সন্দ্বীপের দীর্ঘাপাড় ইউনিয়ন হতে সন্দ্বীপের উত্তরে হুদ্রাখালি পর্যন্ত রাস্তার কাজ ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে শুরু হয়েছে । এই রাস্তাটিকে দীর্ঘাপাড় উরিরচর সংযোগ সড়ক হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে ।
এই
রাস্তার শেষ প্রান্ত বা হুদ্রাখালি ট্রলার ঘাট হতে উরিরচরের দক্ষিণ প্রান্তের বর্তমান দূরত্ব প্রায় ২
কিলোমিটার । এই অংশে ক্রসড্যাম অথবা সেতু নির্মান হলে সরাসরি উরিরচর হয়ে দেশের মূল
ভুখন্ডে সন্দ্বীপের অধিবাসীবৃন্দ সড়ক পথে যাতায়াত করতে পারবেন । এর ফলে সন্দ্বীপের
সাথে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগের সময় ৩ ঘন্টা বেঁচে যাওয়ার পাশাপাশি সন্দ্বীপের অর্থনীতিতে
নতুন মাত্রা যুক্ত হবে ।
উপরন্তু ভূরাজনৈতিকভাবেও এই সড়ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে । কারণ ফেনী জেলার সাথেই চট্টগ্রাম বন্দরের ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ জেলার সংযোগ রয়েছে । ফেনী জেলা ও ফেনী নদী অঞ্চল মাত্র ৩০ কিলোমিটার চওড়া । যা দেশের প্রতিরক্ষার জন্য স্পর্শকাতর । এই অংশকে চওড়া করার জন্য ও বিকল্প সড়ক তৈরীর জন্য এই সড়ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ।
উপরন্তু ২০২৪ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের বন্যা ফেনীর এই অংশের দূর্বলতাকে তুলে ধরেছিলো । এই দিক বিবেচনা করে সন্দ্বীপের উত্তরাংশে ক্রসড্যাম অথবা সেতু নির্মানের মাধ্যমে সরাসরি উরিরচর হয়ে দেশের মূল ভুখন্ডে সন্দ্বীপের সংযোগ স্হাপন আশু প্রয়োজন ।
তাছাড়া সন্দ্বীপ চ্যানেলে চট্টগ্রামের সাথে সন্দ্বীপে যাতায়াতের জন্য ফেরী যোগাযোগ চালু হয়েছে ২০২৫ সালের জুলাই মাসে । অদূর ভবিষ্যতে সন্দ্বীপ চ্যানেলের উপর প্রায় ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মান হলে সন্দ্বীপ হবে বিকল্প ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কেন্দ্রবিন্দু ।
ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী অংশের বিকল্প হতে পারে এই সড়ক ।






0 comments: