Showing posts with label বই লেখা. Show all posts
Showing posts with label বই লেখা. Show all posts

Friday, December 23, 2022

ফিকশন ও নন-ফিকশন সাহিত্যের মধ্যে পার্থক্য

ফিকশন ও নন-ফিকশন সাহিত্যের মধ্যে পার্থক্য



ফিকশন ও নন-ফিকশন সাহিত্যের মধ্যে পার্থক্য এই দুই বিষয়বস্তুর ব্যাপকতা প্রকাশ করে। আর, প্রথমেই বলে রাখি, ফিকশন শব্দটি ইংরেজির Fiction- শব্দের উচ্চারণের বাংলান্তর। ফিকশন শব্দের অর্থ কাল্পনিক। এবং, এক্ষেত্রে নন-ফিকশন শব্দটি দ্বারা বোঝানো হয় বাস্তবিক। অর্থাৎ যা বাস্তব থেকে নেয়া। এই নিবন্ধটিতে আমি চেষ্টা করবো আপনাদের সামনে তুলে ধরতে ফিকশন এবং নন- ফিকশন সাহিত্যের মধ্যে পার্থক্য।
যে সাহিত্যের উপাদানগুলো কাল্পনিক ভাবনা থেকে আসে, সেগুলোকে ফিকশন বলে। সাহিত্যে ফিকশন উপন্যাস পাওয়া যায়, আর দেখা যায় নাটক ও গল্প। ফিকশন বা কাল্পনিক সাহিত্যে উপাদান গুলো যেকোনো বাস্তব উপাদানের ভিত্তিতেও কল্পনায় নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে দেখা যায় ফিকশনটি বা কল্পনাকি বৈজ্ঞানিক হতে পারে, কিংবা অন্ধবিশ্বাস হতে পারে, হতে পারে একদম শুদ্ধ কল্পনাও; যাতে বাস্তবের কোনই উপাদান নেই।
ফিকশন সাহিত্য মানুষের কল্পনা শক্তিকে বাড়ায়ে দেয়। মানুষ তাঁর ভাবনার ভেতরে সাজাতে এবং বানাতে পারে নিজস্ব জগৎ। কাল্পনিক সাহিত্যের বিষয় কাল্পনিক হওয়া সত্ত্বেও সেগুলো মূলত বাস্তবের মানুষের জন্যই লেখা হয়। তাতে বেশির ভাগ সময় দর্শনই খুঁজে পাওয়া যায়, খুঁজে পাওয়া যায় নরতুন ভাবনা যা বাস্তব নয় তবে দেখায় এক নতুন বাস্তবের সত্তা।
তবে, এখন প্রশ্ন থাকে নন- ফিকশন কি? এই বিষয়েও ওপরের অংশে একটি বিষয় উল্লেখ করেছি। আর তা হল, যেহেতু ফিকশন মানে কাল্পনিক; সেহেতু নন- ফিকশন শব্দটি দাঁড়ায় বাস্তবিক সাহিত্যে। অর্থাৎ, যে সাহিত্যের উপাদান গুলো বাস্তব থেকে নেয়া এবং বাস্তবের সাথে পঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে মিলে যায়, সেগুলোকেই নন- ফিকশন সাহিত্য বলে।
নন- ফিকশন সাহিত্যে বিষয় বস্তুগুলো বাস্তব থেকে নেয়া। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বাস্তবে ঘটে গেছে এমন, অথবা ঘটে যায় এমন, অথবা ঘটছে এমন বিষয়বস্তু নিয়ে সাহিত্য রচনা করা হয়। নন- ফিকশন সাহিত্য আমাদের চারপাশের ঘটে যাওয়া বাস্তবকে সাহিত্যে ধরে রাখে। এক্ষেত্রেও ভাবনার বিষয়টা এক মাত্রার বাস্তবে স্থির থাকে না, হয়ে যায় বহুমুখি।
ফিকশন ও নন-ফিকশন সাহিত্যের মধ্যের পার্থক্যগুলো বিষয়বস্তু দুটির একটিকে অপরটির চেয়ে ছোট করে না। বরং, একে ওপরের মধ্যের পার্থক্যগুলো বিষয়বস্তু দুটির ব্যাপকতা বোঝায়। এই মুহূর্তে চেষ্টা করবো ফিকশন ও নন- ফিকশন সাহিত্যের মধ্যের পার্থক্য গুলো যতটা সম্ভব সহজ ভাবে তুলে ধরার।
ফিকশন সাহিত্য বা কাল্পনিক সাহিত্য আধুনিক সাহিত্যে এক নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। ফিকশন সাহিত্যের মাধ্যমে আমাদের কল্পনাশক্তির বিকাশ ঘটেছে; বিকাশ ঘটেছে লিখিত সাহিত্যের। কারণ, ফিকশন সাহিত্যে বিষয়বস্তু বাস্তবের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। ফিকশন সাহিত্যে বিষয়বস্তু হতে পারে লেখকের একান্ত কাল্পনিক এবং সেখানে যেকোনো বস্তু দৃশ্যত হয় শুধুমাত্র লেখকের কল্পনা থেকে।
অপরদিকে, নন- ফিকশন সাহিত্যে বিষয়বস্তু থাকে বাস্তবের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তবে নন-ফিকশন সাহিত্যে মানুষ বাস্তবকে নতুন রূপে দেখে লেখকের ভাষার দক্ষতার মাধ্যমে । শব্দের ব্যাবহার এবং প্রত্যেক পঙ্কতিতে উঠে আসা বাস্তবতাকে নতুন করে ভাসিয়ে তোলে পাঠকের মনে। নন- ফিকশন সাহিত্যে অনেক সময় ফিকশনের মতো রুপকভাবেও দেখানো যায় বাস্তবতা।
ফিকশন সাহিত্য দেখায় মানুষের কল্পনার বাস্তবতা। আর, নন-ফিকশন দেখায় একজন মানুষের বাস্তবের ধারণা। তাঁর দেখা, শোনা এবং অনুভব করা দর্শন। ফিকশন সাহিত্য নন- ফিকশনের আরেকটি বর্ধিত রূপ। যখন মানুষ নন- ফিকশন সাহিত্যে নতুন ধারা উন্মোচন করতে পারেনা তখন তারা ফিকশন সাহিত্য রচনা করেন। আবার, নন- ফিকশন সাহিত্যে একটি নির্দিষ্ট সময়ের বর্ণনা উঠে আসে, এবং সময়ের কথা বলে এবং সেই সময়কার মানুষের জীবনাচরণ এবং বোধ-অনুভুতি তুলে ধরে।
ওপর দিকে একটি ফিকশন সাহিত্য একটি নতুন অনুভবের জন্ম দিতে পারে যা আগে কখনও অনুভব করা সম্ভব হয়নি। আর এই ভাবেই ফিকশন এবং নন- ফিকশন সাহিত্যের পার্থক্যগুলো একে ওপরের ব্যাপকতা প্রকাশ করে।
ফিকশন ও নন- ফিকশন সাহিত্যের ব্যাপকতা নিয়ে বলতে গেলে, বলে শেষ হবে না। কারণ, এই পুরো মহাবিশ্বের যেকোনো কিছুকে ফিকশন অথবা নন- ফিকশন ভাগে ভাগ করা যায়। আর, ফিকশন এবং নন- ফিকশন বিভাজন দুটি যে শুধুমাত্র একটা বিষয়বস্তুকে বাস্তব আর অবাস্তবে ভাগ করতে পারে; শুধু তাইই নয়। বাস্তব আর অবাস্তব পার্থক্যে বিশ্বাস-অবিশ্বাস এমনকি সত্য- মিথ্যাও নির্ভর করে।
ফিকশন বিষয়বস্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মানুষকে ভাবায়; আর যখন মানুষ এমন কোন নন- ফিকশন সাহিত্য পাঠ করে যা তাদের বাস্তবের মধ্যে পড়ে না, কিন্তু বাস্তব; সেক্ষেত্রে তারা আবার নতুন করে বাস্তবতা নিয়ে ভাবে। তো এই হল মূলত ফিকশন ও নন- ফিকশন বা কাল্পনিক ও বাস্তব বিষয়বস্তুর সাহিত্যের মধ্যে পার্থক্য এবং তাঁর ব্যাপকতা।
আশাকরি, যতটা সম্ভব সহজে আপনাদের কাছে ফিকশন ও নন- ফিকশন এর মধ্যে পার্থক্য বুকঝাতে পেরেছে।
নন-ফিকশন লেখা

নন-ফিকশন লেখা


নন-ফিকশন বলতে এমন যেকোনও লেখাকে বোঝায়, যা কোনও ঘটনা, স্থান, কাল বা পাত্র সম্পর্কে সঠিক ও বাস্তবিকভাবে সত্য তথ্য প্রদান করে। নন-ফিকশন হলো বাস্তব ও সত্য বিষয় ও ঘটনানির্ভর গদ্য সাহিত্য । নন-ফিকশন রচনার বিষয়বস্তু বস্তুনিষ্ঠ কিংবা ব্যক্তিনিষ্ঠ দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপন করা হয় । কদাচিৎ গল্প বা কাহিনীর মতোও রচিত হতে পারে।

নন-ফিকশন গদ্যসাহিত্যের একটি প্রধান শাখা বা শ্রেণী।

কথাসাহিত্য বা ফিকশন বা কল্পকাহিনী:
নন-ফিকশন সাহিত্যের বিপরীত শাখাটি হল কল্পকাহিনী বা কথাসাহিত্য, যেখানে স্থান, কাল ও পাত্র সম্পর্কে তথ্যগুলি আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে কাল্পনিক হয়ে থাকে।
যেমনঃ গল্প,কবিতা,ছড়া,উপন্যাস ও বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনী ।


নন-ফিকশন রচনাতে যেসব বর্ণনা থাকে, তা সম্পূর্ণ সঠিক বা সত্য হতে পারে বা না-ও হতে পারে। তবে নন-ফিকশন রচয়িতারা বিশ্বস্ততার সাথে সত্য ও সঠিক তথ্য লিখেছেন বলে দাবী করেন এবং পাঠকেরাও পড়ার সময় এ ব্যাপারটি মেনে নিয়েই পড়েন।

ইতিহাস,বিজ্ঞান,
প্রকৃতি,জীবনী,
ব্যবসা, শিক্ষা,
ভাষা,
ভ্রমণ,
রাজনীতি,
হাস্যরস,
খাদ্য, পানীয়,
স্বাস্থ্য, জীবনচর্যা,
ক্রীড়া,
শখ, শিল্পকলা,
বিনোদন,
গৃহ, উদ্যান চর্চা,
ধর্ম,গ্রন্হ প্রতিবেদন,
দিনলিপি,বিশ্বকোষ,
সাহিত্য সমালোচনা,
গবেষণা গ্রন্হ
ও প্রবন্ধ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে নন-ফিকশন বই রচিত হতে পারে।

Tuesday, July 13, 2021

Friday, June 25, 2021

বই প্রকাশের খরচ

বই প্রকাশের খরচ

মুদ্রণ ও প্রকাশনা জগত্ সম্পর্কে যাদের ধারণা নেই তাদেরকে এ সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা দেওয়াই এই লেখার উদ্দেশ্য।
একটি বই প্রকাশ করতে হলে যথাক্রমে এই কাজগুলো করতে হয় : 
১.কম্পোজ 
২.প্রুফ রিডিং এবং সম্পাদনা 
৩.অলঙ্করণ ও প্রচ্ছদ ডিজাইন মেকআপ 
৪.পেস্টিং অথবা কম্পিউটারে ফর্মা সেটিং 
৫.ট্রেসিং ও পজেটিভ 
৬.প্রচ্ছদের পজেটিভ
৭.প্লেট তৈরি 
৮.ইনার ও প্রচ্ছদের জন্য কাগজ 
৯.ছাপা 
১০.লেমিনেশন 
১১.বাঁধাই। 
১২. অন্যান্য 

ফর্মা কাকে বলে :

বাজারের প্রচলিত বইয়ের সাইজ হয় সাড়ে আট বাই সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি (প্রায়) ।  এই বই প্রকাশের জন্য প্রয়োজন হয় ডিমাই কাগজ । একটি 
ডিমাই কাগজের সাইজ হয় ২৩ ইঞ্চি–১৮ ইঞ্চি । 


এর চেয়ে বড় সাইজের বইয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ক্রাউন কাগজ । ক্রাউন কাগজের সাইজ হয় ২০ ইঞ্চি–১৫ ইঞ্চি । 

একটি ডিমাই (২৩ ইঞ্চি–১৮ ইঞ্চি) বা ক্রাউন (২০ ইঞ্চি–১৫ ইঞ্চি) কাগজ মানেই এক ফর্মা। 

সাড়ে আট বাই সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি (প্রায়) সাইজের বইয়ে ১৬ পৃষ্ঠায় এক ফর্মা হয় ।

আর বড় সাইজের বইয়ে ৮ পৃষ্ঠায় এক ফর্মা। 

১৬ পৃষ্ঠায় ফর্মার বই করতে হলে ডাবল ডিমাই কাগজ এবং ৮ পৃষ্ঠার বইয়ে ডাবল ক্রাউন কাগজ ব্যবহার করা ভালো। 

এই সাইজ দুটো হল কমন সাইজ। 

আমাদের দেশের এবং বিদেশের প্রকাশকরা অবশ্য এর বাইরেও বিভিন্ন সাইজের বই বের করে। আমাদের দেশের মার্কেটে সাধারণত ডাবল ডিমাই এবং ডাবল ক্রাউন সাইজের কাগজ বেশি পাওয়া যায়। সেদিক দিয়ে একটা ডাবল কাগজের দুই দিক ছাপা মানে দুই ফর্মা। তার মানে একটা দশ ফর্মার বই ছাপতে আপনার দরকার হবে পাঁচটি ডাবল ডিমাই বা ডাবল ক্রাউন কাগজ। 

এভাবে ৫০০ বই করতে কতটি কাগজ দরকার তা আপনি সহজেই বের করতে পারবেন। 
এখন চটজলদি বের করে ফেলুন আপনার বইটি কয় ফর্মার হবে এবং কত শিট কাগজ আপনার দরকার। যত শিট কাগজ দরকার তাকে ৫০০ দিয়ে ভাগ করলেই আপনার রিমের হিসাবটি বের হয়ে আসবে। অর্থাত্ ৫০০ শিট=১ রিম। 

মনে রাখবেন, প্রিন্টিং ও বাইন্ডিংয়ের কয়েকটি পর্যায়ে যেহেতু অনেক কাগজ নষ্ট হয় তাই ৫০০ বই পেতে হলে আপনার কমপক্ষে আরও ৪০-৫০টি বইয়ের ম্যাটেরিয়াল বেশি দিতে হবে। 

বর্তমানে (২০২০ সালের হিসেব অনুযায়ী) বাজারে ৮০ গ্রাম ডাবল ডিমাই বসুন্ধরা কাগজের মূল্য ২০০০ টাকা/রিম (প্রায়)। ডাবল ক্রাউন ১৪০০ টাকা/রিম (প্রায়)। 

এর চেয়ে বেশি এবং কম দামের কাগজ বাজারে আছে। 

ডিসেম্বরের দিকে কাগজের দাম সাধারণত বৃদ্ধি পায়। কারণ বই মেলার জন্য বই ছাপানোর চাহিদা বেড়ে যায় । এজন্য এপ্রিল-মে-জুন মাসের দিকে প্রথম বইটা ছাপানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিত । কারণ তখন কাগজ ও অন্যান্য জিনিসের দাম কম থাকে । 

সাধারণ মানের বইয়ে ৬০ থেকে ৮০ গ্রাম কাগজ ব্যবহার হয়। গ্রাম হচ্ছে কাগজের পুরুত্বের হিসাব। 

প্লেট কী : 
প্লেট হচ্ছে অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি একটি মুদ্রণ অনুষঙ্গ। আপনার বইটি যদি ডাবল ডিমাই মেশিনে ছাপতে চান তবে বইটি যত ফর্মার হবে ততটি প্লেটের দরকার হবে। 

প্রতিটি প্লেটের মেকিং চার্জসহ দাম পড়বে ৩০০ টাকার মতো। তবে সময়ভেদে গত বছর ৬০০ টাকা পর্যনন্ত দাম ওঠে। প্লেট করার আগে আপনার লেখাগুলোকে ট্রেসিং বা পজেটিভ আকারে বের করতে হবে। 

বইয়ের মেকআপ করা থাকলে প্রতিটি ট্রেসিং নিতে খরচ পড়বে ১৫ টাকা। এক ফর্মায় ৮টি ট্রেসিং লাগে। আউটপুট নিতে হলে প্রতি বর্গইঞ্চি/প্রতি কালারের জন্য দরকার হবে ৫০ থেকে ৬০ পয়সা।

পজিটিভ করতে হলে ফর্মা সেটিং আগে করে নিতে হবে। তবে বাংলা পজেটিভ করতে ফন্টের সমস্যার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

কভার সাধারণত ছাপা হয় ডিমাই মেশিনে। প্রতিটি ডিমাই প্লেটের জন্য খরচ পড়বে ১৫০ টাকার মতো। 

উভয় ক্ষেত্রেই প্রতি কালারের জন্য একটি প্লেট ব্যবহার করতে হবে। তার মানে আপনার বইটির ভেতরের অংশ যদি এক কালারে ছাপা হয়,তবে তার জন্য প্রতি ফর্মায় একটি প্লেট ।

যদি দুই কালারে ছাপা হয় তাহলে প্রতি ফর্মার জন্য দুটি প্লেট । 

আর যদি চার কালারে ছাপা হয়, তবে প্রতি ফর্মার জন্য চারটি প্লেট দরকার হবে। 

বইয়ের প্রচ্ছদ সাধারণত চার কালারে ছাপা হয়, তাই এর জন্য চারটি ডিমাই সাইজের প্লেট দরকার হবে। 

প্রচ্ছদ : 
বই বের করতে হলে প্রচ্ছদের দিকে বিশেষ খেয়াল দেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে প্রচ্ছদশিল্পী থেকে শুরু করে সব কাজেই প্রফেশনালদের ব্যবহার করতে হবে।
 
মনে রাখা উচিত, প্রিন্টিং টেকনোলজি বেশ জটিল। তাই এ কাজে যে-ই জড়িত হবে সে যেন প্রিন্টিংয়ের এ টু জেড অবগত থাকে। আর বইয়ের মূল আকর্ষণই হচ্ছে প্রচ্ছদ । বড় বড় আর্টিস্টরা একটি প্রচ্ছদের জন্য বিভিন্ন রকম পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। 

তবে প্রচলিত মানের একজন প্রচ্ছদশিল্পীর একটি কাজের পারিশ্রমিক আড়াই হাজার টাকার মতো। ইলাস্ট্রেশনের খরচ নির্ভর করে ভেতরে কী পরিমাণ কাজ থাকবে তার ওপর। 

প্রুফ রিডিং এবং সম্পাদনা : 
বই প্রকাশের ক্ষেত্রে সম্পাদনা একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কিন্তু আমাদের দেশে এই পেশায় যোগ্য লোক নেই বললেই চলে। তবু আপনার প্রকাশনাটি মানসম্পন্ন করতে চাইলে একজন যোগ্য সম্পাদক খুঁজে বের করা উচিত। 

সাধারণ মানের লেখকরা ধারণাই করতে পারেন না তার লেখাটিতে কত ধরনের খুঁত থেকে যায়। একজন ভালো সম্পাদক সেগুলো দূর করতে পারেন। তবে হতাশার কথা এই যে, আমাদের দেশে বই প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রায় কারওই সম্পাদনার ওপর কোনো বাজেট থাকে না। 

তবে প্রুফ রিডাররা আছেন। তারা টুকটাক ভুলভাল যে ধরেন তাতেও বইয়ের মান কিছুটা বজায় থাকে। মনে রাখা দরকার, আপনি যা জানেন তার মধ্যে কতটুকু ত্রুটি আছে সে ব্যাপারে আপনার মোটেই ধারণা নেই। 

যদি থাকত তবে আপনি ভুল লিখতেন না। বই প্রকাশের পরে তাতে যে কোনো ধরনের ভুল থাকাটা কতটা হাস্যকর তারা মোটেই জানেন না যারা ব্যাপারটাকে উপেক্ষা করেন। 

কয়েকদিন আগে এক বইমেলায় একটি বইয়ের নাম দেখলাম, ‘লেলিন….’। বুঝতেই পারছেন যারা লেনিনের নামটি ঠিকমতো জানেন না, তারা লেনিন সম্পর্কে কী বই বের করবেন। 

আর একজন বিজ্ঞ পাঠক যখন বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এ ধরনের ভুল দেখবেন তখন ওই বই হাতে নিয়েও দেখবেন না। তাই এই ব্যাপারটিতেও আপনাকে নজর দিতে হবে। 

এবারে আমরা একটা বই প্রকাশের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য হিসাব করব। এই হিসাব চূড়ান্ত কোনো হিসাব নয়। 

এর চেয়ে কম অথবা বেশি বাজেটেও এ ধরনের একটা বই প্রকাশ সম্ভব হতে পারে। এটা নির্ভর করে আপনি কতটা কোয়ালিটি মেইনটেইন করবেন তার ওপর। 


একটা বই বের করার জন্য মোট কত টাকা লাগবে তার নমুনা  হিসাব: 

বইয়ের সাইজ : সাড়ে আট বাই সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি (প্রায়) । 
বইয়ের পৃষ্ঠা : ৫ ফর্মা (৮০ পৃষ্ঠা) 
কাগজ : ৮০ গ্রাম বসুন্ধরা ভেতরের ছাপা এক কালার, 
কভার চার কালার, 
লেমিনেশন ও বোর্ড বাঁধাই 
সংখ্যা : ৫০০ কপি 

 ১. কম্পোজ ও ইলাস্ট্রেশন
( লেখক নিজে কম্পিউটারে কম্পোজ করবে বলে খরচ কম হলো )                                       .............................. ১০০০ 

২.প্রুফ রিডিং ………………….......     ২০০০ 

৩.প্রচ্ছদ ডিজাইন …...............................২৫০০ 

৪.পেস্টিং …………………….................  ৫০০ 

৫.মেকআপ ও ট্রেসিং ………….............. ২০০০ 

৬.প্রচ্ছদের পজেটিভ ………………........  ৫০০ 

৭.ডাবল ডিমাই প্লেট ৫টি …....................   ১৫০০ 
ডিমাই প্লেট ৪টা ………………..............     ৬০০ 

৮.কাগজ ২ রিম ১৫ দিস্তা ….................... ৫৫০০

(২০২০ সালের হিসেব অনুযায়ী) বাজারে 
৮০ গ্রাম ডাবল ডিমাই বসুন্ধরা কাগজের 
মূল্য ২০০০ টাকা/রিম (প্রায়)।

আর্টপেপার ১২০ গ্রাম ৮ দিস্তা ..................১৫০০ 
৭০ গ্রাম জ্যাকেট পেপার ৪ দিস্তা.................৪০০ 

পোস্তানির কাগজ ………………............... ৯০০ 


 ৯.ছাপা ৫ প্লেট ………………….........     ২০০০ 

 প্রচ্ছদ ছাপা ………………….............      ১৬০০ 

 পোস্তানি প্রিন্ট …………………...............  ৫০০ 

 ১০.লেমিনেশন …………………….......     ৭০০ 

 ১১.বাঁধাই ……………….......................... ৭৫০০ 

 ১২.অন্যান্য - (যাতায়াত ও বিপনন) …… ৫০০০ 

সর্বমোট (২০২০ সালের হিসেবে অনুযায়ী) - প্রায় ৩৫ হাজার টাকা । 

বিষয়টির প্রতি অনেকের আগ্রহের কারণে এই পোস্টটি দেওয়া হল। এই নমুনা হিসাবের সাথে আপনার বইয়ের সাইজ হিসাব করে বের করে নিন আপনার বইটি ছাপাতে কত টাকা খরচ হতে পারে। 

এ ব্যাপারে যে কোনো প্রশ্ন থাকলে এই পোস্টে আলাপ করতে পারেন। সবাইকে শুভেচ্ছা।

Tuesday, December 1, 2020

৮.৫ ইঞ্চি ও প্রস্থ প্রায় ৫.৫ ইঞ্চি আকারের বই কম্পিউটারে কম্পোজ করার নিয়ম

৮.৫ ইঞ্চি ও প্রস্থ প্রায় ৫.৫ ইঞ্চি আকারের বই কম্পিউটারে কম্পোজ করার নিয়ম

 


বাজারে উচ্চতা ৮.৫ ইঞ্চি ও প্রস্থ প্রায় ৫.৫ ইঞ্চি আকারের বই বেশি পাওয়া যায় । এই আকারের বই কম্পিউটারে কম্পোজ করার নিয়ম যদি লেখক জানেন তাহলে তাঁর কিছু খরচ কমে যায় । 


আপনার পুরো পাণ্ডুলিপি প্রকাশকের কাছে দেয়ার পর মনোনীত হলে তিনি ওটা কম্পোজে দিয়ে দিবেন। ১৬ পৃষ্ঠা বা প্রচলিত কথায় ৮ পাতায় এক ফর্মা। প্রতি ফর্মা টাইপিং সহ ট্রেসিং বের করতে বর্তমান বাজার দর গড়ে  পাঁচ শত টাকা, দু বার প্রুফ চেকিং।

 

আপনি নিজে কম্পিউটারে কম্পোজ বা টাইপ করতে পারলে এ খরচটি বাদ যাবে। সেক্ষেত্রে বই ছাপবার জন্য আপনাকে পেইজ সেট-আপ করে নিতে হবে।

পেইজ সেট-আপ:

এমএস ওয়ার্ডের ফাইল মেনুতে যান> পেইজ সেট-আপ> পেপার সাইজ> ১১ বাই ৮.৫ সিলেক্ট করুন। ওরিয়েন্টেশন দিন ল্যান্ডস্কেপ। মার্জিনে যান। টপ .৮ এবং বটম .৮। লেফট ও রাইট উভয়ই .৭। গাটার ০, ফ্রম এজ .৫ করে। ব্যস, পেইজ সেট-আপ হয়ে গেল।


এবার টেক্সটে আসুন। তারপর চলুন ফরম্যাট মেনুতে। যান কলামে। নাম্বার অফ কলাম সিলেক্ট করুন ২ (দুই)। উইডথ এন্ড স্পেসিং-এ যান। উইডথ হবে ৪.০০ এবং স্পেসিং হবে ১.৬। এরপর যান ট্যাব সেটিং-এ। ডিফল্ট ট্যাব স্টপস দিন .২।

এভাবে সেটিং সম্পন্ন করার পর যা হলো তাতে বইয়ের পাতার মাপ হবে উচ্চতা ৮.৫ ইঞ্চি এবং প্রস্থ প্রায় ৫.৫ ইঞ্চি।

কিন্তু যে-অংশটুকুতে লেখা উঠবে (একে ম্যাটারিয়াল বা ম্যাটার বলে) তার মাপ হবে ৭ ইঞ্চি বাই ৪.০০ ইঞ্চি।

এরপর টাইপের জন্য ফন্ট নির্বাচন। সব ফন্টেই সুন্দর ছাপা ওঠে না। আদর্শলিপি এক্সপ্যান্ডেড (স্কেল ৭৫ পার্সেন্ট) এবং সুটুনি এমজে-তে ভালো ছাপা হয়।

প্রকাশকের কাছে ট্রেসিং বের করা:

আপনি নিজে টাইপ করে ট্রেসিং বের করার জন্য প্রকাশকের কাছে আসুন ।আপনার প্রকাশকের মাধ্যমে ট্রেসিং বের করুন। নিজেও করতে পারেন। ভালো ট্রেসিং পেপারে এক ফর্মা প্রিন্ট করতে ৮০ থেকে ১০০ টাকা লাগবে। মনে রাখবেন, এটি হতে হবে মিরর প্রিন্ট।

 

Sunday, October 4, 2020

বই প্রকাশে কিছু করণীয়

বই প্রকাশে কিছু করণীয়



লেখাকে যারা পেশা হিসেবে নিতে চান তারাতো বটেই লেখা যাদের নেশা তারাও হয়তো কখনো চান তাদের লেখাটিকে প্রিন্টেড আকারে কাগজের পাতায় মুদ্রিত দেখতে । নিজের একটি প্রকাশিত বই একজন লেখকের কাছে তার সন্তানের মতোই আপন ।
বর্তমান সময়গুলোতে ফেসবুক, গুগল প্লাস, নিজস্ব ব্লগ সাইট সহ কমিউনিটি ব্লগগুলোর কল্যাণে মানুষ আগের ডায়েরির পাতায় লেখার বদলে এখন এসব ডিজিটাল ডায়েরি ব্যবহার করে থাকেন নিজেদের লেখালেখির মাধ্যম হিসেবে । তাতে লেখকের সংখ্যা বাড়লেও সেই অনুপাতে কাগুজে বই প্রকাশিত কমই হচ্ছে ।

প্রকাশকরা লগ্নিকৃত অর্থের লোকসানের ভয়ে সাধারণত নতুন লেখকদের বই প্রকাশ করতে ভরসা পান না খুব একটা । কিন্তু তারপরও নিজের একটি বই... এতো দরদ দিয়ে লেখাগুলি বইয়ের পাতায় ছাপানো দেখতে, সেই কাগজের গন্ধ নেবার আনন্দই আলাদা । যাদের বই প্রকাশিত হয়েছে তারা এটা ভালো বুঝবেন ।

কিন্তু বর্তমান সময়ে বই প্রকাশের খরচের কথা ভেবে অনেক প্রকাশকই নতুন লেখকদের লেখা ছাপানোর রিস্ক নিতে চাননা । কিন্তু লেখক যদি নিজ অর্থে বই প্রকাশ করতে চান সেক্ষেত্রে প্রকাশকরা নবীন লেখকদের বই প্রকাশ করে থাকেন ।

সেই ভাবনা থেকেই বই প্রকাশের কিছু তথ্য পাঠকদের সামনে হাজির করবার চেষ্টা করলাম ।

যারা বই প্রকাশে আগ্রহী তাদের যদি কোন কাজে লাগে তবে কৃতার্থ হবো ।

►ISBN (International Standard Book Number):
বই প্রকাশের সাথে লেখকের বইটির একটি আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড বই নম্বর দেবার কাজটি লেখক নিজে দায়িত্ব নিয়ে করাতে পারেন বা প্রকাশকও করিয়ে নিতে পারেন ।
ISBN এর জন্যে বর্তমানে পান্ডুলিপির এক কপি সহ আবেদন পত্র জমা দিতে হবে আগারগাঁও এ অবস্থিত জাতীয় গ্রন্থাগার ভবনের নিচতলার অফিসে অফিসচলাকালীন সময়ে ।
ISBNএর নিজস্ব ওয়েবসাইট


►© কপি রাইট
একটি বই প্রকাশ করলেই কাজ শেষ হয়ে যায় না । বইটির লেখার স্বত্ত্ব যেন লেখক বা লেখকের অনুমতিক্রমে প্রকাশকের থাকে সেজন্যে কপিরাইট আইনের আওতায় রেজিস্ট্রেশন করা উচিত যেন কেউ লেখা চুরি করে পার পেয়ে যেতে না পারে ।
■নির্ধারিত সময়ে কপিরাইট রেজিস্ট্রেশনের জন্যে :
●আবেদন পত্র – ৩কপি (নির্ধারিত)- অনলাইন অথবা অফিসে জমা দিতে হবে ।
●ট্রেজারি চালান (টাকা জমা)ফি – ১০০০/= প্রতিটি আবেদনের বিপরীতে
●অঙ্গীকারনামা-৩০০ টাকা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প (মৌলিক কর্মের ঘোষণাপত্র)
●পান্ডুলিপি, সাহিত্যকর্ম, সিডি, ক্যাসেট ইত্যাদি…কর্মের ২ কপি করে জমা দিতে হবে
●ট্রেজারি চালান কোড নং ১-৩৪৩৭-০০০০-১৮৪১
●চারুকর্মের ক্ষেত্রে কর্মের ৩ কপি জমা
●কর্ম হস্তান্তর হলে হস্তান্তরের দলিল ৩০০/= ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প
●শিল্পকর্ম জমা দিতে হবে –দেলোয়ার জামিল
●সাহিত্য, সফটওয়্যার, নাটক, সিনেমা, পান্ডুলিপি জমা দিতে হবে –খালেদ হোসেন চৌধুরী


