ভাসানচরের পশ্চিম-দক্ষিণে একটা বিশাল চর জেগে উঠেছে । আয়তন প্রায় ৩২ বর্গকিলোমিটার। চরটি এখন গাছ গাছালিতে পরিপূর্ণ। জেলেরা চরটির নাম রেখেছে গাঙ্গুরিয়ার চর।
চরটি এখন মহিষ পালনের ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। গাঙ্গুরিয়ার চরের অবস্থান হচ্ছে হাতিয়ার মূল ভূখন্ড থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে, ভাসানচর থেকে ৪ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণে, স্বর্ণদ্বীপ থেকে ২৩/২৪ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং সন্দ্বীপ থেকে ১০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণে।
জেগে ওঠা এই চরটিতে এক সময় জেলেরা বিশ্রাম নিতো। পরবর্তীতে বন বিভাগ নতুন চরটিতে বনায়ন কার্যক্রম শুরু করে। মাত্র পাঁচ বছরের ব্যবধানে গাঙ্গুরিয়ার চরটি সবুজ বন বেষ্টনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
স্থানীয় বন বিভাগ ও জেলেদের সূত্রে জানা গেছে, ১৯/২০ বছর পূর্বে ২০০৫ সালের দিকে চরটি জেগে ওঠে। চরটি ক্রমান্বয়ে বিস্তৃতি লাভ করে দক্ষিণ-পূর্ব-উত্তর অর্থাৎ ভাসানচরের পূর্ব-দক্ষিণেও এগুচ্ছে। আগামী এক দশকে চরটির আয়তন কয়েকটি ইউনিয়নের আয়তনের সমান হবে বলে স্থানীয়রা আশা করছেন। আর এটা সম্ভব হলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষ করে ঝড়-জ্বলোচ্ছাসের সময় ভাসানচরকে মহাপ্রাচীর হিসেবে রক্ষা করবে গাঙ্গুরিয়ার চর।
https://m.dailyinqilab.com/article/354822/ সম্ভাবনার-নতুন-চর
খবর বিভাগঃ
গাংগুড়ার চর
গাঙ্গুড়ার চর
গাঙ্গুরিয়ার চর
চলতি ঘটনা
ভূগোল
সারাদেশ

0 comments: