Showing posts with label স্মৃতিচারণ. Show all posts
Showing posts with label স্মৃতিচারণ. Show all posts

Monday, December 11, 2023

পলি জমিয়ে বঙ্গোপসাগর উপকূলে চর সৃষ্টির পরিকল্পনা

পলি জমিয়ে বঙ্গোপসাগর উপকূলে চর সৃষ্টির পরিকল্পনা

 

নদী ভাঙনের ফলে ভাটিতে চলে যাওয়া পলি মাটি জমানোর উচ্চাকাঙ্খী একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ মাটি জমিয়ে নতুন করে চর সৃষ্টি করা হবে। আর নদী ভাঙনে গৃহহীনদের এ চরে পুর্নবাসন করা হবে। এ লক্ষ্যে গত জুনে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। গত সপ্তাহে বার্তা সংস্থা রয়টার্স একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।



জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে ঘুর্ণিঝড়, বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে প্রতিবছর অসংখ্য লোকককে গৃহহীন হতে হচ্ছে।

পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, `কেবল নদীভাঙনের ফলে বাংলাদেশ প্রতিবছর ২০ হাজার হেক্টর (২০০ বর্গকিলোমিটার । ১০০ হেক্টর সমান ১ বর্গকিলোমিটার ) জমি হারাচ্ছে।

২০১৩ সালে শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক গবেষণা সংস্থা রামরু ও ব্রিটেনের সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সাসেক্স সেন্টার ফর মাইগ্রেশন রিসার্চ এক গবেষণায় জানিয়েছিল, প্রতিবছর নদী ভাঙনের ফলে ২ লাখ লোক গৃহহীন হয়।

 

পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা- বাংলাদেশের এই তিনটি প্রধান নদী প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে পলিমাটি ভাটিতে বয়ে নিয়ে যায়। ঢাকার সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিবছর দেশের নদীগুলো একশ কোটি টন পলিমাটি বয়ে নিয়ে যায়। এর অধিকাংশই বঙ্গোপসাগর উপকূলীয় এলাকায় গিয়ে জমা হয়।

 

সিইজিআইএসের উপ-নির্বাহী পরিচালক মালিক খান জানিয়েছেন, আঁড়াআঁড়ি বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে এই পলিমাটি যদি নোয়াখালীর নিচু এলাকার দিকে নিয়ে যাওয়া যায় তাহলে সাগরে নতুন ভূমি জেগে উঠবে।

 

তিনি বলেন, ‘নদীতে বয়ে যাওয়া পলিমাটির মাধ্যমে নতুন জমি সৃষ্টি করা জরুরী।’

 

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভাটিতে বয়ে যাওয়া পলিমাটি আঁড়াআঁড়ি বাঁধের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে চলে যাওয়ার আগেই আটকানো সম্ভব। যেহেতু এ মাটি বাঁধের পেছনে জমা হয়, সেহেতু এটি বিশাল চর সৃষ্টি করতে পারে, যা মানুষের বসবাসের জন্য যথেষ্ঠ।

 

ঢাকাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইনিস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের (আইডব্লিউএম) উপকূল, বন্দর ও নদী মোহনা বিভাগের পরিচালক জহিরুল হক খান জানান, নিঝুম দ্বীপ ও মনপুরা দ্বীপ এলাকায় ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ছোট ছোট চর জেগেছে। আঁড়াআঁড়ি বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে নোয়াখালির উরির চর ও চট্টগ্রামে সন্দ্বীপ এলাকায় নদীতে বয়ে আসা প্রচুর পলিমাটির সাহায্যে কয়েকশ বর্গকিলোমিটার আয়তনের নতুন স্থলভাগ সৃষ্টি করা সম্ভব।

 

পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ জানিয়েছেন, আশা করা হচ্ছে আগামী ২০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ মোট ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার নতুন ভূমি সৃষ্টি করতে পারবে ( প্রতি বছর ৫০০ বর্গকিলোমিটার ) ।

 

তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক কারণে মেঘনার মোহনায় ভাঙন অব্যাহত থাকায়, আঁড়াআঁড়ি বাঁধের মাধ্যমে সাগরে নতুন ভূমি সৃষ্টি করা গেলে নদীভাঙ্গন কবলিত মানুষ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদেরকে সেখানে সহজেই পুর্নবাসন করা যাবে।

 

বাঁধ দিয়ে সংগৃহীত পলিমাটির মাধ্যমে নতুন ভূমি সৃষ্টির জন্য গত জুনে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। নিচু অঞ্চলের দেশ হওয়ায় এ বিষয়ে নেদারল্যান্ডসের অভিজ্ঞতাও অনেক বেশি। এ চুক্তির ফলে নেদারল্যান্ডস এই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই, উন্নয়ন ও এর বাস্তবায়ন করবে।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫/শাহেদ/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪৩, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০

শাহেদ || রাইজিংবিডি.কম


Sunday, December 10, 2023

সন্দ্বীপ উপকূলে চর, সম্ভাবনার স্বপ্নদুয়ার

সন্দ্বীপ উপকূলে চর, সম্ভাবনার স্বপ্নদুয়ার

 সন্দ্বীপের পশ্চিম উপকূল ঘেঁষে দীর্ঘ ২০ কিলোমিটার এলাকায় জেগে উঠছে নতুন চর। চরের প্রায় ২ কিলোমিটার অংশজুড়ে সবুজ উড়ির (একপ্রকার ঘাস) সমারোহ। জোয়ারের সময় দেখা না গেলেও ভাটায় স্পষ্টভাবে এর অস্তিত্বের প্রমাণ মিলছে।



দ্রুত জেগে ওঠা চরের বিশাল অংশে ‘উড়ির’ সবুজ সমারোহ এলাকার মানুষের মাঝে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। মেঘনার ভাঙনে অন্যত্র ভাড়ায় কিংবা নতুন ঘর তৈরির চিন্তা-ভাবনা করছিলেন যারা, তারা অনেকেই পুনরায় ফিরে আসছেন। যারা মেঘনার করাল গ্রাসে বাপ-দাদার ভিটেমাটি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছিলেন, তাদের চোখে এখন আলোর ঝিলিক। হারানো ভূমি ফিরে পাওয়ার দৃঢ় আশা।

সন্দ্বীপের দীর্ঘাপাড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন টিটু বলেন, দীর্ঘাপাড় ইউনিয়ন সাগরে বিলীন হয়ে যাওয়ার পর পুনরায় জেগে উঠেছে। এর আশেপাশে যেভাবে চর জেগে উঠছে তাতে সেদিন আর দূরে নয়, অচিরে আমরা উড়িরচরসহ কোম্পানিগঞ্জের সঙ্গে মিশে যাব।

সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার শাহজাহান বিএ বলেন, ৬০ মৌজার সন্দ্বীপ ইতোমধ্যে কয়েকটি ভাঙন থেকে উদ্ধার হয়েছে। সরকার পরিকল্পনা গ্রহণ করলে খুব দ্রুত এ এলাকায় বিশাল ভূমি জেগে উঠবে। বিশেষ করে হরিশপুর ও দীর্ঘাপাড়ের ভাঙনকবলিত মানুষ জায়গা-সম্পত্তি পুনরায় নদীবক্ষে জেগে ওঠায় আশার আলো দেখছে।

সন্দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমে ষাটের দশকে জেগে ওঠা বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন উড়িরচরের দক্ষিণে জেগে উঠেছে আরও প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ চর। আবার দ্বীপের পশ্চিমে চর জাহাইজ্যা (স্বর্ণদ্বীপ), চর ক্যারিং, ঠ্যাংগার চর (বর্তমানে ভাসানচর) মিলে জেগে উঠা নতুন ভূমির পরিমাণ সন্দ্বীপের প্রায় দ্বিগুণের চেয়ে বেশি হতে পারে বলে আশা করছেন স্থানীয়রা।

ভূ-উপগ্রহের চিত্র বিশ্লেষণে সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষকদের ধারণা, সন্দ্বীপের পশ্চিম উপকূলে নোয়াখালী, হাতিয়া, সন্দ্বীপজুড়ে দক্ষিণ-পশ্চিমদিকে জেগে ওঠা চরগুলো আশেপাশে পলি জমে বিস্তৃত হয়ে সাগর মোহনায় সাংগু গ্যাসফিল্ডের কাছাকাছি চলে গেছে। দিন দিন এ চরের পরিধি বাড়ছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বিগত ৫০ বছর ধরে মেঘনা মোহনায় ভূমি জাগরণের বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় এ অঞ্চলে প্রায় ৬ লাখ হেক্টর নতুন ভূমি জেগে উঠেছে। কখনও প্রকৃতির আপন খেয়ালে, আবার কখনও ক্রসবাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে এ ভূমি উদ্ধার হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মেঘনা সমীক্ষা-২০০১ এর মতে, প্রকৃতিগতভাবে প্রতিবছর প্রায় ২ হাজার হেক্টর ভূমি এ মোহনায় জেগে উঠছে। তবে বর্তমানে এর পরিমাণ আশাতীত বেড়ে গেছে।

সন্দ্বীপের তিনপাশে গড়ে ওঠা নতুন চর ছাড়াও এর পশ্চিমে হাতিয়া দ্বীপ সংলগ্ন নিঝুম দ্বীপ, চর কবিরা, চর কালাম, চর আলীম, চর সাগরিকা, উচখালী, নিউ ঢালচরসহ প্রায় ৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার নতুন ভূমি জেগে উঠেছে। ভূমি পুনরুদ্ধার ও চর উন্নয়ন সংস্থাগুলোর মতে, এই এলাকায় প্রতিবছর গড়ে অন্তত ১৫-২০ বর্গ কিলোমিটার নতুন চরের সন্ধান মিলছে।

জানা যায়, সাগর মোহনায় জেগে ওঠার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করাসহ এটিকে ব্যবহারোপযোগী করে তুলতে সরকারের ভূমি পুনরুদ্ধার প্রকল্পে মেঘনা মোহনা অনুসন্ধান, চর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট প্রজেক্ট, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিস, ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংসহ আরও কয়েকটি সরকারি সংস্থা কাজ করছে। তাদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সরকারের আরও ছয়টি বিভাগ-এলজিইডি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, কৃষি, ভূমি, বন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। সন্দ্বীপের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ইউনিয়ন উড়িরচরের পশ্চিমে সৃষ্ট নতুন চরে হেঁটে চরলক্ষ্মী যাওয়া যায়। জাহাইজ্যা বা স্বর্ণদ্বীপ থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দক্ষিণে ভাসানচরে (ঠ্যাংগার চর) এখন চলছে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের বিশাল কর্মযজ্ঞ।

জেগে ওঠা ভূমির স্থায়িত্ব সম্পর্কে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সাইন্স অ্যান্ড ফিশারিজ ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মোসলেম উদ্দিন মুন্না জয়নিউজকে বলেন, সন্দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমের ঠ্যাংগার চর (ভাসান চর) বয়ে আসা ¯্রােতধারার লোড নিচ্ছে। এর ফলে দ্বীপের পশ্চিমে ফুলে ওঠা বিশাল ভূমি টিকেও যেতে পারে। তবে ভূমি উদ্ধারে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোকে পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি হার্ড ও সফট ইঞ্জিনিয়ারিং কৌশল প্রয়োগ করে সংরক্ষণের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বর্তমানে কুতুবদিয়াতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি ভূমি সংরক্ষণে সন্দ্বীপ চ্যানেলে স্বল্প পরিসরে ড্রেজিংয়ের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন।

জেগে ওঠা নতুন ভূমি খুলে দিচ্ছে সম্ভাবনার স্বপ্নদুয়ার। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ভূমি সংরক্ষণ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ নিতে হবে। নতুন ভূমি সংরক্ষণ সম্ভব হলে বদলে যাবে দেশের মানচিত্র। তাতে উদ্বাস্তু ও ভূমিহীনদের পুনর্বাসনসহ কৃষি ও পশুপালনক্ষেত্রে বিশাল সুযোগ সৃষ্টি হবে।

জয়নিউজ/আরসি

Thursday, April 20, 2023

সন্দ্বীপের সবুজ চর

সন্দ্বীপের সবুজ চর

 সবুজ চর নামেই সবার কাছে পরিচিত এ চরটি। সন্দ্বীপের উত্তরে বামনী নদী ও পশ্চিমে মেঘনা নদীর মোহনাঘেঁষে আমানউলস্না, সন্তোষপুর, দীর্ঘাপাড়-তিনটি ইউনিয়নজুড়ে বিস্তৃত এ চর। উপকূলীয় বেড়িবাঁধের পর যতদূর চোখ যায় বিস্তীর্ণ চর। ছয়টি ঋতুতে ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন রূপ নিলেও মূলত শীত ও বর্ষা দুই ঋতুতে সবুজ চর হাজির হয় তার সব সৌন্দর্য নিয়ে।



বর্ষায় নদীতে পানির উচ্চতা বেড়ে গেলে জোয়ারের পানিতে পস্নাবিত হয় চর। বিস্তীর্ণ চরজুড়ে তখন চাষ হয় রাজাশাইল ধান। প্রত্যেক জমির আল কেটে বসানো হয় মাছ ধরার চাঁই। জোয়ারের পানির সঙ্গে নদী থেকে উঠে আসে টেংরা, চিড়িং, কোরাল, কাঁকড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। ভাটার সময় পানি নেমে গেলে চাঁইয়ের ভেতর আটকা পড়ে মাছগুলো। শত শত চাঁই বসানো থাকে জমিগুলোতে। যেন ধান আর মাছ নিয়ে প্রাকৃতিক সমন্বিত চাষাবাদ। কয়েকটা জমি পরপর মাটি থেকে চার-পাঁচ ফুট উঁচুতে ছাউনি দেয়া মাচার মতো ঘর বানানো থাকে। সেখানেই রাত জেগে মাছ ধরে, চাঁই পাহারা দেয় স্থানীয় লোকজন।

