Monday, January 27, 2020

ক্যারিয়ার শব্দের অর্থ

ক্যারিয়ার শব্দের অর্থ

ক্যারিয়ার শব্দের অর্থটা অনেক বড় । ক্যারিয়ার শব্দ দিয়ে শুধুমাত্র চাকুরী বা ব্যবসার সফলতাকে বোঝায় না । 
 
ক্যারিয়ার (Career) শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে- জীবনের পথে অগ্রগতি, জীবনধারা, জীবনায়ন, বিকাশক্রম, জীবিকা অর্জনের উপায় বা বৃত্তি।
 

 
 একজন ছাত্র কোন একটি সাধারন বিষয়ে গ্রাজুয়েশন বা স্নাতক করার পর হয়ত কোন প্রতিষ্ঠানে মার্কেটিং বিভাগে চাকরি নিলেন। কিন্ত এ সময়ে তার ক্যারিয়ার কে মার্কেটিং বলাটা ঠিক হবে না। কারণ এক বছর পর তিনি হয়তো অন্য একটি কোম্পানীতে সেলস বা বিক্রয় বিভাগে অথবা হিসাবরক্ষণ বিভাগে চাকরি নিলেন। এভাবে কয়েক বছর কাজ করার পর তিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে তিনি কোন বিভাগে নিজেকে দক্ষ করবেন এবং পরবর্তীকালে সে বিষয়েই নিজের ক্যারিয়ার তৈরী করবেন বা সে বিষয়েই উচ্চপদ গ্রহণ করবেন। এ সময়ে তিনি তার ক্যারিয়ারের একটি প্রথম এবং প্রধান ধাপ অতিক্রম করবেন। সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, ক্যারিয়ারের জন্য আমাদেরকে বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করতে হয়। এ অবস্থায় পরবর্তীকালে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কোন পন্থা বা বিষয়কে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেয়া যেতে পারে।

এ সিদ্ধান্ত নেয়ার অন্যতম উপায় হচ্ছে ক্যারিয়ার পরিকল্পনা। একজন ব্যক্তি যত শুরু থেকে তার ক্যারিয়ার পরিকল্পনা করতে পারবেন তিনি তত তাড়াতাড়ি সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন। ক্যারিয়ার পরিকল্পনার জন্য যে বিষয়টি দরকার তা হলো, সাফল্য সম্পর্কে ধারণা থাকা।
খাওয়ারিজামী নাঁচ

খাওয়ারিজামী নাঁচ

১২০৪ সালে বাংলাদেশে মুসলিম শাসনের আগে মহিলারা বুক ঢেকে রাখতো না । সহজ কথায় বলা যায় মহিলারা অর্ধ উলঙ্গ থাকতো । শেষ হিন্দু রাজা লক্ষণ সেনের আমলেও তার দরবারে নাঁচ গানের সময় মহিলারা বুক না ডেকেই নাঁচতো । এব্যাপারে সুস্পষ্ট ও ‍সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে প্রাচীণ বাংলার  সংস্কৃত গ্রন্হ সেকশুভোদয়ায় । এই বইটি লিখেছেন রাজা লক্ষণ সেনের সভাকবি হলুয়াধ মিশ্র ।

কিন্তু ১২০৪ সালের পর মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হলেও মুসলিম রাজা-বাদশাহরা নাঁচ-গান চর্চা ও উপভোগ করাকে নিষিদ্ধ করেননি । বরং তারা হিন্দুয়ানী কথক নৃত্য, ভরতনট্টম ও উদিসা নাঁচ বাদ দিয়ে তারা ইরানি,তুর্কি,তুরানি, আফগানি মুসলিমদের নাঁচ চালু করেন যাতে খুব একটা অশ্লীলতা ছিল না ।

 
 
তারিখ--ফিরুয শাহী  বাংলাদেশের মুসলিম শাসন আমলে প্রকাশ্যে লোকদের নাঁচ-গান উপভোগ করার  নাচের ধরণ জানা যায়, সেটি ছিলো খাওয়ারিজামী নাঁচ। যেই নাচের ভিডিওটি আপনারা দেখছেন এটাই খাওয়ারিজামী নাঁচ।  

উল্লেখ্য খাওয়ারিজাম মূলত পারস্যের ১টি প্রদেশ ছিলো। তবে অনেক সময়েই এটি স্বাধীন রাজ্য, এমন কি সাম্রাজ্য ছিলো। উন্নত সংস্কৃতির অধিকারী খাওয়ারিঝামী সংস্কৃত ছিলো পারসিক সংস্কৃতির অংশ।


সাহিত্য কাকে বলে ?

সাহিত্য কাকে বলে ?

মোটকথা ইন্দ্রিয় দ্বারা জাগতিক বা মহাজাগতিক চিন্তা চেতনা, অনুভূতি, সৌন্দর্য্য ও শিল্পের লিখিত প্রকাশ হচ্ছে সাহিত্য। 

 
 
গদ্য, পদ্য ও নাটক - এই তিন ধারায় প্রাথমিকভাবে সাহিত্যকে ভাগ করা যায়। 
 
গদ্যের মধ্যে প্রবন্ধ, নিবন্ধ, গল্প ইত্যাদি এবং পদ্যের মধ্যে ছড়া, কবিতা ইত্যাদিকে শাখা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
শিল্প আসলে কি ?

শিল্প আসলে কি ?

কাঁচামাল ব্যবহার করে মধ্যবর্তী কোন  চূড়ান্ত দ্রব্য বা পণ্য উৎপাদন করার প্রক্রিয়াকে শিল্প বলে। 

 
 
কোন একজন উদ্যোক্তা কৃষকের কাছ থেকে তুলা কিনে তা থেকে সুতা তৈরি করলে আমরা তাকে শিল্প বলতে পারি। 
 
যেহেতু এ সুতা এখনও চূড়ান্ত পণ্য পোষাকে পরিণত হয়নি তাই এই উৎপাদিত সুতাকে মধ্যবর্তী দ্রব্য বলতে পারি।
 
আবার কোন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির মালিক সুতা দিয়ে বা তিনি সরাসরি কৃষকের কাছে থেকে তুলা নিয়ে সুতা বানিয়ে তা থেকে পোষাক তৈরি করলেও তাকে শিল্প বলে।
সোনকাটা সমুদ্র সৌকত

সোনকাটা সমুদ্র সৌকত

সোনাকাটা সমুদ্র সৈকত বরগুনা জেলার তালতলীতে অবস্থিত।


 

সোনাকাটা সমুদ্র সৈকত ও সোনাকাটা ইকোপার্ক একই স্থানেই অবস্থিত। এখান থেকে ইকোপার্কের অনাবিল সৌন্দর্যসহ সমুদ্র সৈকতের সূর্য অস্ত সুন্দর ভাবে দেখা যায়।

পদার্থ বিজ্ঞান

পদার্থ বিজ্ঞান


 
*যার ভর এবং আয়তন আছে-ফলে স্থান দখল করে, যা ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে অনুভব করা যায় এবং বল প্রয়োগে কিছু না কিছু প্রতিরোধ সৃষ্টি করে তাকে "পদার্থ" বলে। আর এসকল নিয়ে যে বিজ্ঞান রচিত হয় তাকে পদার্থবিজ্ঞান বলে।

পদার্থবিজ্ঞান(Physics) শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ 'ফুসিকে'( fusiky ) থেকে যার অর্থ– ‘প্রকৃতি সম্প্রর্কিত জ্ঞান।
 
অন্যভাবে, পদার্থ ও শক্তির অন্তর্নিহিত দর্শন হচ্ছে পদার্থবিজ্ঞান।

‘পদার্থবিজ্ঞানের জনক’(father of physics) পদবীটি কোনো একক ব্যক্তির নয়।আলবার্ট আইনস্টাইন,স্যার আইজ্যাক নিউটন এবং গ্যালিলিও এদেরকে সম্মিলিতভাবে পদার্থবিজ্ঞানের জনক( fathers of physics) বলা হয়।



সূর্যশিশির গাছ

সূর্যশিশির গাছ


সূর্যশিশির এক প্রকার পতঙ্গভুক উদ্ভিদ । এদের পাতায় থাকে চুলের মত কর্ষিকা। কর্ষিকার মাথা থেকে বের হয় আঠা। তাকে চকচকে শিশিরবিন্দুর মতো দেখতে মনে হয়। 
 
যখন এ সূর্যশিশিরে পোকারা আকৃষ্ট হয়ে গাছের কাছে যায়, কোন পাতায় বসে, তখন কর্ষিকা থেকে বের হওয়া এই আঠা আটকে ফেলে পোকাদের। এরপর কর্ষিকা গুটিয়ে শিকারকে পাতার মধ্যে ঢেকে ফেলে, ঠিক খাঁচার মত। পাতা থেকে নিঃসৃত তরল পোকাকে গাছের খাবার উপযোগী করে দেয়।
কিভাবে বই বের করবেন পর্ব-১

কিভাবে বই বের করবেন পর্ব-১




নবীন লেখকলেখিকাদের জন্য :: কিভাবে বই বের করবেন
পর্ব-১
অনেকেই বই লিখেছেন কিন্তু তা ছাপবার নিয়মকানুন জানেন না। তাঁদের জন্য কিছু টিপস।
বই ছাপতে গেলে মোটামুটি সাতটি প্রধান ধাপের মধ্য দিয়ে এগোতে হয়, যেমনঃ ১। প্রচ্ছদ, ২। কম্পোজ বা টাইপ করা ও ট্রেসিং বের করা ৩। পেষ্টিং, প্লেট ও মেকিং, ৪। ছাপা, ৫। বই বাঁধাই। ৬। এটিই হলো প্রধান ধাপ, তা হলো বই বিক্রি বা বাজারজাত করণ। ৭। কাগজ।
১। প্রচ্ছদ। নিজে আঁকতে পারেন, বা কোন নামি শিল্পীকে দিয়ে আঁকাতে পারেন। শৌখিন কোন বন্ধুকে দিয়েও এ-কাজটি করানো যেতে পারে। যে কোন লেখকের প্রথম পছন্দ বর্তমানে ধ্রুব এষ, সচরাচর হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের প্রচ্ছদশিল্পী তিনি। তসলিমা নাসরিনের ক-এর প্রচ্ছদ এঁকেছেন কাইয়ুম চৌধুরী। বিখ্যাত শিল্পীরা দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন, এমনকি এর চেয়েও বেশি। কম খরচে করতে চাইলে শিক্ষা-নবিশদের খোঁজ করুন, যারা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় টুকিটাকি কাজ করছেন। তাঁদের প্রচ্ছদ দেখে আপনি সন্তুষ্ট হলে তাঁদেরকেও সন্তুষ্ট করে দিন। কারো সন্ধান না পেলে আপনার প্রকাশককে বলুন, তিনিই মুহূর্তের মধ্যে অনেক রেডিমেড প্রচ্ছদ কিংবা পরিচিত শিল্পীর খোঁজ দিতে পারবেন। প্রচ্ছদ হওয়ার পর এটি প্রকাশকের নিকট হস্তান্তর করুন। পজিটিভ বের করার জন্য এটিকে এবার কম্পিউটারে নিতে হবে। দশ ফর্মা সাইজের তিনশত কপি প্রচ্ছদের কম্পিউটার গ্রাফিক্স সহ তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ পড়বে। এই খরচ কিন্তু প্রচ্ছদশিল্পীর পারিশ্রমিকের অতিরিক্ত।
২। কম্পোজ বা টাইপ করা। আপনার পুরো পাণ্ডুলিপি প্রকাশকের কাছে দেয়ার পর মনোনীত হলে তিনি ওটা কম্পোজে দিয়ে দিবেন। ১৬ পৃষ্ঠা বা প্রচলিত কথায় ৮ পাতায় এক ফর্মা। প্রতি ফর্মা টাইপিং সহ ট্রেসিং বের করতে বর্তমান বাজারদর গড়ে তিনশত টাকা, দু বার প্রুফ চেকিং। আপনি নিজে টাইপ করতে পারলে এ খরচটি বাদ যাবে। সেক্ষেত্রে বই ছাপবার জন্য আপনাকে পেইজ সেট-আপ করে নিতে হবে।
পেইজ সেট-আপ। ফাইল মেনুতে যান> পেইজ সেট-আপ> পেপার সাইজ> ১১ বাই ৮.৫ সিলেক্ট করুন। ওরিয়েন্টেশন দিন ল্যান্ডস্কেপ। মার্জিনে যান। টপ .৮ এবং বটম .৮। লেফট ও রাইট উভয়ই .৭। গাটার ০, ফ্রম এজ .৫ করে। ব্যস, পেইজ সেট-আপ হয়ে গেল। এবার টেক্সটে আসুন। তারপর চলুন ফরম্যাট মেনুতে। যান কলামে। নাম্বার অফ কলাম সিলেক্ট করুন ২ (দুই)। উইডথ এন্ড স্পেসিং-এ যান। উইডথ হবে ৪.০০ এবং স্পেসিং হবে ১.৬। এরপর যান ট্যাব সেটিং-এ। ডিফল্ট ট্যাব স্টপস দিন .২। এভাবে সেটিং সম্পন্ন করার পর যা হলো তাতে বইয়ের পাতার মাপ হবে উচ্চতা ৮.৫ ইঞ্চি এবং প্রস্থ প্রায় ৫.৫ ইঞ্চি। কিন্তু যে-অংশটুকুতে লেখা উঠবে (একে ম্যাটারিয়াল বা ম্যাটার বলে) তার মাপ হবে ৭ ইঞ্চি বাই ৪.০০ ইঞ্চি। এরপর টাইপের জন্য ফন্ট নির্বাচন। সব ফন্টেই সুন্দর ছাপা ওঠে না। আদর্শলিপি এক্সপ্যান্ডেড (স্কেল ৭৫ পার্সেন্ট) এবং সুটুনি এমজে-তে ভালো ছাপা হয়। আপনি নিজে টাইপ করে ট্রেসিং বের করার জন্য বাংলাবাজারে আসুন, আপনার প্রকাশকের মাধ্যমে ট্রেসিং বের করুন। নিজেও করতে পারেন। ভালো ট্রেসিং পেপারে এক ফর্মা প্রিন্ট করতে ৬০ থেকে ৮০ টাকা লাগবে। মনে রাখবেন, এটি হতে হবে মিরর প্রিন্ট।
৩। পেষ্টিং, প্লেট ও মেকিং। প্রতি ফর্মা পেষ্টিং বাবদ ৩০ থেকে ৬০ টাকা। শুরুতেই প্রকাশকের সাথে চুক্তি করতে হবে আপনি কী ধরণের প্লেট ব্যবহা করবেন। মোটামুটি মানের নতুন (পিএস) প্লেটের দাম মেকিং সহ ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা। ডিপিএস (একবার ব্যবহৃত) প্লেটের দাম এর অর্ধেক। তবে কোন ক্রমেই যাতে দুবার ব্যবহৃত প্লেট (ডিপিএস ব্যাক) না দেয়া হয় সেটা আগে বোঝাপড়া করে নিতে হবে। অবশ্য এর চেয়েও দামি প্লেট আছে।
৪। ছাপা। প্রতি ফর্মা বাবদ ছাপা খরচ ২০০-৪০০ টাকা, একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক বই পর্যন্ত। তারপর বাড়বে।
৫। বাঁধাই। উৎকৃষ্ট বাঁধাইয়ের জন্য বই-প্রতি ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়ে থাকে। সাধারণ মানের ছোট বইয়ের ক্ষেত্রে পাঁচ-সাত টাকায় হয়ে যায়। তবে সবকিছুই আপনাকে আগেভাগে ঠিক করে নিতে হবে।
৬। বই বাজারজাত করণ। আপনি নতুন লেখক হয়ে থাকলে আমার পরামর্শ হলো সমস্ত বই আপনি আপনার নিজের কাছে নিয়ে যান। হ্যাঁ, শুরুতেই আপনি চুক্তি করুন, সমস্ত বই আপনাকে একদিনেই সরবরাহ করতে হবে। মনে রাখবেন, নবীন লেখক কখনো বই বিক্রির টাকা নিজের পকেটে নিতে পারে না। পনর হাজার টাকায় বই ছাপলে আপনাকে ধরে নিতে হবে সতর হাজার টাকাই আপনি জলে ফেলে দিচ্ছেন (অতিরিক্ত দুই হাজার হলো আকিকা ও আনুষঙ্গিক খরচ, একজনকে বই দিয়ে বলতে হবে আমার এই বইটি পড়ে শেষ করতে পারলে তোমাকে একশ, দুইশ, হাজার টাকা পুরস্কার দিব, তবেই না কেউ আপনার বই পড়বে। অবশ্যই ব্যতিক্রম আছে, তা হতে পারে আপনার ক্ষেত্রেও)। এবার বইগুলো নিজের কাছে নেয়ার পর, বন্ধুদের মাঝে বিনা মূল্যে বা ন্যায্য মূল্যে কিংবা চড়াদামে (যেহেতু আপনি এতো কষ্ট করে লিখেছেন) বিক্রি করুন। পত্রপত্রিকার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষদের সাথে বন্ধুত্ব করুন। সৌজন্য সংখ্যা পাঠান। দশজনকে দশটা বই পাঠালে হয়তো তিনচার জনে প্রতিক্রিয়া জানাবে। তিনজন খুব প্রশংসা করে চিঠি লিখবে। সেই প্রশংসায় অনুপ্রাণিত হয়ে হয়তো আরেকটা বই সত্বর লিখে ফেলবেন, এমন সময় দেখবেন যার একটুখানি প্রশংসার জন্য আপনি অধীর আগ্রহে দিন গুনছিলেন, তাঁর একটা চিঠি পেলেন, এটা কোন বই-ই হয়নি, এতো বিরক্তিকর। যে কোন লেখকের জন্য এই ধাক্কাটা হলো দুঃসহনীয়। এটা কাটিয়ে ওঠাই হলো বুদ্ধিমানের কাজ। অনেকেই এই এতোটুকু আঘাতে ভর্তা হয়ে যান, আর কোন লেখাই লিখতে পারেন না। এটা আপনার জন্য সতর্ক বাণী, আপনার লেখা সবাই খাবে না, যারা খায় না তাদেরকে খাওয়ানোর জন্য জোর করবেন না, যারা খাচ্ছে তাঁরাই আপনার প্রকৃত বন্ধু, তাঁরা আপনার লেখার মান সম্বন্ধে সম্যক অবহিত আছেন, তারপরও আপনাকে উৎসাহিত করবার জন্য অতোটুকু প্রশংসা করে থাকেন। তাঁদেরকে শ্রদ্ধা করুন। লিখুন। লিখুন। লিখুন।
৭। কাগজের হিসাব। ধরুন বইটি পাঁচ ফর্মা সাইজের। এক রীমে ১০০০ তা (ডাবল ডিম ৫০০ তা-য় এক রীম, যা সিংগেল ডিম-এ ১০০০ তা হয়)। ১০০০ তা-কে ৫ ফর্মা দিয়ে ভাগ করুন। ভাগফল ২০০। অর্থ্যাৎ, ১ রীম কাগজে ৫ ফর্মা সাইজের ২০০ কপি বই হয়। ৬৫ গ্রাম টিকে কাগজের দর ১২০০ টাকার উপরে প্রতি রীম। কিন্তু বইয়ের জন্য ৭০ গ্রাম বসুন্ধরা বা টিকে ভালো হয়, যার দর ২৫০০ টাকার উপরে। ৮০ গ্রাম টিকে-র দর ৩০০০ টাকা। এর মাঝামাঝি দরের কাগজও আছে। আপনার বই ছাপতে যে কয় রীম কাগজ লাগবে, তার চেয়ে প্রতি পাঁচ রীমের জন্য অতিরিক্ত হাফ থেকে এক রীম কাগজ কিনতে হবে, কারণ, ছাপাখানায় প্রচুর কাগজ নষ্ট হয়ে যায়।
ওপরের বর্ণনাটুকু আমার অভিজ্ঞতার ফসল। আরো কিছু জানতে চাইলে আলাদা ভাবে যোগাযোগ করুন।
সারাংশ :
সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ, প্রকাশককে অনুরোধ করুন আপনার ৩০০ বই আপনাকে একদিনেই সরবরাহ করবার জন্য। নতুন লেখকের বই কিন্তু বুকস্টলঅলারা নিতে চাইবেন না, তাঁরা বলবেন জায়গা নেই। ৫০০ বইয়ের খরচ বাবদ পুরো টাকা একবারই প্রকাশকের হাতে দিয়ে দিতে হবে, বই ছাপাবার আগে। টানাটানি থাকলে এ টাকা ধাপে ধাপে দিতে পারেন, প্রকাশককে এ ব্যাপারে অনুরোধ করতে পারেন। সাধারণত সবগুলো বই একবার ছাপা হলেও সবগুলো একসাথে বাঁধাই করা হয় না। বই ধীরে ধীরে বিক্রি হয়, আর নতুন করে বাঁধাই করা হয়। আর এতোসব চুক্তি সম্ভব হবে তখনই যখন আপনি কোনো ছোটখাট প্রকাশকের সাথে এ কাজ করবেন। বড় বড় প্রকাশকগণের সাথে এহেন হাঙ্গামা করতে পারবেন না। আপনার পাণ্ডুলিপি ভালো হলে বড় প্রকাশকগণ বই ছাপতে রাজি হবেন সম্পূর্ণ বিনা পয়সায়; শুধু একটাই শর্ত হয়তো তাঁরা দেবেন যে প্রকাশিতব্য বইটির ৮০% বই আপনাকে কিনে নিতে হবে:):)
পর্ব-২
আগের পর্বটি পড়ে অনেকেই হয়তো বই প্রকাশ করার একটা সাহস পেয়ে গেছেন। কিন্তু তারপরও ভাবছেন কিভাবে প্রকাশকের কাছে কথাটা তুলবেন, কিছুটা লজ্জা, 'পাছে লোকে কিছু বলে' ভাব, ইত্যাদি।
হাতে গোনা দু-একটা প্রকাশনী ছাড়া সবাই আপনার বই প্রকাশ করার জন্য হা করে আছেন, এটা মনে রাখবেন। আপনার শুধু প্রয়োজন 'দর কষাকষি' করে একটা চুক্তিতে আসা।
কোন্‌ প্রকাশকের কাছে যাবেন?
প্রতিটা বইয়ের ৪ অথবা ৬ কিংবা ৮ নং পৃষ্ঠায় প্রকাশনীর ঠিকানা ও ফোন নম্বর দেয়া থাকে। আপনার পছন্দমতো প্রকাশকের কাছে গিয়ে বলুন আপনি একটা গল্প বা কবিতা বা উপন্যাস বা প্রবন্ধ সংকলন বের করতে চান- ৩০০ কপি। আগেই বলে নিন যে লেখার সফট কপি আপনিই তৈরি করে দেবেন। তারপর প্রকাশকই আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
আপনি নিজেও একজন কবি বা লেখকের স্পন্‌সর হতে পারেন।
অনেকেই লেখেন না, কিন্তু মনে খুব সাধ বা শখ পোষেন বই ছাপবার। আপনি আপনার পছন্দের দু-একজন লেখক বেছে নিন, যাঁদের বই ছাপবার খরচ আপনি নিজে বহন করবেন। আপনার এই পবিত্র চেষ্টায় একজন নিভন্ত অথচ সম্ভাবনাময় লেখক একজন সেরা লেখক রূপে গড়ে উঠতে পারেন। মনে রাখুন, নবীন লেখকদের বই সচরাচর বিনে পয়সায় কেউ ছাপেন না। অনেক প্রতিভাধর ভালো লেখকের নিজের টাকায় বই বের করার সামর্থ থাকে না।
( লেখাটি সংগৃহিত ও সংক্ষেপিত )

Sunday, January 26, 2020

১০০ দিনে বই লেখার সহজ ৪ টি উপায়

১০০ দিনে বই লেখার সহজ ৪ টি উপায়


বই লিখতে চান? কিন্তু আর হয়ে উঠছে না? ১০০ দিনে বই লেখার সহজ ৪ টি উপায়

লেখকঃ ব্রাডন টারনার
মানুষের বিভিন্ন ইচ্ছার মধ্যে কারো কারো বই লেখার স্বপ্ন থাকে। অনেকের কাছেই বই লেখা একটি বিশাল যজ্ঞ বা রকেট চালানোর মত দুরূহ কাজ। কিন্তু আমি এটা পেরেছি। গত সোমবার আমার বই Two new books on investing in rental properties প্রকাশিত হয়েছে যেটি আমি ১০০ দিনের মধ্যে লিখেছি- ফলাফল ২২০,০০০ শব্দ যার মধ্যে ১৬০,০০০ আমার নিজের বাকী ৬০,০০০ আমার অসাধারণ স্ত্রী হেথারের।
আমি কোনো পেশাদার লেখক নই। আমি শুধু একটি সহজ পন্থা অবলম্বন করেছি। আপনারা ও এই সহজ ৪ টি ধাপ অবলম্বন করে ১০০ দিনের মধ্যে নিজের বই লিখতে পারবেন।
প্রথম ধাপঃ আর্নল্ড এর মত প্রতিজ্ঞাবদ্ধ
আপনারা কী আর্নল্ড শোয়ারজেনেগার এর পুরনো ভিডিও গুলো দেখেছেন? তিনি যা ই করেছেন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন বলেই পেরেছেন। আমরা কোনো কিছু পাবার আগে সেটা কতটা চাই তা গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ তা পাবার জন্য কী করছি। এই ব্যাপারে আমার প্রিয় মাইকেল জর্ডান এর একটি উক্তি হল, “কিছু মানুষ চায় এটা হউক, কিছু মানুষ প্রার্থনা করে যেন এটা হয়, আর কিছু মানুষ এটা করে দেখায়”।
দ্বিতীয় ধাপঃ শব্দ সংখ্যা ঠিক করে নেয়া
আপনার বইয়ে কতগুলো শব্দ থাকবে?
সাধারণত বইয়ে ৬০,০০০ থেকে ১০০,০০০ এর মত শব্দ থাকে। আপনার নির্ধারিত সংখ্যা যাই হউক সেটাকে ১০০ দিয়ে ভাগ করুন যাতে করে প্রতিদিন কতটুকু লিখতে হবে তার ধারণা পাওয়া যায়। সেই সংখ্যাই হবে আপনার জন্য ন্যুনতম। যেমনঃ আপনি যদি ১০০,০০০ শব্দ লিখতে চান তাহলে প্রতিদিন আপনাকে ১,০০০ টি শব্দ লিখতে হবে। শুধু সংখ্যা নির্ধারণ করলেই হবে না আপনি কী লিখবেন তা নিয়ে চিন্তা ও করতে হবে।
তৃতীয় ধাপঃ MapQuest এর মত সীমারেখা তৈরি করা
আপনি আপনার বইয়ের জন্য শব্দের সীমা ঠিক করে ফেলেছেন এখন হল মূল কাজ হল বর্ণনার একটি অসাধারণ সীমারেখা তৈরি করা। অনেকেই সীমারেখার ব্যাপারটা জানেন কিন্তু আমি আরেকটু গভীরে বলতে চাই। আমি চাই আপনারা আগের দিনের স্কুলের MapQuest এর মত একটি সীমারেখা তৈরী করেন। আগের দিনে যখন স্মার্টফোন ছিল না তখন কোনো পার্টিতে যাবার জন্য আপনি কী করতেন? আপনার বাবার কম্পিউটার থেকে MapQuest থেকে ধাপে ধাপে ১৩ পৃষ্ঠার দিক নির্দেশনা প্রিন্ট করে নিতেন যাতে করে আপনি হারিয়ে না যান।
যখনই আমি বই লেখার সিদ্ধান্ত নেই তখন থেকে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে Starbucks এ যেতাম, হুইপড ক্রিম দেয়া হট চকলেট এর স্বাদ নিতাম এবং আমার লেখা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফিরতাম না।
সব শেষে আমি ১০০ টি সাব-চ্যাপ্টার লিখেছিলাম। যেহেতু আমি জানতাম যে আমাকে ১০০ দিনে বইটি শেষ করতে হবে তাই প্রতি দিন আমাকে কমপক্ষে একটি সাব-চ্যাপ্টার লিখতে হবে যাতে ১,০০০ টি শব্দ থাকবে। এভাবেই আমি ধীরে ধীরে ১০০ দিনে ১০,০০০ শব্দের বইটি লিখতে পেরেছিলাম যা আমার কাছে আর কঠিন মনে হয় নি।
আপনার যদি সীমারেখা তৈরি করা হয়ে থাকে তবে মনে করুন কঠিন কাজ শেষ। এখন যা কাজ বাকী তাতে সময় লাগবে ঠিকই কিন্তু তা অনেক সহজ।
চতুর্থ ধাপঃ কোনো অজুহাত ছাড়া প্রতিদিন লেখা
যত সমস্যাই হোক না কেন প্রতিদিন লিখতে হবে। হউক সেদিন আপনার জন্মদিন কিংবা আপনি খুব অসুস্থ। এতে করে আপনি বুঝতে পারবেন আপনি কী লিখতে যাচ্ছেন। আপনার লেখা শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাতে ঘুমাতে যাবেন না। এক্ষেত্রে আমি আগের চেয়ে এক ঘন্টা আগে ঘুম থেকে উঠার কথা বলব এবং আপনি তা পারবেন। এই ব্যাপারে কিছু টিপস হলঃ
কাজের সাথে লেগে থাকাঃ
আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনি ইতিমধ্যে ১০ ঘন্টা পার করে ফেলেছেন। আপনি যদি সব কিছু নির্ধারণ করে থাকেন তবে আপনাকে লেখা নিয়ে ভয় পেতে হবে না। এতে করে আপনার লেখা নিজ গতিতেই এগিয়ে যাবে।
মনে মনে ঠিক করে নেয়াঃ
এখন আপনি আর বই লিখছেন না আপনি সাব-চ্যাপ্টার লিখছেন। আমি প্রতিদিন ব্লগ পোষ্টের মত করে লিখতাম। আপনাকে ১০০ দিনের লেখা ভাগ করে নিতে হবে।
কোনো একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য লেখাঃ
আপনার ফেইসবুকে এ যান এবং এমন একজন বন্ধু খুঁজে বের করুন যে নিশ্চিতভাবে আপনার লেখা পড়বে। এখন তার ফেইসবুক থেকে তার ৮.৫/১১ ইঞ্চির একটি ছবি প্রিন্ট করে আপনার দেয়ালে টানিয়ে রাখুন। আপনি মনে করবেন যে আপনি কোনো বই লিখছেন না, আপনার বন্ধুর কাছে কোনো কাহিনী বা বিষয় বর্ণনা করছেন। এটি করে দেখবেন সব কিছু কতটা বদলে যায়।
বই লেখা অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার আমি এটা অস্বীকার করব না। কিন্তু এটা অসম্ভব ও না। উপরের ধাপগুলো যদি মেনে চলেন তবে সহজেই আপনি আপনার বই লিখতে পারবেন।
1



