Showing posts with label সংস্কৃতি. Show all posts
Showing posts with label সংস্কৃতি. Show all posts

Thursday, March 3, 2022

বখতিয়ার খিলজির স্বর্ণমুদ্রা

বখতিয়ার খিলজির স্বর্ণমুদ্রা

 

১২০৪ খ্রিঃ ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খিলজি বাংলা বিজয় করেন এবং তিনি স্বর্ণমুদ্রার প্রচলন করেন । তাঁর মুদ্রায় তিনি ভারতের প্রথম মুসলিম রাজবংশ প্রতিষ্ঠাকারী মুহাম্মদ ঘোরি বা মুহাম্মদ বিন সাম এর নাম ব্যবহার করেন ।



বখতিয়ার খিলজির স্বর্ণমুদ্রা :

আসলে বঙ্গ বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতেই স্মারক মুদ্রা হিসেবে এই মুদ্রা চালু হয়েছিল । মুদ্রাটির বিবরণ নিচে দেওয়া হলো ।

ধাতুঃ সোনা

সামনের পিঠঃ বৃত্তের মধ্যে গদা হাতে অগ্রসরমান অশ্বারোহী ।

উৎকীর্ণ লিপিঃ আরবী- ফি মুন্তাসফ রমাজান সানহ আহদি ওয়া সাতমায়াহ ।

নাগরী- গৌড় বিজয় ।

পেছনের পিঠঃ আরবি লিপি- আল সুলতান আল মুয়াজ্জাম মুইজুদ্দুনিয়া ওয়াদ্দিন আল মুজাফফর মুহাম্মদ বিন সাম ।



বর্তমানে দুষ্প্রাপ্য এই মুদ্রার একটি আছে লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে এবং অন্যটি আছে ওয়াশিংটেনের মিথসোনিয়ান ইন্সটিটিউটে ।

 

পরবর্তীতে বখতিয়ার খিলজির শাহাদাতের পর ১৩৩৮ খ্রিঃ পর্যন্ত ২২ জন মুসলিম শাসক দিল্লির সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন । তাদের মধ্যে ৬ জন শাসক মুদ্রার প্রচলন করেছিলেন । তাঁদের নাম নিচে দেওয়া হলো । উল্লেখ্য যে, এদের মুদ্রাগুলো প্রধানত রূপার তৈরী ।

নাম ও রাজত্বকার

১. গিয়াস উদ্দিন ইওয়াজ খিলজি (১২১১ খ্রিঃ – ১২২৭ খ্রিঃ)

২. মুঘিস উদ্দিন ইউজবক (১২৪৬ খ্রিঃ – আনুমানিক ১২৫১ খ্রিঃ)

তাঁদের মুদ্রার বৈশিষ্ট্যঃ

সামনের পিঠে কলেমা উৎকীর্ণ ছিল । তারিখও উল্লেখ করা হতো । পিছনের পিঠে শাসকের নাম ও পদবী উল্লেখ করা হতো । মুদ্রাগুলো ছিল রূপার তৈরি ।

৩. রুকনুদ্দিন কায়কাউস ( ১২৯১ খ্রিঃ- ১৩০২খ্রিঃ)

৪. সামসুদ্দিন ফিরোজ শাহ ( ১৩০২ খ্রিঃ- ১৩১৮খ্রিঃ)

 

৫. শিহাব উদ্দিন বুঘরা শাহ (১৩১৮ খ্রিঃ)

৬. গিয়াস উদ্দিন বাহাদুর শাহ ( আনুমানিক ১৩১০ খ্রিঃ – আনুমানিক ১৩২২ খ্রিঃ)

তাঁদের মুদ্রার বৈশিষ্ট্যঃ

কলেমার স্হানে বাগদাদের শেষ আব্বাসিয় খলিফা আল মুস্তাসিম এর নাম উৎকীর্ণ থাকতো । মুদ্রাগুলো ছিল রূপার তৈরী । তবে সামসুদ্দিন ফিরোজ শাহের কিছু সোনার মুদ্রা ছিল ।

 

তথ্যের সূত্রঃ মুদ্রা ইতিহাস ও সংগ্রহ – মাহমুদুল হাসান,  জাগৃতি প্রকাশনী ঢাকা,প্রথম প্রকাশ ২০০২,পৃষ্ঠা ১৩৯ ।

 

 