►বইয়ের খরচাপাতি
■জাতীয় সাহিত্য প্রকাশন-এর পুরোধা জনাব মোরশেদ আলম-এর মতে-
১০ ফর্মার একটি বই প্রকাশের আনুমানিক খরচ :
●কভার পেপার (দুই রকম আর্টপেপার
অফসেট-১২০ গ্রাম বা ১০০গ্রাম হতে পারে)- ২৫০০/=
●কভার ডিজাইন পজেটিভ সহ চার কালার -৩০০০/=
●কভার প্লেট ৪টি – ৮০০/=
●কভার ছাপা - ২০০০/=
●কভার লেমিনেশন – ৭৫০০/=
●বইয়ের কাগজ – ১১০০০/=
●বইয়ের ছাপা – ১০*৪০০=৪০০০/=
●মূল বইয়ের প্লেট একপোজ সহ ১০টা
(একপোজ= ট্রেসিং প্লেট) -৪৪০০/=
● বই বাঁধাই – ১০,০০০/=
● বই কম্পোজ ১০ ফর্মা
(ট্রেসিং সহ) – ১০*৬০০=৬০০০/=
●প্রুফ রিডিং – ৩০০০/=
১০ ফর্মায় প্রতিবারে প্রুফ রিডিং ১০০০/= করে তিনবারে ৩০০০/=টাকা
■জলছবি বাতায়ন প্রকাশনার সঞ্চালক জহিরুল ইসলামের বর্ণনা মতে :
১.
সাইজ : ৭.২৫×৯.৫ ইঞ্চি
ফর্মা সংখ্যা : ১ (৮ পৃষ্ঠা)
ভেতরের কাগজ : ৮০ গ্রাম দেশী
ভেতরের ছাপা : চার কালার
বাঁধাই : স্ট্যাপলার
কভার পেপার : ৩০০/৩৫০ গ্রাম ওয়ান সাইড গ্লোসি বোর্ড
অলঙ্করণ : হবে
সংখ্যা : ৫০০ কপি
মোট খরচ : ২১,০০০ টাকা
যে ধরনের বই হতে পারে : ছোটদের গল্প/ছড়া।
২.
সাইজ : ৭.২৫×৯.৫ ইঞ্চি
ফর্মা সংখ্যা : ১ (৮ পৃষ্ঠা)
ভেতরের কাগজ : ৮০ গ্রাম দেশী
ভেতরের ছাপা : এক কালার
বাঁধাই : স্ট্যাপলার
কভার পেপার : ৩০০/৩৫০ গ্রাম ওয়ান সাইড গ্লোসি বোর্ড
অলঙ্করণ : হবে
সংখ্যা : ৫০০ কপি
মোট খরচ : ১৬,০০০ টাকা
যে ধরনের বই হতে পারে : ছোটদের গল্প/ছড়া।
৩.
সাইজ : ৭.২৫×৯.৫ ইঞ্চি
ফর্মা সংখ্যা : ২ (১৬ পৃষ্ঠা)
ভেতরের কাগজ : ৮০ গ্রাম দেশী
ভেতরের ছাপা : চার কালার
বাঁধাই : স্ট্যাপলার
কভার পেপার : ৩০০/৩৫০ গ্রাম ওয়ান সাইড গ্লোসি বোর্ড
অলঙ্করণ : হবে
সংখ্যা : ৫০০ কপি
মোট খরচ : ৩১,৫০০ টাকা
যে ধরনের বই হতে পারে : ছোটদের গল্প/ছড়া।
৪.
সাইজ : ৭.২৫×৯.৫ ইঞ্চি
ফর্মা সংখ্যা : ২ (১৬ পৃষ্ঠা)
ভেতরের কাগজ : ৮০ গ্রাম দেশী
ভেতরের ছাপা : এক কালার
বাঁধাই : স্ট্যাপলার
কভার পেপার : ৩০০/৩৫০ গ্রাম ওয়ান সাইড গ্লোসি বোর্ড
অলঙ্করণ : হবে
সংখ্যা : ৫০০ কপি
মোট খরচ : ২৩,০০০ টাকা
যে ধরনের বই হতে পারে : ছোটদের গল্প/ছড়া।
৫.
সাইজ : ৭.২৫×৯.৫ ইঞ্চি
ফর্মা সংখ্যা : ৩ (২৪ পৃষ্ঠা)
ভেতরের কাগজ : ৮০ গ্রাম দেশী
ভেতরের ছাপা : চার কালার
বাঁধাই : বোর্ড বাঁধাই
কভার পেপার : ১২০ গ্রাম আর্ট পেপার।
অলঙ্করণ : হবে
সংখ্যা : ৫০০ কপি
মোট খরচ : ৪৭,৫০০ টাকা
যে ধরনের বই হতে পারে : ছোটদের গল্প/ছড়া।
৬.
সাইজ : ৭.২৫×৯.৫ ইঞ্চি
ফর্মা সংখ্যা : ৪ (৩২ পৃষ্ঠা)
ভেতরের কাগজ : ৮০ গ্রাম দেশী
ভেতরের ছাপা : চার কালার
বাঁধাই : বোর্ড বাঁধাই
কভার পেপার : ১২০ গ্রাম আর্ট পেপার।
অলঙ্করণ : হবে
সংখ্যা : ৫০০ কপি
মোট খরচ : ৫৭,০০০ টাকা
যে ধরনের বই হতে পারে : ছোটদের গল্প/ছড়া।
৭.
সাইজ : ৫.৫×৮.৫ ইঞ্চি
ফর্মা সংখ্যা : ৩ (৪৮ পৃষ্ঠা)
ভেতরের কাগজ : ৮০ গ্রাম দেশী
ভেতরের ছাপা : এক কালার
বাঁধাই : বোর্ড বাঁধাই
কভার পেপার : ১২০ গ্রাম আর্ট পেপার।
অলঙ্করণ : হবে না
মোট খরচ : ৩০০ কপি ১৯,৫০০ টাকা। ৫০০ কপি ২৫,৫০০ টাকা।
