধাই করে নিন। 

বইয়ের আকার বড় কিংবা বেশি পৃষ্ঠার হলে মোটা মলাটে এক পাশে র‌্যাকসিন দিয়ে সুন্দর করে বাঁধাই করে নিতে পারেন। 

ভারী বই পড়ার সময় বুক কুশন বা রেহালে বই রেখে পড়ুন। এতে বইয়ের স্পাইন ভাঙবে না। 

বই উল্টে রাখবেন না বা একেবারে মুড়ে পড়বেন না। এতে বইয়ের বাইন্ডিং ছিঁড়ে যেতে পারে। 

বিছানায় শুয়ে বা আধা শোয়া অবস্থায় বই পড়লে যাতে বাঁধাইয়ের কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। 

বই দেওয়া-নেওয়া কাউকে বই ধার দিলে বইয়ের নাম, যাকে দিচ্ছেন তার নাম, যোগাযোগের ঠিকানা নোট করে রাখুন। 

কাউকে বই ধার দিতে হলে নিশ্চিত হয়ে নিন যে তার কাছে বইটি কতটা যত্নে থাকবে। 

বই ধার নিলে মলাট দিয়ে ফেরত দেবেন। এতে আপনার সুরুচি প্রকাশ পাবে। 

লাইব্রেরির বই পড়তে নিলে লাইব্রেরি কার্ড যত্ন করে রাখুন। 

কারও কাছ থেকে বই পড়তে নিলে সময়মতো ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করুন। 

Saturday, January 25, 2020

বই ভাল রাখার উপায়

বই ভাল রাখার উপায়

দৈনন্দিক জীবনের সব কিছুর ট্রিপস্ - ১
বই ভাল রাখার উপায় :
 


১. বুক শেলফ ব্যবহার করুন ।
২. প্লাস্টিকের ঝুড়িতে বা প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে রাখুন ।
৩. কম ভেজা স্হানে বই রাখুন ।
৪. উহ পোঁকা যাতে না আসে সেজন্য নিম পাতার ডাল ব্যবহার করুন ।
৫.  বই খাঁড়া করে শেলফে রাখুন।
৬. বই বিষয় অনুযায়ী ক্যাটালগ করে রাখুন ।
৭. অত্যাধিক আলো ও তাপ হতে বইকে দূরে রাখুন ।