Monday, November 30, 2020

ভাল লেখক হতে হলে আপনাকে যে সাতটি টিপস মানতে হবে

ভাল লেখক হতে হলে আপনাকে যে সাতটি টিপস মানতে হবে

আপনি যদি একজন ভাল লেখক হতে চান, তাহলে আপনাকে কিছু নির্দেশনা মানতেই হবে। ১. উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে শুরু করুন আপনি যে বিষয়ে যুক্তি দিতে চান বা যে বিষয়টি নিয়ে গল্পটি বলতে চান তার মোদ্দা কথাটি আপাতত ভুলে যান। শুরু করুন কোন একটি বর্ণনা বা উদাহরণ দিয়ে যা পাঠককে আপনার লেখা পড়তে সঠিক মেজাজটি এনে দেবে। "অনেক বছর পর, যখন তাকে ফায়ারিং স্কোয়াডের মুখে পড়তে হলো...." এভাবে নিজের বিখ্যাত রচনা 'ওয়ান হান্ড্রেড ইয়ারস অব সলিটিউড' বা 'নিঃসঙ্গতার একশ বছর' শুরু করেছিলেন লেখক গ্র্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ।
২. বাক্য সংক্ষিপ্ত রাখুন লেখাকে ছোট এবং মধুর করুন। এটা কাজে দেয় সংক্ষিপ্ত বাক্যে লিখলে তা আসলে পাঠকের মেধাকে ছোট করা বোঝায় না। তবে এটা করাটা অতটা সোজাও নয়। কিন্তু এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা কোন স্টাইল নয়, কিন্তু মানুষের জৈবিক বৈশিষ্ট্য মাত্র: কারণ এভাবেই আমাদের মস্তিষ্ক কাজ করে। দীর্ঘ একটি বাক্য, বিশেষ করে যেসব বাক্যে একাধিক অধীনস্থ বাক্যাংশ থাকে, সে ধরণের বাক্য বুঝতে হলে পাঠককে ব্যাকরণের পাশাপাশি মূল বিষয়টিকে মাথায় একসাথে রাখতে হয়। যা অনেক বেশি কঠিন এবং পাঠককে আপনার লেখার ব্যাকরণ নিয়ে ব্যস্ত রাখারও কোন মানে হয় না। এর চেয়ে বরং লেখার মূল আধেয় বা বিষয় বস্তুর উপরই গুরুত্ব দেয়া উচিত। ৩. একই সাথে, বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের বাক্যও লিখতে হবে ভাল লেখার আলাদা ছন্দ থাকে আপনি হয়তো শুনে থাকবেন: "সব কিছুরই পরিমিতি বোধ থাকা উচিত, এমনকি পরিমিতিরও পরিমিতি বোধ থাকা জরুরী।" যেখানে ছোট ছোট বাক্যে লেখাটাই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা উচিত, তবে সব বাক্যই যদি ছোট লেখা হয় এবং আর কোন ধরণের বাক্য যদি না থাকে তাহলে তা আপনার লেখায় এক ধরণের কাটা কাটা ভাব অর্থাৎ রসহীন করে তুলবে। এক ধরণের র্যাট-টাট-টাট অনুভূতি দিবে পাঠককে যা হয়তো আপনি বাস্তবে দিতে চাননি এবং এটা পাঠকের জন্য বিরক্তির কারণও হতে পারে। তাই সব ধরণের বাক্যই লিখতে হবে। ৪. সঠিক শব্দ ব্যবহার করুন সঠিক শব্দের ব্যবহার পাঠককে দেখা, গন্ধ নেয়া, স্বাদ নেয়া কিংবা পায়ের আঙুল দিয়ে স্পর্শ করার মতো অনুভূতি দেয়। এটা পাঠককে এমন কিছু দেয় যা দিয়ে তারা তাদের মনের চোখ দিয়ে এক ধরণের ছবি আঁকে। এই ছবি এবং শব্দ মিলে, আপনার বার্তাকে স্মরণীয় এবং আকর্ষণীয় করে তুলবে পাঠকের কাছে। ৫. বিমূর্ত শব্দ এড়িয়ে চলুন লেখার সময় শব্দ চয়নের দিকে খেয়াল রাখুন। এটি আপনার লেখাকে ক্লাসিক করে তুলতে পারে। ....বিশেষ করে এগুলোকে মাঝে মাঝে বলা হয়ে থাকে "মনোনীত করণ" বা আরো ভাল ভাবে বললে- "জম্বি নাউন বা ভৌতিক বিশেষ্য" বলা যায়। এগুলো অনেক বেশি প্রাণহীন শব্দ যেমন "ঘটনা", "ফেনোমেনা", "স্তর" বা "পর্যবেক্ষণ"। ফেনোমেনা শুনতে আসলে কেমন শোনায়? পর্যবেক্ষণকে কিভাবে অনুভব করা যায়? প্রাতিষ্ঠানিক, আমলাতান্ত্রিক এবং অন্যান্য প্রাচীন লেখার ধরণে এমন শব্দের প্রাচুর্য থাকে। এর পরিবর্তে স্পষ্টভাবে কল্পনা করা যায় এবং নির্দিষ্টভাবে বিষয় বস্তুকে তুলে ধরে এমন শব্দ বাছাই করা উচিত। ৬. নিজের লেখাটি জোরে জোরে পড়ুন যা লিখছেন তা পড়ুন- সম্ভব হলে কাউকে পড়ে শোনান শুধু নিজে নিজে লেখা, পুনরায় লেখা এবং সম্পাদনাই যথেষ্ট নয়, বরং জোরে জোরে পড়ুন। যখন আপনি পড়বেন তখন আপনি বুঝতে পারবেন যে, লেখার সময় আসলে আপনি কোন ধরণের শব্দটি ভুলে গেছেন বা মিস করেছেন। যদি এটা বলতে কষ্ট হয়, তাহলে এটা পড়তেও কষ্ট হবে। এছাড়া কোথায় ছন্দপতন হয়েছে সেটিও আপনি সহজেই ধরে ফেলতে পারবেন। লেখার দিকে খেয়াল রাখুন, হয়তো আরো কিছু পাঠক জুটে যেতে পারে ৭. দৃঢ় ভাবে শেষ করুন শেষের জন্য আপনার জানা সবচেয়ে শক্তিশালী শব্দ বা বাক্য গুচ্ছ ব্যবহার করুন। আপনি কি ধরণের শব্দ বাছাই করছেন সেদিকে খেয়াল রাখুন। এমনকি শক্তিশালী, বা জোর রয়েছে এমন সিলেবল দিয়ে শেষ করার চেষ্টা করুন। শেষের শব্দগুলোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমাদের কথা শুনে বিশ্বাস না করলেও আইরিন নেমিরভস্কির কথা তো নিশ্চয়ই এড়িয়ে যেতে পারবেন না।

Monday, September 28, 2020

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম' পবিত্র কোরআনের একটি আয়াত। এ আয়াতকে কোরআনের মুকুট বলা হয়। এর অর্থ হচ্ছে- পরম করুণাময় আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি অতি দয়ালু ও করুণাময়। 

বিসমিল্লাহর ফজিলত অপরিসীম। হজরত রাসূলে কারিম (সা.) এ আয়াতকে কোরআনের শ্রেষ্ঠতম বলে উল্লেখ করেছেন।


 

 আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে যে কোনো ভালো কাজ শুরু করার আগে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পাঠ করে নেওয়া অপরিহার্য এবং এর দ্বারা অশেষ সওয়াব মেলে। 

সেই সঙ্গে ওই কাজে রহমত, বরকত ও নেয়ামত লাভে সমর্থ হই এবং এ দ্বারা আল্লাহ সব ধরনের নিয়ত ও কাজ পরিপূর্ণ করে দেন

Monday, January 27, 2020

খাওয়ারিজামী নাঁচ

খাওয়ারিজামী নাঁচ

১২০৪ সালের পর মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হলেও মুসলিম রাজা-বাদশাহরা নাঁচ-গান চর্চা ও উপভোগ করাকে নিষিদ্ধ করেননি । বরং তারা কথক নৃত্য, ভরতনট্টম ও উদিসা নাঁচ বাদ দিয়ে তারা ইরানি,তুর্কি,তুরানি, আফগানি মুসলিমদের নাঁচ চালু করেন যাতে খুব একটা অশ্লীলতা ছিল না ।

 
 
তারিখ--ফিরুয শাহী  বাংলাদেশের মুসলিম শাসন আমলে প্রকাশ্যে লোকদের নাঁচ-গান উপভোগ করার  নাচের ধরণ জানা যায়, সেটি ছিলো খাওয়ারিজামী নাঁচ। যেই নাচের ভিডিওটি আপনারা দেখছেন এটাই খাওয়ারিজামী নাঁচ।  

উল্লেখ্য খাওয়ারিজাম মূলত পারস্যের ১টি প্রদেশ ছিলো। তবে অনেক সময়েই এটি স্বাধীন রাজ্য, এমন কি সাম্রাজ্য ছিলো। উন্নত সংস্কৃতির অধিকারী খাওয়ারিঝামী সংস্কৃত ছিলো পারসিক সংস্কৃতির অংশ।


Saturday, January 25, 2020

বই ভাল রাখার উপায়

বই ভাল রাখার উপায়

দৈনন্দিক জীবনের সব কিছুর ট্রিপস্ - ১
বই ভাল রাখার উপায় :
 


১. বুক শেলফ ব্যবহার করুন ।
২. প্লাস্টিকের ঝুড়িতে বা প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে রাখুন ।
৩. কম ভেজা স্হানে বই রাখুন ।
৪. উহ পোঁকা যাতে না আসে সেজন্য নিম পাতার ডাল ব্যবহার করুন ।
৫.  বই খাঁড়া করে শেলফে রাখুন।
৬. বই বিষয় অনুযায়ী ক্যাটালগ করে রাখুন ।
৭. অত্যাধিক আলো ও তাপ হতে বইকে দূরে রাখুন ।

Saturday, January 18, 2020