Saturday, January 25, 2020

বই ভাল রাখার উপায়

বই ভাল রাখার উপায়

দৈনন্দিক জীবনের সব কিছুর ট্রিপস্ - ১
বই ভাল রাখার উপায় :
 


১. বুক শেলফ ব্যবহার করুন ।
২. প্লাস্টিকের ঝুড়িতে বা প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে রাখুন ।
৩. কম ভেজা স্হানে বই রাখুন ।
৪. উহ পোঁকা যাতে না আসে সেজন্য নিম পাতার ডাল ব্যবহার করুন ।
৫.  বই খাঁড়া করে শেলফে রাখুন।
৬. বই বিষয় অনুযায়ী ক্যাটালগ করে রাখুন ।
৭. অত্যাধিক আলো ও তাপ হতে বইকে দূরে রাখুন ।
করোনা প্রসঙ্গ

করোনা প্রসঙ্গ

 
আজ দেখলাম বিশ্বের ১৫ শীর্ষ করোনা ভাইরাস আক্রান্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৫ তম, পাকিস্তান ১৪ তম, সৌদি আরব ১৩ তম, ইরান ১১ তম ও ভারত ৩য় স্হান অধিকার করেছে। আলহামদুলিল্লাহ শীর্ষ ২০ দেশের মধ্যে মুসলিম প্রধান দেশ হাতে গোনা। 

 
 
৫৭ টা মুসলিম দেশ এক কমই করোনা দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। কারণ আল্লাহ মুসলিমদের রহমতের গিলাফে আবদ্ধ রেখেছেন এবং আল্লাহ তায়ালা রাসুল ( সা.) - কে বলেছেন যে তাঁর অনুসারীদের রোগ-ব্যাধি-মহামারি দিয়ে একেবারেই নিশ্বেষ করে দিবেন না। 
 
 
আমার আত্মীয়-স্বজন-বন্ধু-শুভাকাঙ্খী-পরিচিতদের অনেকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের বেশির ভাগই সুস্হ হয়েছেন। খুবই ক্ষুদ্র অংশ ইন্তেকাল করেছেন।
আমাদের সবার উচিত স্বাস্হ্য বিধি কঠোরভাবে মেনে চলা ও একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে বের না হওয়া। আর সবাইকে পরিত্রাণের জন্য আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করা।
 
১১ অগাস্ট ২০২০ - এ লেখা । ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০  তারিখেও বাংলাদেশের অবস্হান ১৫ তম ।
খণ্ডকালীন ব্যবসা ২ঃ বই লিখুন- মাসিক আয় করুন ১০-৫০ হাজার টাকা!

খণ্ডকালীন ব্যবসা ২ঃ বই লিখুন- মাসিক আয় করুন ১০-৫০ হাজার টাকা!



লিখেছেনঃ S M A K-HASSAN·

আপনি কোন বিষয়ে বেশ আগ্রহী। সময় নেই বলে তেমন কিছু করা হয়ে উঠে না এ বিষয় নিয়ে। খেয়াল করুন- আপনার মতো আরোও অনেকেই এ বিষয় নিয়ে আগ্রহী। ধরুন- বিশ্বের সকল রাজনৈতিক গুপ্তহত্যা কিভাবে হয়েছিল (অনেকেই এ বিষয়গুলোকে অ্যাাডভেঞ্চার হিসেবে লুফে নেন) বা কোন দেশ কিভাবে স্বাধীনতা পেয়েছিল (বিশ্বের স্বাধীনতাকামী, স্বাধীনতা-ইতিহাস গবেষক ও অন্যান্যদের কাছে এ তথ্যগুলো মূল্যবান) বা বাংলাদেশের সকল ভাস্কর্যগুলোর তথ্যাদি- এরূপ যে কোন একটি বিষয় নিয়ে আপনার আগ্রহ রয়েছে।
একটি তথ্যভিত্তিক বই এর প্রকাশনায় যা খরচ হয় সাধারণত তার সমপরিমাণ লভ্যাংশ যোগ করে বিক্রয় করা হয়। কোন প্রকাশনার সাথে চুক্তি করে আপনি নিজে বিপণনের দায়িত্ন নিয়ে তা বিভিন্ন বই এর দোকানে সরবরাহ করতে পারেন সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অথবা সবটুকু দায়িত্ন প্রকাশনাকে দিয়ে বিক্রয়ের উপর সম্মানিও নিতে পারেন।
ধরুন ১০০০টি বই এর জন্য খরচ হল ৫০,০০০ টাকা তাহলে গায়ে লিখিত মূলয ১২০ টাকা, বিক্রয়মূল্য ১০০-১২০ টাকা। প্রকাশনা থেকে বিক্রয়ভিত্তিতে লাভ নিতে চাইলে তারা বিক্রয়ের পর ঐ বই এর প্রতিটির জন্য আপনাকে দেবে ১০-১২ টাকা।
ঢাকায় বই এর অনেক কাটতি রয়েছে এমন ৫০ এর অধিক দোকান খোঁজে পাওয়া যাবে (নিউ মার্কেট, নীলক্ষেত, শাহবাগ, পল্টন, গ্রিন রোড, ফার্মগেইট, মৌচাক, মালিবাগ, উত্তরা, মিরপুর ১০, কমলাপুর, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন, টঙ্গী, যাত্রাবাড়িসহ আরোও অনেক স্থানে একাধিক ভালো পরিমাণ বই বিক্রয়কারি ফুটপাতের বই বিক্রেতাদের প্রত্যেকে এককভাবে মাসে আপনার ২০টি বই বিক্রয় করে দিতে পারলে আপনার মাসিক আসবে ১০ টাকা করে হলেও ১০x২০x৫০=১০,০০০ টাকা। দেশের সকল জেলা শহরের লাইব্রেরিসমূহ, রেলওয়ে স্টেশনের বই এর দোকানসমূহের কথা বাদই রাখলাম।
 
এবার আসুন প্রথম কথায়- বই লেখার সময় পাবেন কই???
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক সনদ নিচ্ছেন যারা তারা জেনে থাকবেন- ৬০ ঘন্টা শ্রেণিকক্ষে পড়িয়েই একজন শিক্ষার্থীকে ১০০ নম্বরের একটি বিষয়ে পরীক্ষা দেওয়ার উপযোগি করে করে গড়ে তোলার প্রয়াস নেওয়া হয়। এখন হিসেব করুন- প্রতিদিন (২৪ ঘন্টায়) আপনার সুবিধেমও ১ ঘন্টা সময় আপনার আগ্রহের বিষয়ের তথ্যানুসন্ধানে # গুগল # পাবলিক লাইব্রেরি # পুরনো পত্রিকা # সে বিষয়ের কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সাথে সাক্ষাৎ # লেখা গোছানো- এ কাজগুলো করলে প্রতি তিন মাসে ৯০ ঘন্টা সময়ে কি একটি পছন্দের বিষয়ের অনেক তথ্যপূর্ণ একটি বই লেখা হয়ে উঠবে না?
তিন-চার বছরে আপনার ১০টি বই প্রকাশিত হলে আর তা থেকে মাসিক ৫ হাজার করে টাকা এলে আপনি কিন্তু মাসিক আয় করবেন ৫০ হাজার টাকা।। আর নাম বলে কিছুতো রেখে গেলেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে যা অন্য অনেক পূর্ণসময় পেশাতেও সম্ভব না।

Monday, January 20, 2020

খোলা খাতা মানে

খোলা খাতা মানে


 
” খোলা খাতা “ হলো -
একটা খোলা লেখার বই
একটা ব্লগ যাতে তুমি যা চিন্তা কর তাই লিখবে
তুমি যা চিন্তা করবে তাই তুমি লিখবে
খোলা খাতা সবার জন্য উন্মুক্ত