যে ধরনের বই হতে পারে : কবিতা।
৮.
সাইজ : ৫.৫×৮.৫ ইঞ্চি
ফর্মা সংখ্যা : ৪ (৬৪ পৃষ্ঠা)
ভেতরের কাগজ : ৮০ গ্রাম দেশী
ভেতরের ছাপা : এক কালার
বাঁধাই : বোর্ড বাঁধাই
কভার পেপার : ১২০ গ্রাম আর্ট পেপার।
অলঙ্করণ : হবে না
মোট খরচ : ৩০০ কপি ২২,৫০০ টাকা। ৫০০ কপি ২৮,৫০০ টাকা।
যে ধরনের বই হতে পারে : কবিতা/গল্প/প্রবন্ধ/উপন্যাস।
৯.
সাইজ : ৫.৫×৮.৫ ইঞ্চি
ফর্মা সংখ্যা : ৫ (৮০ পৃষ্ঠা)
ভেতরের কাগজ : ৮০ গ্রাম দেশী
ভেতরের ছাপা : এক কালার
বাঁধাই : বোর্ড বাঁধাই
কভার পেপার : ১২০ গ্রাম আর্ট পেপার।
অলঙ্করণ : হবে না
মোট খরচ : ৩০০ কপি ২৫,০০০ টাকা। ৫০০ কপি ৩১,০০০ টাকা।
যে ধরনের বই হতে পারে : কবিতা/গল্প/প্রবন্ধ/উপন্যাস।
১০.
সাইজ : ৫.৫×৮.৫ ইঞ্চি
ফর্মা সংখ্যা : ৬ (৯৬ পৃষ্ঠা)
ভেতরের কাগজ : ৮০ গ্রাম দেশী
ভেতরের ছাপা : এক কালার
বাঁধাই : বোর্ড বাঁধাই
কভার পেপার : ১২০ গ্রাম আর্ট পেপার।
অলঙ্করণ : হবে না
মোট খরচ : ৩০০ কপি ২৮,০০০ টাকা। ৫০০ কপি ৩৪,০০০ টাকা।
যে ধরনের বই হতে পারে : কবিতা/গল্প/প্রবন্ধ/উপন্যাস।
১১.
সাইজ : ৫.৫×৮.৫ ইঞ্চি
ফর্মা সংখ্যা : ৭ (১১২ পৃষ্ঠা)
ভেতরের কাগজ : ৮০ গ্রাম দেশী
ভেতরের ছাপা : এক কালার
বাঁধাই : বোর্ড বাঁধাই
কভার পেপার : ১২০ গ্রাম আর্ট পেপার।
অলঙ্করণ : হবে না
মোট খরচ : ৩০০ কপি ৩০,৫০০ টাকা। ৫০০ কপি ৩৭,০০০ টাকা।
যে ধরনের বই হতে পারে : কবিতা/গল্প/প্রবন্ধ/উপন্যাস।
১২.
সাইজ : ৫.৫×৮.৫ ইঞ্চি
ফর্মা সংখ্যা : ৮ (১২৮ পৃষ্ঠা)
ভেতরের কাগজ : ৮০ গ্রাম দেশী
ভেতরের ছাপা : এক কালার
বাঁধাই : বোর্ড বাঁধাই
কভার পেপার : ১২০ গ্রাম আর্ট পেপার।
অলঙ্করণ : হবে না
মোট খরচ : ৩০০ কপি ৩৩,০০০ টাকা। ৫০০ কপি ৪০,০০০ টাকা।
যে ধরনের বই হতে পারে : কবিতা/গল্প/প্রবন্ধ/উপন্যাস।
১৩.
সাইজ : ৫.৫×৮.৫ ইঞ্চি
ফর্মা সংখ্যা : ১০ (১৬০ পৃষ্ঠা)
ভেতরের কাগজ : ৮০ গ্রাম দেশী
ভেতরের ছাপা : এক কালার
বাঁধাই : বোর্ড বাঁধাই
কভার পেপার : ১২০ গ্রাম আর্ট পেপার।
অলঙ্করণ : হবে না
মোট খরচ : ৩০০ কপি ৩৬,০০০ টাকা। ৫০০ কপি ৪৩,০০০ টাকা।
যে ধরনের বই হতে পারে : কবিতা/গল্প/প্রবন্ধ/উপন্যাস।
১৪.
সাইজ : ৫.৫×৮.৫ ইঞ্চি (পেপারব্যাক)
ফর্মা সংখ্যা : ১০ (১৬০ পৃষ্ঠা)
ভেতরের কাগজ : ৮০ গ্রাম দেশী
ভেতরের ছাপা : এক কালার
বাঁধাই : পেপারব্যাক। তবে ফ্ল্যাপ থাকবে।
কভার পেপার : ৩০০/৩৫০ গ্রাম ওয়ান সাইড গ্লোসি বোর্ড/আর্ট কার্ড
অলঙ্করণ : কয়েকটি স্কেচ হবে
মোট খরচ : ৩০০ কপি ৩৬,০০০ টাকা। ৫০০ কপি ৪৩,০০০ টাকা।
যে ধরনের বই হতে পারে : প্রবন্ধ/উপন্যাস।
১৫.
সাইজ : ৫.৫×৮.৫ ইঞ্চি
ফর্মা সংখ্যা : ১৫ (১৬০ পৃষ্ঠা)
ভেতরের কাগজ : ৮০ গ্রাম দেশী
ভেতরের ছাপা : এক কালার
বাঁধাই : বোর্ড বাঁধাই
কভার পেপার : ১২০ গ্রাম আর্ট পেপার।
অলঙ্করণ : হবে না
মোট খরচ : ৩০০ কপি ৪৮,৫০০ টাকা। ৫০০ কপি ৫৬,০০০ টাকা।
যে ধরনের বই হতে পারে : কবিতা/গল্প/প্রবন্ধ/উপন্যাস।

কৃতজ্ঞতা:
জনাব নাসির আহমেদ কাবুল
জনাব মোরশেদ আলম
জনাব খালিদ হোসেন চৌধুরী