কিছু কিছু জায়গায় দেখা যায় বড় বড় জলাশয়। সেখানে ফুটে থাকে রাশি রাশি শাপলা। শখের বসে শাপলা তোলে গ্রামের মেয়েরা। কেউ খোঁপায় গোঁজে, কেউ বিক্রি করে স্থানীয় বাজারে। জোয়ারের সময় গরু নিয়ে ঘরে ফিরতে দেখা যায় এসব বালিকাদের কাউকে কাউকে।

শীতকালে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপ নিয়ে হাজির হয় সবুজ চর। বর্ষাকালের জল থই থই চরটাকে যেন আর চেনা যায় না তখন। শরতের শুরুতে আকাশে ভেসে বেড়ায় বাউন্ডুলে মেঘ। সবুজ চর থেকে সন্ধ্যার আকাশ দেখার এটাই উপযুক্ত সময়। সূর্য ডোবার পর আকাশের খোলা ক্যানভাসে নানান রঙে ছবি আঁকে প্রকৃতি। আকাশ পরিষ্কার থাকায় সন্দ্বীপের উত্তরে চরের শেষ প্রপ্রন্ত দাঁড়ালে পূর্বদিকে দেখা যায় চট্টগ্রামের পাহাড় আর উত্তরে নোয়াখালী। বেড়িবাঁধের উপরে এসে দাঁড়ালে চরের মাঝখানে বিচ্ছন্ন দ্বীপের মতো ছাড়া ছাড়া কতগুলো বাড়ি চোখে পড়ে। সন্ধ্যা নামলে ওসব বাড়ির ভেতর মিট মিট আলো জ্বলে। একবার মনে হয় তারা, একবার মনে হয় জোনাকি।

হেমন্তে ধান কাটা শেষ হলে বিপুল বিরহ নিয়ে শূন্য পড়ে থাকে মাইলের পর মাইল। এ সময় বিস্তীর্ণ চরজুড়ে কোনো ফসল না থাকায় ছেড়ে দেয়া হয় ভেড়ার পাল। সারাদিন ঘাস খেয়ে রাখালসহ ওদের ঘরে ফেরার দৃশ্য বলে দেয় কাকে বলে গোধূলি সন্ধ্যা, কাকে বলে গড্ডলিকাপ্রবাহ। ভেড়াপালন স্থানীয় লোকজনের অন্যতম আয়ের উৎস। চরের কোথাও কোথাও দেখা যায় মহিষের পাল। নানান রকম পাখির আনাগোনা বেড়ে যায় এসময়। গুলতি হাতে নিয়ে বের হয় গ্রামের দসু্য ছেলেরা। চরের কিছু কিছু অংশে বেড়িবাঁধের ঢালে চাষ হয় মৌসুমী সবজি। বিকালে বেড়িবাঁধের সারি সারি খেজুর গাছে হাঁড়ি বসিয়ে দেয় গাছিরা। সূর্য লাল আবির ছড়িয়ে ডুব দেয় পশ্চিমের বঙ্গোপসাগরে। শীত জেঁকে উঠলে রসের গন্ধে ম-ম করে চরাচর। শুকনো নাড়া জ্বালিয়ে গল্পে মেতে ওঠে চরের মানুষ। কোথায় কোথাও রান্না হয় রসের পায়েস।

শৌখিন ভ্রমণপিপাসুরা সন্দ্বীপের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসময় পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজন নিয়ে ঘুরতে আসেন এখানে। অল্প দামে কিনতে পাওয়া যায় রাজহাঁস। স্কুল-কলেজ থেকে মাইক বাজিয়ে আসে পিকনিক বাস। ছেলেমেয়েদের কলকাকলিতে মুখর হয়ে ওঠে চরের প্রত্যেকটি ধূলিকণা, ঘাস।

মাঝে মাঝে অনেক বছর পর সাগরে সাতদিন সাঁতার কেটে একটা গাছের টুকরোকে আকড়ে ধরে কূলে এসে ভেড়ে অপরিচিত এক লোক।মাছে খাবলে খাওয়া শরীর।নাম বলতে পারেনা,ঠিকানা বলতে পারেনা।উৎসুক জনতার ভীড় জমে লোকটাকে ঘিরে।ঘন হয়ে আসে রাত।সে লোকের গল্প বছরের পর বছর ভেসে বেড়ায় সবুজ চরের বাতাসে।খুব নিরিবিলি একা একা কান পেতে থাকলে ফিসফিস সে গল্প শোনা যায় এখনও।

aijaidinbd.com/feature/rong-berong/76759/সন্দ্বীপের-সবুজ-চর 

সাজিদ মোহন
  ২৪ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

Sunday, December 18, 2022

বার কাউন্সিলের এম সি কিউ পরীক্ষার প্রস্তুতি

বার কাউন্সিলের এম সি কিউ পরীক্ষার প্রস্তুতি

 




বার MCQ সকল পরীক্ষার্থীর উদ্দেশ্য আমার খোলা চিঠিঃ-

আগে নিজেকে স্থির করুন এ লাইনে আপনি ক্যারিয়ার করতে চান কিনা? যদি চান তাহলে যত ব্যস্তই থাকুন নিয়ম করে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় নিজে একা বাসায় পড়ালেখা করুন।

বার কাউন্সিল এর বিগত MCQ প্রশ্নের ধরন বুঝার চেষ্টা করুন।

যে বিষয়গুলো বুঝবেন না পৃথক খাতায় সেগুলো নোট রাখুন। এখানে একটু বলে রাখি কোন অভিজ্ঞ বলে থাকেন বেয়ার এ্যাক্ট (মূল আইন বই) না পড়লে আপনি ফেল আবার কোন অভিজ্ঞ বলে থাকেন মুল বই না পড়ে গাইডের উপর জোর দিন। আমার দৃষ্টিতে দুটাই ভূল ধারনা। এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হলো আপনি বাজার হতে ভালো মানের একটি গাইড কিনে পড়বেন এবং পাশাপাশি মূল বই কাছে রাখবেন। অথার্ৎ আমি গাইড বই এর পাশাপাশি মূল বই রাখার পরামর্শ দিচ্ছি। কারন পড়ায় সময় যেটা গাইড বইতে আপনার অস্পষ্ট মনে হবে কিংবা আরো অধিক তথ্য জানতে চান তখন সাথে সাথে আপনি মূল বইটি একটু চোখ বুলিয়ে নিলেন।

আপনার সুবিধা অনুযায়ি নোটকৃত বিষয় বুঝতে কোন বড় ভাই, বন্ধু বা ভালো কোচিং সেন্টারের সহযোগীতা নিন। তবে শর্ত হলো আগে নিজে বাসায় পুরো ৭টা বিষয় পড়ে শেষ করুন তারপর যে বিষয়টি বুজতে পারছেন না সেটার বিষয়ে কোচিং এর সহযোগিতা নিন।

এরপর আপনি নিজে যখন মনে করবেন সকল বিষয়ে আপনার একটি ভালো ধারনা তৈরী হয়েছে তারপর আপনি বিগত সনের সকল বার MCQ পরীক্ষার সমাধান করুন। এবং বাজারে বিভিন্ন মডেল টেষ্টের বই সংগ্রহ করে প্রতিদিন অনতত একটি মডেল টেষ্ট দিন। এই মডেল টেষ্ট দিতে গিয়ে আপনি আবার নতুন নতুন সমস্যায় পড়বেন তখন সে বিষয়গুলো আবার সমাধান করার চেষ্টা করুন এভাবে পরীক্ষা না দেওয়া পর্যন্ত চালাতে থাকুন কারন আইনের এ বিষয়গুলো হচ্ছে এমন যে আপনি গ্যাপ দিলে জানা বিষয়ও ভুলে যাবেন সুতরাং আপনাকে নিয়মিত পড়ে যেতে হবে। শুধু তাই নয় আপনার আশে পাশে যারা বার পরীক্ষার্থী রয়েছে সম্ভব হলে প্রতিদিন তাদের সাথে ৩০ মিনিট পড়ার বিষয়ে আলোচনা করুন দেখবেন নতুন নতুন বিষয় আপনি জানতে পারছেন।

প্রতিদিন যে বিষয়ে পড়লেন সে বিষয় হাটতে - চলতে- কাজ করতে মনে মনে রিভিশন দিন। প্রয়োজনে মোবাইলে স্কৃনশর্ট রাখুন।

নিয়মিত নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য চান।

শর্টকাট পাশ করার বিভিন্ন চিন্তা পরিহার করুন।

চটকদার বিজ্ঞাপন সম্বলিত কোচিং সেন্টার / ব্যক্তিকে পরিহার করুন। কারন এ গ্রুপে এমন অনেক পাবেন যে আপনাকে পাশ করার নিশ্চয়তা দিয়ে পড়াবে। মনে রাখতে হবে পড়া কিন্তু আপনাকে শেষ করতে হবে এরা কেউই গিয়ে আপনার পরীক্ষা দিবে না। সুতরাং আপনি ফেল করলে তখন আপনাকে শুনতে হবে "আপনি আমাদের পরামর্শ অনুযায়ি পড়েন নি আমার অন্য সকল ছাত্র তো পাশ করেছে"।

বার কাউন্সিল কর্তৃপক্ষকে নিয়ে অহেতুক মন্তব্য না করে সে সময়টা পড়াতে কাজে লাগান। কারন এ বিষয়ে মন্তব্য করা বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়।

সকল পরীক্ষার্থীর জন্য দোয়া ও শুভকামনা

-------------------------------------------

মোঃ সাইফুল ইসলাম (ফয়সাল)

ইনকাম টেক্স প্রেকটিশনার ও

বার ভাইভা পরীক্ষার্থী।

Monday, June 28, 2021

বারান্দা ও চিন্তার জগৎ

বারান্দা ও চিন্তার জগৎ

বারান্দায় সকালে দৈনিক পত্রিকা পড়া হোক, কিংবা বিকালে চা পান করাই হোক – বারান্দাটা হলো একটা গুরুত্বপূর্ণ স্হান ।
কারণ বারান্দায় অনেক কিছুই চোখে পরে যায় যেগুলো মনের জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করে । মন চট করে নিজের শূন্যতায় একটা নতুন ছবি একে নেয় ।

Saturday, June 26, 2021

পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার উপায় -১

পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার উপায় -১

“একটি বেস্ট প্র্যাকটিস, পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার উপায়” লিখেছেন : কাজি জহিরুল ইসলাম 

শনিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে যখন মর্নিং ওয়াকে বেরুলাম, তখন আমার রিভিয়েরার বাড়িকে প্রদক্ষিণ করে ছুটে যাওয়া দুই কিলোমিটারের সার্কেলটি একেবারে অচেনা লাগছে । রাস্তায় একটাও ঝরাপাতা নেই, ফুটপাথের ভাঙা কংক্রিটের ফাক গলে গজিয়ে ওঠা ঘাসের ডগা নেই । পাইনের কিরিকিরি পাতার যে আস্তরণ রোজ সকালে মাড়িয়ে পা ফেলি সেখানে এখন ঝকঝকে পিচঢালা পথের কালো চিতানো বুক । পথের ওপর একটাও সিগেরেটের বাট নেই, আবর্জনায় নাক ডুবিয়ে পড়ে থাকা ছেঁড়া পলিথিনের ব্যাগ নেই, এমন কি পথের কোথাও সাত সকালে কে এসে অমন সাফ করে দিয়ে গেল? 

আমাদের সকল উদ্বেগ, উৎকন্ঠার অবসান ঘটলো আধ কিলোমিটার পথ পার হওয়ার পরেই । যেন একটা উৎসবে মেতে উঠেছে সার্কেলের দুই পাশে বসাবসারত বাসা-বাড়ির ছয় বছরের শিশু থেকে শুরু করে ২৩/২৪ বছর বয়েসী তরুণী/তরুণ । প্রত্যের হাতে ঝাঁটা, মোশেইদ (রামদা জাতীয় ধারালো অস্ত্র, মাথার দিকটা প্রায় তিন ইঞ্চি চ্যাপ্টা), ময়লা তোলার কোদাল, খুন্তি, দুই/তিন মিটার পর পর নীল রঙ্গের বালতির সারি । আর অপেক্ষাকৃকত বড়রা, ময়লাভর্তি ভ্যানগুলো ঠেলতে ঠেলতে নিয়ে যাচ্ছে একটা নির্দিষ্ট স্হানে ।

এক্তেদার সাহেব অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থেকে বল্লেন, ও তাহলে এই হলো ঘটনা ! হাঁ, এই হলো ঘটনা । ঘটনাটি আমি এজন্য লিখছি, এটিকে একটি বেস্ট প্র্যাকটিস হিসাবে চিহ্নিত করে আমি বাংলাদেশের মানুষকে জানাতে চাই ।
আজ আবিদজানের যে সব ছেলে-মেয়েরা নীল বালতি নিয়ে ভোর পাঁচটায় রাস্তায় নেমে এসেছে নিজের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য, তারা সবাই আমাদের মতোই তৃতীয় বিশ্বে বসবাসকারী স্কুল কলেজে পড়ুয়া ছেলে-মেয়ে । এটা ওদের দীর্ঘ দিনের প্র্যাকটিস । ফরাসীরা দীর্ঘ ঔপনিবেশকালে অন্য অনেক জিনিজের মতো পরিচ্ছন্নতাও যে একটি শৈল্পিক সৌন্দর্য এই বোধ ওদের মগজের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে, যা ইংরেজ আমাদের শেখাতে পারেনি । 

এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানটি ওরা চালায় মাসে একদিন, একটি নির্দিষ্ট শনিবারে । করো চোখে মুখে ক্লান্তির ছাপ নেই, অবসন্নতা নেই । সকলেই যেন একটি উৎসব আনন্দে উদ্দেপিত, উদ্বেলিত । যেন এক মহৎ কর্মযজ্ঞে শামিল হতে পেরে ধন্য সবাই । মুখে হাসি নিয়ে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা ভোরের ফুরফুরে হাওয়ার মতো উডে বেড়াচ্ছে । একটু যারা বড় তারা নিজেরা কাজ করার পাশাপাশি অন্যদের কাজ মনিটরও করছে । যদি কোন শিশু কাজ রেখে ধুলা বালি দিয়ে খেলতে নেমে গেল, তখন হাসি দিয়ে ওকে কাজে ফিরিয়ে আনছে । ফরাসী ভাষায় এমন কিছু বলছে, অনুমাণ করছি, আজকের এই কাজ করাটাই খেলা, এমন কিছু বুঝতে পেরে শিশুটি দৌড়ে এসে কাগজ কুড়াতে শুরু করে দিলো । পিচঢালা পথটি দুই কিলোমিটারের একটি বৃত্ত রচনা করে যেখান থেকে শুরু হয়েছিলো আবার ঠিক সেখানে এসেই শেষ হয়েছে । অথবা বলা যায় পথটি কেবল অনন্তকাল ধরে বৃত্তাকারে ঘুরছেই, শেষ খুঁজে পাচ্ছে না । 


পথের ডানদিকে অর্থাৎ বৃত্তের বাইরের অংশে প্রায় পঞ্চাশ মিটার ফাঁকা জায়গা, পিচঢালা পথটির সমান্তরাল ছুটে গেছে, যা ঘাসের ঘন অবণ্য আর মাঝে মাঝে আপন মনে বেড়ে ওঠা বনবট,বিশাল মোটা মোটা নিম, পান্হনিবাস, ভোগেনভেলিয়া, মাধবলতাসহ নানান প্রজাতির বৃক্ষলতায় শোভিত । তার পেছনেই সারি সারি হলুদ রঙের তিন তলা বাড়ি । এরই একটি বাড়িতে আমার বাসা । আর বাঁ দিকে, অর্থাৎ সার্কেলের ভেতরে একই দুরত্বে গড়ে উঠেছে বিশাল জায়গা জুড়ে একেকটি নয়নাভিরাম ভিলা । এক দল তরুণ অন্তহীন উৎসাহে মেশিন চালিয়ে দু’পাশের এই ফাঁকা জায়গায় গজানো ঘাসবন ট্রিম করছে । এক দল ফুটপাথের পাথরের ফাঁকে গজানো ঘাসের ডগা কেটে সাফ করছে, এক দল রাস্তা ঝাড়ু দিচ্ছে, এক দল কোদাল নিয়ে নীল বালতিতে পাথরের ধুলি কাদা, ছেড়া কাগজ, কয়লা আবর্জনা ঝরাপাতার স্তুল তুলে নিচ্ছে । ভ্যানগাড়িগুলো কাছে এগিয়ে আসতেই ময়লাভর্তি সারি সারি নীল বালতি তাতে উপুড় হয়ে যাচ্ছে । যেন একটা প্রশিক্ষিত চেইন ওয়ার্ক । পরিস্কার করতে করতে পুরো দলটি সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, পেছনে রেখে যাচ্ছে একটি ঝকঝরে পরিচ্ছন্ন পথ ও তার পরিবেশ । 

গত জুলাই মাসে যখন ঢাকায় যাই, তখন দেখলাম গুলশান এক নম্বরেরে সেই অতি পরিচিত সার্কেলটি আর নেই । ওখানে এখন লাইট ফাইট লাগিয়ে একটা জবরদস্ত চৌরাস্তা বানানো হয়েছে, যদিও এতে জানজট আরও বেড়েছে । সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য তারই দুপাশে ছোট দুইটি আইল্যান্ডে বাগান করা হয়েছে । খবররের কাগজ কিনতে যখন ডিসিসি মার্কেটে গেলাম তখন দেখি একটি ২৪ ২৪ বছরের যুবক সেই বাগান সাফ করছে । ওর সাফ করার ধরণ দেখে আমার খুব হাসি পেল । বাগান থেকে কুড়িয়ে এসে সে ছেড়া কাগজের টুকরাগুলি পথের ওপর ছড়িয়ে দিচ্ছে । ভাবলাম, ওকে দুটো কথা বলা আমার নাগরিক দায়িত্ব । এগিয়ে গিয়ে বললাম, তুমি যে কাগজের টুকরাগুলো পথের ওপর ফেলছো, এগুলোতো বাতাসে উড়ে আবার বাগানেই ফিরে যাবে । ও খুব বিরক্ত ভঙ্গিতে আমাকে বললো, তাইলে কি করুম, আমি বললাম, একটা ব্যাগ নাও । ময়লা, আবর্জনা, কাগজের টুকরা, সিগারেট বাট এইসব কুড়িয়ে ব্যাগে ভরো । তারপর নিকটস্হ কোনো ডাস্টবিনে নিয়ে ফেল । ও বললো, ব্যাগ পামু কই ? এ প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে নেই । তবে আমি আশা করছি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের কাছে এর একটা সদুত্তর আছে ।

আবিদজানের এই ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের এতো গোছানো কাজ দেখে আমার কেবল গুলশানের সেই ছেলেটির কথাই মনে পড়ছে আর চোখের সামনে ভেসে উঠেছে ঢাকা শহরের, আমাদের বাড়ি ঘরের চারপাশের, আবর্জনাময় নোংরা পরিবেশের অসহায় চিত্রটি । 

আবিদজান, আইভরিকোস্ট ৩১ মার্চ ২০০৬

Saturday, November 14, 2020

আজারবাইজানের যুদ্ধ জয়

আজারবাইজানের যুদ্ধ জয়

তুরস্ক ও আজারবাইজান খৃস্টান দেশ আর্মেনিয়ার সাথে চলমান যুদ্ধে জয়লাভ করেছে। আর্মেনিয়ার খৃস্টানরা সবচেয়ে প্রাচীণ খৃস্টান । আর্মেনিয়ান ভাষায় সবচেয়ে পুরাতন বাইবেল সংরক্ষিত আছে।
আর্মেনিয়া আজারবাইজানের পাঁচ ভাগের এক ভাগ ১৯৯৩ সাল হতে দখল করে রেখেছিলো। তুরস্কের ও আজারবাইজান - এই দুই দেশের জনগণের বেশির ভাগ জনগণ একই জাতিভুক্ত । এই দুই দেশ বন্ধুত্বপূর্ণ  সম্পর্ক  গড়ে তোলে ।  দুই  দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী ২৭ বছর ধরে  প্রশিক্ষণ নেয়। তারা এমন সব যুদ্ধাস্ত্র ও কৌশল ব্যবহার করে যা আগে কখনো ব্যবহার হয়নি। মাত্র ৩ সপ্তাহে জয় এসেছে। 

 রাশিয়া স্বপ্রনোদিত হয়ে ১০ নভেম্বর ২০২০ তারিখ আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার সাথে চুক্তি করেছে। 

চুক্তির উল্লেখযোগ্য দিকঃ 

১. ডিসেম্বর ২০২০ এর মধ্যে আর্মেনিয়ার দখলদার সৈন্যরা নিরস্ত্র হয়ে আজারবাইজান হতে সরে যাবে।
 
২. আজারবাইজানের নাকিচেভান প্রদেশের সাথে তুরস্কের ১১ মাইল সীমান্ত আছে। কিন্তু নাকিচেভান প্রদেশের পাশে আর্মেনিয়ার সুনিয়াক প্রদেশ। 

সুনিয়াক প্রদেশের ২৭ মাইল বা ৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকার কারণে আজারবাইজান দুই ভাগ হয়ে আছে। 

এই চুক্তিতে আর্মেনিয়ার ভিতর ২৭ মাইল দীর্ঘ রাস্তা করে সরাসরি আজারবাইজানের দুই অংশে যাতায়াতের সুবিধা পাবার কথা আছে।

যদি এমন অবস্হা হয়, তাহলে তুরস্ক সড়ক পথে ইস্তাম্বুল হতে পাকিস্তান ও কাজাখস্তান পর্যন্ত ৫ টা তুর্কিভাষী ও ১০ টা মুসলিম দেশের মধ্যে ইরানকে বাইপাস করেই যোগাযোগ করার সুযোগ লাভ করবে।

Friday, October 2, 2020

Saturday, January 25, 2020

করোনা প্রসঙ্গ

করোনা প্রসঙ্গ

 
আজ দেখলাম বিশ্বের ১৫ শীর্ষ করোনা ভাইরাস আক্রান্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৫ তম, পাকিস্তান ১৪ তম, সৌদি আরব ১৩ তম, ইরান ১১ তম ও ভারত ৩য় স্হান অধিকার করেছে। আলহামদুলিল্লাহ শীর্ষ ২০ দেশের মধ্যে মুসলিম প্রধান দেশ হাতে গোনা। 

 
 
৫৭ টা মুসলিম দেশ এক কমই করোনা দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। কারণ আল্লাহ মুসলিমদের রহমতের গিলাফে আবদ্ধ রেখেছেন এবং আল্লাহ তায়ালা রাসুল ( সা.) - কে বলেছেন যে তাঁর অনুসারীদের রোগ-ব্যাধি-মহামারি দিয়ে একেবারেই নিশ্বেষ করে দিবেন না। 
 
 
আমার আত্মীয়-স্বজন-বন্ধু-শুভাকাঙ্খী-পরিচিতদের অনেকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের বেশির ভাগই সুস্হ হয়েছেন। খুবই ক্ষুদ্র অংশ ইন্তেকাল করেছেন।
আমাদের সবার উচিত স্বাস্হ্য বিধি কঠোরভাবে মেনে চলা ও একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে বের না হওয়া। আর সবাইকে পরিত্রাণের জন্য আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করা।
 
১১ অগাস্ট ২০২০ - এ লেখা । ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০  তারিখেও বাংলাদেশের অবস্হান ১৫ তম ।